কিভাবে ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটা হয়? অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৩

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট –অনেক সময় লম্বা লাইনে সারাদিন দাঁড়িয়ে থেকেও ট্রেনের টিকিট মিলেনা আবার ঈদ ও বিভিন্ন সরকারি ছুটির সময় টিকিট পাওয়া অনেক বেশি কষ্টসাধ্য। রেলওয়ে হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পরিবহন যার কারণে দূরপাল্লার যে কোন ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবাই ট্রেন ভ্রমণে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।

জাতীয় জাদুঘরের অনলাইন টিকিট কিভাবে কাটবেন

কিন্তু ট্রেনে ভ্রমণ করতে ট্রেনের টিকিটের জন্য অনেক বেশি হয়রানির শিকার হতে হয়। যার কারনে অনলাইনে ট্রেনের টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন থেকে আপনি খুব সহজে ঘরে বসে মোবাইল থেকে ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে পারবেন।অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

এখনো অনেকে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করার নিয়ম সম্পর্কে জানেনা। তাদের জন্য আমি আজকে তুলে ধরার চেষ্টা করব এই কন্টেন্টের মাধ্যমে কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট বুকিং দেওয়া যায়। কনটেন্টের শেষ পর্যন্ত পড়ে এই ওয়েবসাইটের সাথেই থাকবেন।

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

নিয়মিত ট্রেন যাত্রীর প্রায় সকলেই জানে যে এত বছর ট্রেনের অনলাইন টিকিট ক্রয় সেবা CNS দিয়ে আসলেও এখন থেকে তা দেবে সহজ ডট কম (Shohoz.com)। অনেক বছর CNS সেবা দিয়ে আসলেও কম মূল্যে সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই টেন্ডার জিতে নেয় সহজ ডট কম।২০ মার্চ ২০২২ থেকে ২৫ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশের রেলের অনলাইন টিকিট বিক্রির সেবা বন্ধ থাকলেও ২৬ মার্চ থেকে আবার শুরু হয়ে গেছে অনলাইন টিকিট সেবা। বর্তমানে অনলাইনে টিকিট কাটার নিয়ম আলোচনা করা হলো:

ধাপ-১: একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন

মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে গুগল ক্রোম(chorme) ব্রাউজার থেকে ভিজিট করতে হবে এই ওয়েবসাইটে Bangladesh Railway E-Ticket Service

প্রথমে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তার মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করতে হবে রেজিস্ট্রেশনের জন্য উপরের ডান পাশ থেকে রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার সামনে একটি ফরম আসবে।

আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজের যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ

এই ফর্মটিতে নিজের নাম ইংরেজিতে ইমেইল ফোন নাম্বার ও ৮ অংকের একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে।

NID অথবা বার্থ রেজিস্ট্রেশন নাম্বার যেটি দিতে চান সেটি আইডেন্টিফিকেশন টাইপ অপশনে ড্রপ ডাউন অপশন থেকে বাছাই করতে হবে।এরপর ন্যাশনাল আইডি নাম্বার বা রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখতে হবে।

এরপর আপনার পোস্ট কোড এবং নিচে ঠিকানা লিখতে হবে। সব তথ্য অবশ্যই ইংরেজিতে লিখতে হবে এখনো ওয়েবসাইটের বাংলা ভার্সন প্রস্তুত হয়নি।

ধাপ-২: মোবাইল ভেরিফাই

আপনার ইমেলে ৬ ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে।নিকটটি দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে। আপনার মোবাইলে আসা কোডটি করতে ৪৫ সেকেন্ডের মধ্য সঠিকভাবে দেখে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার অ্যাকাউন্টটি প্রাথমিকভাবে চালু হয়ে যাবে।

ধাপ-৩: একাউন্ট লগইন

ভেরিফিকেশন শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার প্রোফাইল লগইন হবে।লগইন না হলে বা ভবিষ্যতে পুনরায় টিকিট ক্রয় করতে এই ওয়েবসাইটে ফিরে আসবেন। এবং উপরের ডান পাশ থেকে লগইন মেনুতে ক্লিক করবেন রেজিস্ট্রেশনের সময় যে মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন এখানে তা দিয়ে লগইন করবেন।

