ঢাকা-রাজশাহী অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম –নতুন আপডেট

ঢাকারাজশাহী অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়মরাজশাহী পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন শহর। আপনি যদি ঢাকা থেকে ট্রেনে রাজশাহী যেতে চান, তাহলে ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচি এবং টিকেটের মূল্য সম্পর্কে আপনার জেনে নেয়া দরকার।

তাই আজ আপনাদের জানাবো ঢাকা থেকে রাজশাহীর দূরত্ব,ঢাকা-রাজশাহী ট্রেনের তালিকা,ঢাকা-রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচি,ঢাকা-রাজশাহী ট্রেনের টিকিট মূল্য, ঢাকা-রাজশাহী অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।

মোবাইল ফোনের দাম

ঢাকা থেকে রাজশাহীর দূরত্ব

বাংলাদেশ রেলওয়ের জরিপ অনুসারে, রেলপথে ঢাকা থেকে রাজশাহীর দূরত্ব ৩৪৩ কিলোমিটার। তবে সড়কপথে ঢাকা থেকে রাজশাহীর দূরত্ব ২৫৮ কিলোমিটার।

ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে বর্তমানে ৪টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে। ট্রেনগুলি এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় নেয় গড়ে সাড়ে ৫ ঘণ্টা। কিন্তু রেলগাড়িতে আপনার সময়টা ভালোই কাটবে। কেননা ঢাকা-রাজশাহী রুটের ট্রেনগুলিতে আধুনিক সমস্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

স্টার সিনেপ্লেক্সে অনলাইন টিকেট কাটার নিয়ম

একেবারে কম দামের সুলভ থেকে শুরু করে অত্যন্ত বিলাসবহুল এসি কেবিন পর্যন্ত সব মানের আসনই রয়েছে। খাবারের ক্যান্টিন আছে, নামাযের স্থান আছে, পরিষ্কার টয়লেট আছে এবং নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে। এইসব দিক বিবেচনা করলে অন্যান্য গণপরিবহনের তুলনায় ঢাকা থেকে রাজশাহীতে ট্রেনে যাতায়াত করাই ভালো বলে মনে হয়।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের তালিকা

১. সিল্কসিটি এক্সপ্রেস:

সিল্কসিটি এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৫৩/৭৫৪) বাংলাদেশের দ্রুততম ট্রেন হিসেবে পরিচিত। এটি একটি আধুনিক এবং বিলাসবহুল আন্তঃনগর ট্রেন। ট্রেনটি রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের অন্যতম প্রধান শহর রাজশাহী পর্যন্ত চলাচল করে।

সময়সূচি

সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রোববার বাদে সপ্তাহের বাকি ৬ দিন ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচল করে। এটি ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যায় এবং রাজশাহীতে পৌঁছায় রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে।

বিরতি

সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত ৩৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাপথে মোট ১২টি জায়গায় বিরতি নেয়। স্টপেজগুলি হলো:

-ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশন,

-জয়দেবপুর জংশন,

-মির্জাপুর,৪

-টাঙ্গাইল,

-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব জংশন,

-শহীদ এম মনসুর আলি,

-জামতৈল জংশন,

-উল্লাপাড়া,

-বড়াল ব্রিজ,

-চাটমোহর,

-ঈশ্বরদী বাইপাস, এবং

-আবদুলপুর জংশন।

২. পদ্মা এক্সপ্রেস

পদ্মা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৫৯/৭৬০) হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটের অন্যতম বিলাসবহুল আন্তঃনগর ট্রেন। এতে আরামদায়ক এসি স্লিপার এবং খাবার গাড়িসহ একটি আধুনিক ট্রেনের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

সময়সূচি

পদ্মা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি মঙ্গলবার বাদে সপ্তাহের বাকি ৬ দিন ঢাকা-রাজশাহী রুটে যাত্রী আনা-নেয়া করে। ট্রেনটি রাত ১১টায় ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যায় এবং রাজশাহী শহরে পৌঁছায় ভোর সাড়ে ৪টায়।

বিরতি

পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি তার যাত্রাপথে মোট ১১টি স্থানে যাত্রাবিরতি গ্রহণ করে।

স্টপেজগুলি নিম্নরূপ

-ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশন,

-জয়দেবপুর জংশন,

-টাঙ্গাইল,

-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব জংশন,

-শহীদ এম মনসুর আলি,

-উল্লাপাড়া,

-বড়াল ব্রিজ,

-চাটমোহর,

-ঈশ্বরদী বাইপাস,

-আবদুলপুর জংশন, এবং

-সারদা রোড।

৩. ধূমকেতু এক্সপ্রেস

ধূমকেতু এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৬৯/৭৭০) হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালিত ঢাকা-রাজশাহী রুটের তৃতীয় বিলাসবহুল আন্তঃনগর ট্রেন। ট্রেনটিতে ৮টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ, ৭টি নন-এসি কোচ, একটি ড্রাইভার গাড়ি এবং গার্ড ব্রেকসহ ২টি খাবার গাড়ি রয়েছে। ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজধানী থেকে ৩৪৩ কিলোমিটার দূরের রাজশাহী পৌঁছাতে ৫ ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় নেয়।