ধাপ-৪: ট্রেন সার্চ

প্রোফাইল আপডেট করা শেষে ওয়েবসাইটের হোম পেজে ফিরে যাবেন আপনি কোন স্টেশন থেকে রওনা হবেন আর কোন স্টেশনে নামবেন সেই অনুসারে ট্রেন সার্চ করবেন।

Form- এ আপনি যে স্টেশন থেকে উঠবেন সেটি বাছাই করবেন।

To-তে যে স্টেশনে নামবেন সেটি বাছাই করবেন।

Date of journey-তে ভ্রমণের তারিখ বাছাই করবেন।

Choose class- এখানে উপরের মত অপশন গুলো পূরণ করে হলুদ রঙের Find বাটনে ক্লিক করবেন এরপর বাছাইকরা তারিখের সকল ট্রেনগুলো দেখানো হবে।

এখান থেকে ট্রেন ছাড়ার সময় অনুসারে আপনার পছন্দের ট্রেন থেকে টিকিট কাটার জন্য সিলেক্ট করবেন।

ধাপ-৫: ট্রেন সিট বাছাই

আপনার যাত্রা সময় এবং সিটের ধরন অনুসারে পছন্দ মত ট্রেনও সিট বাছাই করুন এজন্য আপনার পছন্দের ট্রেনের আসন খালি থাকা সাপেক্ষে view seats বাটনে ক্লিক করে সিট বুকিং করুন। এরপর continue purchase বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ-৬: যাত্রীদের তথ্য

এ পর্যায়ে যতগুলো সিট বুকিং করেছেন তার যাত্রীদের নাম এবং শিশু কিংবা বয়স্ক কিনা তা সিলেক্ট করুন। তিন থেকে বারো বছর বয়সী শিশু থাকলে Passenger type সিলেক্ট করুন। child সিলেক্ট করলে তার ভাড়া স্বয়ংক্রিয় ভাবে সমন্বয় হবে বা কমে যাবে।

ধাপ-৭: টিকিটের মূল্য পরিশোধ

এ পর্যায়ে টিকিটের মোট ভাড়ার পরিমাণ ভ্যাট ব্যাংক চার্জও মোট খরচের পরিমাণ দেখানো হবে।টিকিটের মূল্য পরিশোধ করার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ) অথবা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড অপশন বাছাই করুন। এরপর কনফার্ম পারচেজ বাটনে ক্লিক করে পেমেন্ট সম্পন্ন কর।

ধাপ-৮: ট্রেনের টিকিট ডাউনলোড প্রিন্ট

সফলভাবে পেমেন্ট করার সাথে সাথেই বাংলাদেশের রেলওয়ে ই ট্রেন টিকিট সিস্টেম থেকে এই টিকিট ইস্যু করা হবে। টিকিটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ব্রাউজার থেকে ডাউনলোড করা হয়ে যাবে। আপনার প্রোফাইলে হিস্টোরি থেকে টিকিট ডাউনলোড করে নিতে পারেন।তাছাড়া টিকিটের একটি কপি আপনার ইমেইলেও পাঠানো হবে। ইমেইলে ইনবক্স ফোল্ডারের না পাওয়া গেলে Spam ফোল্ডার থেকে চেক করে নিতে পারেন টিকিটটি A4 সাইজের কাগজে প্রিন্ট করে নিন।

ট্রেনে কেবিন ভাড়া করার নিয়ম

ধাপ-১:প্রথমে সাধারণভাবে ট্রেনের টিকিট কাটার মতোই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

ধাপ-২: সাইটের ঘুম পেয়েছে ভ্রমণের তথ্যাবলী পূরণের সময় ক্লাসের স্থলে AC_B নির্ধারণ করে দিতে হবে।

ধাপ-৩: বাকি প্রক্রিয়াটি সাধারণভাবে অনলাইনে টিকিট কাটার মতই সম্পন্ন করতে হবে।

ট্রেনে টিকিট কাটার শর্তাবলী

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শর্তাবলী:

*(BD train ticket online)রেলের টিকিট ইস্যু করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে পোর্টাল কার্ড/ ওয়ালেট তথ্যের জন্য বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে এর উপর নির্ভর করে।বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রীদের কোন সংবেদনশীল তথ্য যেমন কার্ড/ ওয়ালেট এর বিবরণ ওটিপি পিন কোড সংরক্ষণ করে না।

*যদি কোন কার্ড/ওয়ালেট চার্জ করা হয় এবং পেমেন্ট গেটওয়ে যথাসময়ে তথ্য ফেরত দিতে বাধ্য হয় তাহলে এটা সম্ভব যে যাত্রীদের কার্ড ওয়ালেটের কাঙ্ক্ষিত টিকিটের জন্য ইস্যু করা ছাড়াই চার্জ করা হবে। এই ধরনের ক্ষেত্রে পেমেন্ট গেটওয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৮ কার্যদিবসের মধ্যেও গ্রাহক বা যাত্রীদের দ্বারা ক্রয় কিত অর্থ তাদের নিজ নিজ কার্ড/ ওয়ালেটে ফেরত দিবে।

*যদি এই ধরনের একজন ক্লায়েন্ট যাত্রী 8 কার্যদিবসের মত ফেরত না পান তাহলে ক্লায়েন্ট বা যাত্রীকে [email protected] এই সমস্যাটির বিশদ ও বিবরণ সহ একটি অভিযোগ ইমেইল পাঠাতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এই ধরনের একজন যাত্রীকে উত্তর ৭ কার্য দিবসের মতো পাঠানো হবে।

*অর্থ প্রধান পরিষেবা প্রদানকারীর ওপর নির্ভরতার কারণে সমস্যাটি সমাধান করতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।

*অসফল কেনাকাটা এবং কার্ড চার্জিং সংক্রান্ত সমস্যা গুলির ফেরত এর জন্য ক্লায়েন্টকে অবশ্যই পেমেন্ট পরিষেবা প্রধান কারী সাথে যোগাযোগ করতে হবে যার মাধ্যমে তিনি লেনদেন করেছেন।

*সফলভাবে কেনার টিকিট ফেরতের জন্য ক্লাইন্ট বা যাত্রীকে অবশ্যই তাদের নিজ নিজ স্টেশনে যেতে হবে অর্থাৎ (প্রস্থান স্টেশন যেখান থেকে ক্লাইন্ট বা যাত্রী ভ্রমণ করবেন) এবং ফেরত কাউন্টারের সাথে যোগাযোগ করবেন।

*বাংলাদেশ রেলওয়ে বা Shohoz-Synesis-Vincen JV টিকিট প্রদান না করা বা পেমেন্ট প্রক্রিয়াকরণ ত্রুটি বা অন্য কোন কারণে যা বাংলাদেশ রেলওয়ে বা Shohoz-Synesis-Vincen JV এর নিয়ন্ত্রণের বাইরের কারণে টিকিট না দেওয়া বা ফেরত বিলম্বের জন্য দায়ী থাকবে না।

*বাংলাদেশ রেলওয়ে কোন গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি দেয় না যে অনেক পরিষেবা প্রদানকারীর ওপর নির্ভরতার কারণে উপরোক্ত পরিষেবা গুলির যেকোনো একটি নিবে বিচ্ছিন্ন সময় মতো ত্রুটিমুক্ত হবে।

*এই টিকিট অ হস্তান্তর যোগ্য এবং অবরাদ্দযোগ্য।

*তিন থেকে বারো বছর বয়সী শিশুদের জন্য ছোট টিকিট কেনা বাধ্যতামূল

*যেসব যাত্রী লাগেজের ওজন সীমার মধ্য ভ্রমণ করেন তাদের জন্য কোন অতিরিক্ত ফি নেই।AC – 56 KG, প্রথম শ্রেণি- 37.5 KG, শোভন চেয়ার/শোভন -28 KG, সুলভ- 23 KG।

*অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে ছাত্রের সময় কোচ/সীট নম্বর পরিবর্তন হতে পারে।

*বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি জাতীয় সম্পদ টিকিট না কিনে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ভ্রমণ করা যাবে না। ভ্রমণের সময় ট্রেনের টিকিট কিনতে হবে এবং অন্যদেরতা করতে উৎসাহিত করতে হবে।

*বৈধ টিকিট ছাড়া যে কোন প্রমাণ করলে বিচারের মুখোমুখি হতে পারে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ভ্রমণের জন্য যাত্রীরা অবশ্যই একটি বৈধ টিকিট থাকতে হবে। কোন মেয়াদ উত্তীর্ণ টিকিট বা ভবিষ্যতে ভ্রমণের তারিখ থাকা টিকিট বৈধ হবে না।

*ভ্রমণের তারিখ এবং সময় গন্তব্য আসন নম্বর এবং কোচের বিবরণ সম্পর্কিত টিকিটের সঠিক হতে পরীক্ষা করা  যাত্রীর দায়িত্ব। পছন্দসই গন্তব্যের প্রাপ্যতা আসন সংখ্যা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে ভুল ভাবে কেনার টিকিটগুলি প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে।

*এই শর্তাবলীতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বা Shohoz-Synesis-Vincen JV দ্বারা স্বীকার করা যায় হোক না কেন বাংলাদেশ রেলওয়ে বা Shohoz-Synesis-Vincen JV কেউই রেল টিকেট বা ভ্রমণের কারণে উদ্ভূত প্রকৃতির কোন দায়ী স্বীকার করে না।

ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম

অনেক সময় অনেক কারণে আমাদের ট্রেন যাত্রা বাতিল হয়ে যায় যদি তা নির্দিষ্ট সময়ের আগে হয় তাহলে টিকিটের ক্রয় মূল্যের কিছু অংশ ফেরত পাওয়া যায়।তবে ট্রেনের টিকিট ফেরত দিলে কতটুকু টাকা পাবেন তা নির্ভর করবে কখন করেছেন তার ওপর।বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়ম অনুযায়ী:

*যাত্রা শুরু ৪৮ ঘণ্টা পূর্বে টিকিট বাতিল করলে (AC) তাপানুকুল এর ক্ষেত্রে ৪০ টাকা প্রথম শ্রেণীর ক্ষেত্রে ৩০ টাকা অন্যান্য শ্রেণীর ক্ষেত্রে ২৫ টাকা কেটে রাখা হবে।

*যাত্রা শুরু হতে ৪৮ ঘণ্টার কম কিন্তু চব্বিশ ঘন্টার বেশি সময় থাকলে প্রত্যেক শ্রেণীর টিকিটের 25% ক্রয়মূল্য কেটে রাখা হবে।

*যাত্রা শুরু হতে ২৪ ঘন্টার কম কিন্তু ১২ ঘণ্টার বেশি সময় থাকলে প্রত্যেক শ্রেণীর টিকিটের ৫০% ক্রয় মূল্য কেটে রাখা হবে।

*যাত্রা শুরু হতে ১২ ঘণ্টার কম কিন্তু ছয় ঘন্টার বেশি সময় থাকলে প্রত্যেক শ্রেণীর টিকিটের ৭৫ পার্সেন্ট ক্রয় মূল্য রাখা হবে।

*যাত্রা শুরু হতে ছয় ঘন্টার কম সময় বাকি থাকলে টিকিট বাতিল করা যাবে না।

*অনলাইনে প্রতিবার একবার একাধিক টিকেট করার জন্য পঞ্চাশ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে এটি অফেরতযোগ্য।

*টিকিট বাতিল করতে হলে অবশ্যই যেই স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু হবে সেই স্টেশনে গিয়ে কাউন্টারে থেকে টিকিট বাতিল করতে হবে এবং অর্থ সংগ্রহ করতে হবে।

তবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে গেলে কখনো এমন হতে পারে যে টাকা কেটে নিল কিন্তু টিকিট ইস হলোনা এমনটি হলে কেটে নেওয়ার টাকা আট কর্ম দিবসের মধ্যেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেরত দিয়ে দেয়া হবে এক্ষেত্রে যে বিকাশ একাউন্ট বা কার্ড থেকে টাকা পাঠিয়েছিলেন সেখানেই টাকা ফেরত আসবে।