সময়সূচি

ধূমকেতু এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভোর ৬টায় ছেড়ে যায় এবং রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায় সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে। বৃহস্পতিবার হলো ধূমকেতু এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন।

বিরতি:

ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন (৭৬৯) ঢাকা থেকে রাজশাহী যাবার পথে মোট ১২টি সাব-স্টেশনে বিরতি নেয়। তবে রাজশাহী থেকে ঢাকায় (৭৭০) যাবার পথে এটি বিরতি নেয় মাত্র ৭টি স্টেশনে।

স্টপেজগুলি হলো

-ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন,

-জয়দেবপুর জংশন,

-টাঙ্গাইল (শুধু ৭৬৯),

-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব জংশন,

-শহীদ এম মনসুর আলী,

-জামতৈল জংশন (শুধু ৭৬৯),

-উল্লাপাড়া (শুধু ৭৬৯),

-বড়াল ব্রিজ,

-চাটমোহর,

-ঈশ্বরদী বাইপাস (শুধু ৭৬৯),

-আবদুলপুর জংশন, এবং

-আড়ানী (শুধু ৭৬৯)।

৪. বনলতা এক্সপ্রেস:

বনলতা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৯১-৭৯২) হলো বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি বিরতিহীন এবং আধুনিক আন্তঃনগর ট্রেন। এটি ঢাকা থেকে রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করে। একটি বিরতিহীন ট্রেন হিসেবে বনলতা এক্সপ্রেস ঢাকা-রাজশাহী রুটের অন্যান্য ট্রেনের মতো এত বেশিবার মাঝপথে থামে না, ফলে ঢাকা-রাজশাহী যাত্রীদের কাছে ট্রেনটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেন।

সময়সূচি:

বনলতা এক্সপ্রেস বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যায় এবং রাজশাহীতে পৌঁছায় সন্ধ্যে ৬টা ৩৫ মিনিটে। লক্ষণীয়, শুক্রবারে বনলতা এক্সপ্রেস চলে না, এ দিন এর সাপ্তাহিক ছুটির দিন।

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর অনলাইনে টিকিট কাটার নিয়ম

বিরতি:

বনলতা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি ঢাকা টু রাজশাহী রুটের একমাত্র বিরতিহীন ট্রেন, এটি ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশন ছাড়া এর দীর্ঘ যাত্রাপথে আর কোথাও থামে না।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচি

ঢাকা টু রাজশাহী রুটে ৪টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। সেগুলো হলো: সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, ধূমকেতু এক্সপ্রেস এবং বনলতা এক্সপ্রেস। এই ট্রেনগুলির প্রত্যেকটিই সপ্তাহে ৬ দিন চলে এবং ১ দিন বন্ধ থাকে। ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটের এ চারটি ট্রেনের ছাড়ার সময়, পৌঁছার সময় এবং ছুটির দিনের সময়সূচি ছবিতে দেখানো হলো-

ঢাকা-রাজশাহী ট্রেনের টিকেট মূল্য

১।শোভন =          ৩৪০ টাকা

২।স্নিগ্ধা=             ৫৭০ টাকা

৩।এসি সিট         =৬৮০ টাকা

৪।এসি কেবিন=১০২০ টাকা

ঢাকা-রাজশাহী ট্রেনের অনলাইন টিকেট কাটার নিয়ম

ট্রেনে ঢাকা থেকে রাজশাহী ভ্রমণের জন্যে আগেভাগেই ট্রেনের টিকেট কিনতে  রেলস্টেশনে যাওয়া এখন আর অনিবার্য নয়, কেননা এখন অনলাইনে ট্রেনের টিকেট বুকিংয়ের সুবিধা চালু হয়েছে। কাজেই আপনি নিজের বাড়িতে বসে থেকেই খুব সহজে আপনার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের ট্রেন টিকেট নিশ্চিত করত পারেন। কীভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটতে হয়, সে সম্পর্কে  ধাপে ধাপে  বর্ণনা করা হল-

ধাপ ১ঃ

NID ভেরিফাই করুন

আপনার মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে গুগল ক্রোমা (Chrome) ব্রাউজার থেকে ভিজিট করুন এই ওয়েবসাইটে- Bangladesh Railway E-Ticketing Service অথবা ডাউনলোড করুন Rail Sheba App।

প্রথমেই আপনাকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে আপনার NID নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে ID ভেরিফিকেশন করতে হবে। শুরু করার জন্য Register ক্লিক করুন।