এরপরও যদি ফেরত না আসে তাহলে [email protected] এই অ্যাড্রেসে আপনার টিকিট ক্রয় এবং ভাড়া পরিশোধের প্রমাণসহ মেইল করতে হবে। সাতকর্ম দিবসের মতো তারা সেই মেইলের মাধ্যমে উত্তর দেবে এবং আপনার টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করবে তবে সে সব টাকা ফেরত পেতে কতদিন লাগবে তা নিশ্চিত নয়।

এছাড়াও টাকা পাঠানোর মাধ্যমের কারণেই যদি টাকার গড়মিল হয় সে ক্ষেত্রে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোন সাহায্য করবে না।

ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস

বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস চালুনিতভাবে অ্যাপ ছাড়াই মোবাইল থেকে গুগল ক্রোম ব্রাউজার থেকে e-ticket.railway.gov.bd ভিজিট করে ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে পারবেন।

ফুলকে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বিক্রয় কার্যক্রম computer network system Bangladesh এর কাছে ছিল তাদের ডেভেলপ করা ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাজনক ছিল। কিন্তু বর্তমানে 2022 এর মার্চ থেকে টিকিট বিক্রয়ের কার্যক্রম নতুন ভাবে

Shohoz-Synesis-Vincen JV এর কাছে অর্পণ করা হয়। তাই পড়বেন অ্যাপটি আর ব্যবহৃত হচ্ছে।

তবে শীঘ্রই বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস চালু হবে আশা করছি।

প্রশ্ন-১: অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সরাসরি কি অনলাইনে টিকিট কাটা যাবে?

উত্তর: না অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য আপনার মোবাইল, মেইল ষ,NID নম্বর দিয়ে ই-টিকেট সিস্টেম একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন করতে হবে।

প্রশ্ন-২: অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য ব্যবহৃত মাধ্যম কোনটি?

উত্তর: বর্তমানে অনলাইনে টিকিট কেনার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট থেকে পড়বেন নিয়ম অনুসারে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।

প্রশ্ন-৩: ট্রেনের টিকিট কতদিন আগে কাটা যায়?

উত্তর:অনলাইনে চার দিন আগে থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা যায় অর্থাৎ ট্রেনের অগ্রিম টিকিট চারদিন আগে পাওয়া যায় অনলাইনে আছে এবং আগামী চার দিন সহ মোট পাঁচ দিনের টিকিট কাটা যাবে।

শেষ কথা-

অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম সম্পর্কে যাদের অজানা ছিল তারা আজকে নিশ্চয়ই এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা অর্জন করতে পেরেছেন। এছাড়া যদি কারো কোন প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকে তবে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।আমরা সর্বদা চেষ্টা করি আপনাদের সঠিক তথ্য প্রদান করার। আশা করছি আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকবেন আর নতুন নতুন কনটেন্ট পেতে।

পোস্ট ট্যাগ-

বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম,ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস ২০২২,মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম,কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম,অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সময় ২০২২,রেলওয়ে টিকিট,ট্রেনের টিকিট বুকিং,সহজ.কম ট্রেনের টিকিট

আরও-

মেট্রোরেল প্রকল্প |মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান | মেট্রোরেল ২০২৩

বাংলালিংক সিমের কাস্টমার কেয়ার নাম্বার

কোন মোবাইলে নেট ভালো চলে ২০২৩

ব্লগিং-ইউটিউবিং-ফেসবুকিং থেকে ইনকাম করুন (FB ভিডিও) –  https://www.facebook.com/ssitbari

ব্লগিং-ইউটিউবিং-ফেসবুকিং থেকে ইনকাম করুন (YT ভিডিও)- https://www.youtube.com/channel/UCF8ngGZDCsYKpLlf9Mjb6Ig

ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্নপূরণ+ইনকাম এর সাইট- www.workupplace.com

বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত সকল আপডেট পেতে – www.ssitbari.com

ইংলিশে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সকল তথ্য পেতে – www.usitbari.com

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমি মো: সানাউল বারী পেশায় একজন ব্লগার এবং ইউটিউব ও ফেসবুক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।

Leave a Comment