আপনার মোবাইল নম্বর, NID নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে Verify ক্লিক করুন। আপনার আইডি ভেরিফাই হলে, একটি Password সেট করুন। আপনার Email, Post Code ও ঠিকানা ইংরেজিতে লিখে Registration বাটনে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।

ধাপ ২:

মোবাইল ভেরিফাই করুন

এরপর আপনার মোবাইলে 6 ডিজিটে একটি Verification Code পাঠানো হবে এবং Code টি দিয়ে Verify করতে চাওয়া হবে। আপনার মোবাইলে আসা Code টি 45 সেকেন্ডের মধ্যে সঠিকভাবে লিখে Continue বাটনে ক্লিক করুন। আপনার একাউন্টটি সম্পূর্ণভাবে চালু হয়ে যাবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে একাউন্টে Log In হবে। লগইন হওয়ার পর Disclaimer এর শর্ত মেনে I AGREE করুন।

ধাপ ৩:

ট্রেন সার্চ করুন প্রোফাইল আপডেট করা শেষে, ওয়েবসাইটের Home পেইজে ফিরে যান। আপনি কোন স্টেশন থেকে রওনা হবেন আর কোন স্টেশনে নামবেন সেই অনুসারে ট্রেন সার্চ করুন।

From – ঢাকা এবং TO- রাজশাহী তে

Date of Journey থেকে আপনার ভ্রমণের তারিখ বাছাই করুন।

Choose Class – এখানে উপরের মত অপশনগুলো পূরণ করে হলুদ রংয়ের Find বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার বাছাই করা তারিখের সকল ট্রেনগুলো দেখানো হবে।

এখান থেকে ট্রেন ছাড়ার সময় অনুসারে আপনার পছন্দ মত ট্রেন থেকে টিকেট কাটার জন্য সিলেক্ট করুন।

ধাপ ৪:

ট্রেন সিট বাছাই করুন

আপনার যাত্রার সময় ও আসনের ধরণ অনুসারে পছন্দমত ট্রেন ও সিট বাছাই করুন। এজন্য আপনার পছন্দের ট্রেনের আসন খালি থাকা সাপেক্ষে (Seats Available থাকলে) View Seats বাটনে ক্লিক করে সিট বুকিং করুন। শিশুদের টিকেটের মূল্য পরের ধাপে সমন্বয় করা হবে। এরপর CONTINUE PURCHASE বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে যান।

ধাপ ৫:

যাত্রীর তথ্য দিন এ ধাপে যতগুলো সিট বুক করেছেন, তার যাত্রীদের নাম এবং শিশু বা বয়স্ক কিনা তা সিলেক্ট করতে হবে। ৩ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু থাকলে Passanger Type Child সিলেক্ট করুন। Child সিলেক্ট করলে তার ভাড়া স্বয়ংক্রীয়ভাবে সমন্বয় হবে বা কমে যাবে।

ধাপ ৬:

টিকিটের মূল্য পরিশোধ করুন

এখানে টিকিটের মোট ভাড়ার পরিমাণ, ভ্যাট, ব্যাংক চার্জ ও মোট খরচের পরিমাণ দেখানো হবে। টিকেটের মূল্য পরিশোধ করার জন্য Mobile Banking (bKash) অথবা Debit/Credit Card অপশন বাছাই করুন। এরপর Confirm Purchase বাটনে ক্লিক করে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।

ধাপ ৭:

ট্রেনের টিকিট ডাউনলোড ও প্রিন্ট করুন সফলভাবে পেমেন্ট করার সাথে সাথেই Bangladesh Railway E Train Ticket System থেকে ই টিকিট ইস্যু করা হবে। টিকিটটি স্বয়ংক্রীয়ভাবে আপনার ব্রাউজার থেকে ডাউনলোড করা হয়ে যাবে। আপনার প্রোফাইলের Purchase History থেকেও টিকিট ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

তাছাড়া, টিকিটের একটি কপি আপনার ইমেইলেও পাঠানো হবে। ইমেইলের Inbox Folder এ না পাওয়া গেলে SPAM Folder চেক করতে পারেন। টিকিটটি A4 সাইজের কাগজে প্রিন্ট করে নিন।

কিভাবে ট্রেনের টিকিট চেক করবেন

নিজের প্রোফাইল থেকে টিকিট কিনলে সেটা অবশ্য চেক করার আর দরকার হবে না। তবে অন্য দ্বারা অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করালে, ভ্রমণের আগে অবশ্যই চেক করে নিবেন। ট্রেনের টিকিট চেক করার জন্য ই টিকিটিং সাইটে রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন নেই। সরাসরি ভিজিট করেই চেক করতে পারবেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অনলাইন টিকেট চেক

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট চেক করার জন্য ভিজিট করুন- eticket.railway.gov.bd । এরপর, উপরের ডান পাশ থেকে Verify Ticket মেন্যুতে ক্লিক করুন। ট্রেনের টিকেটে ব্যবহার করা মোবাইল নম্বর এবং টিকেটে উপরের অংশে লেখা, PNR Number টি লিখুন। এরপর Verify Ticket বাটনে ক্লিক করার পর টিকিট সঠিক থাকলে, Ticket Verified দেখাবে এবং ভ্রমণের রুট দেখাবে।train

ঢাকা-রাজশাহী অনলাইন টিকিট সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নঃঅনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য ব্যবহৃত মাধ্যম কোনটি?

উত্তরঃবর্তমানে অনলাইনে টিকিট কেনার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে eticket.railway.gov.bd  ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট থেকেই পূর্বের নিয়ম অনুসারে টিকেট ক্রয় করতে পারবেন।

প্রশ্নঃট্রেনের টিকিট কতদিন আগে কাটা যায়?

উত্তরঃঅনলাইনে ৪ দিন আগে থেকে ট্রেনের টিকেট কাটা যায়। অর্থাৎ ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ৪ দিন আগে পাওয়া যায়। অনলাইনে আজ এবং আগামী ৪ দিন সহ মোট ৫ দিনের টিকিট কাটা যাবে।

প্রশ্নঃঅনলাইনে কিভাবে ট্রেনের টিকেট কাটবো?

উত্তরঃঅনলাইনে টিকেট কাটার জন্য ই টিকেট ওয়েবসাইটে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর প্রোফাইলের তথ্য আপডেট করার পর, পছন্দের গন্তব্য অনুযায়ী ট্রেন সার্চ করে পেমেন্ট সম্পন্ন করে টিকেট কাটতে পারবেন।

প্রশ্নঃঅ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সরাসরি কি টিকিট কাটতে পারবো?

উত্তরঃনা। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য আপনার মোবাইল, ইমেইল ও NID নম্বর দিয়ে ই টিকিট সিস্টেমে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন করতে হবে।

প্রশ্নঃবিকাশ থেকে টাকা কেটে নিয়েছে কিন্তু টিকিট বুকিং হয়নি, কিভাবে টাকা ফেরত পাব?

উত্তরঃটিকিট ইস্যু না হলে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে কর্তন করা টাকা পরবর্তী ৮ কর্মদিবসের মধ্যে আপনার একাউন্টে ফেরত দেয়া হবে।

প্রশ্নঃট্রেনের টিকিট কাউন্টার থেকে কেনা টিকেট কিভাবে অনলাইনে Verify করতে হয়?

উত্তরঃট্রেনের টিকিট কাউন্টার থেকে কেনা অফলাইন টিকেট ভেরিফাই করার জন্য, প্রথমে Bangladesh Railway E Ticket ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন ও মোবাইল ভেরিফিকেশন করুন। তারপর Verify Ticket মেন্যুতে গিয়ে মোবাইল নম্বর ও টিকেট নম্বর দিয়ে Verification করতে পারবেন।

প্রশ্নঃঅনলাইনে ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম কি?

উত্তরঃঅনলাইনে ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য Rail Sheba App অথবা ই টিকিট ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে। প্রোফাইল থেকে Purchase History অপশনে গিয়ে টিকেটের তালিকার ডান পাশে Refund বাটনে ক্লিক করুন। এরপর মোবাইলে আসা OTP দিয়ে ফেরত নিশ্চিত করুন।

প্রশ্নঃ ঢাকা টু রাজশাহী রুটে  কয়টা আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে?

উত্তরঃঢাকা টু রাজশাহী রুটে  ৪টা আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে।

প্রশ্নঃ ঢাকা টু রাজশাহী রুটে   আন্তঃনগর ট্রেনের নাম?

উত্তরঃ

১।সিল্কসিটি এক্সপ্রেস।

২।পদ্মা এক্সপ্রেস।

৩।ধূমকেতু এক্সপ্রেস।

৪। বনলতা এক্সপ্রেস।

পোস্ট ট্যাগ-

ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস,অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সময় ২০২২,মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম,বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম,কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম,অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয়,ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইন,সহজ.কম ট্রেনের টিকিট।

আরও-

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন টিকেট করার নিয়ম

পিজি হাসপাতালে অনলাইন টিকিট বুকিং করার নিয়ম

ইউনিক বাস অনলাইন টিকেট কাটার নিয়ম

বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকিট কাটার নিয়ম

জাতীয় জাদুঘর অনলাইন টিকেট করার নিয়ম

বাংলালিংক সিমের কাস্টমার কেয়ার নাম্বার

কোন মোবাইলে নেট ভালো চলে ২০২৩

আপনার জন্য আরো 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমি মো: সানাউল বারী পেশায় একজন ব্লগার এবং ইউটিউব ও ফেসবুক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।

Leave a Comment