অনলাইনে মোবাইল লোন বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৪

অনলাইনে মোবাইল লোন-বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ।  ডিজিটাল যুগে সবকিছুই অনলাইনে করা সম্ভব ঠিক তেমনি ও অনলাইনের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসে টাকা লোন নিতে পারি। অনেকে বাংলাদেশে অনলাইনে লোন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান।   আজকের এই পোস্টটিতে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কিভাবে বাংলাদেশ থেকে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা লোন নিতে পারবেন এই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।অনলাইনে মোবাইল লোন বাংলাদেশ

অনলাইন লোন কি?

আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে চলার পথে অনেক সময় আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টাকা থাকেনা তখন আমাদের টাকা লোন এর প্রয়োজন হয়। এবং এছাড়াও বিভিন্ন কারণে আমাদের লোন এর প্রয়োজন হয় আমরা সাধারণত লোন বলতে বুঝি আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী,  কোন মহাজন’ এর কাছ থেকে টাকা ঋণ নেয়া কে।

কিন্তু এসব খাত থেকে সব সময় ঋণ পাওয়া যায় না এবং যদিও পাওয়া যায় অনেক সময় এর সুদের হার অনেক বেশি থাকে যার ফলে আমাদের লোনের টাকা দিতে হিমশিম খেতে হয়। তাই বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেবা গুলো অনলাইনে লোন আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন আমরা খুব সহজে অনলাইন এর মাধ্যমে ব্যাংক ও বিকাশ  থেকে টাকা লোন নিতে পারবো।

বাংলাদেশে অনলাইনে লোন নেওয়ার উপায়

বর্তমানে বাংলাদেশেও অনলাইন লোন এর সেবা চালু হয়েছে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা লোন নিতে পারবো। অনলাইন থেকে লোন পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু নিয়মাবলী মানতে হবে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

২০২৩ সালের অনলাইন থেকে আয় করার সেরা কিছু

লোন বলতে আমরা বুঝি কোন ব্যাংক বা ব্যক্তির কাছ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ওই টাকার মূল মালিক কে সুদের হার অনুযায়ী মুনাফা প্রদান করা।

আমরা সাধারণত অনলাইন থেকে দুই ভাবে লোন পেতে পারি   তা হলো-

১।একটি হল অনলাইনে ব্যাংক থেকে লোন নেয়া।

২।অন্যটি হলো  বিকাশ থেকে অনলাইন মোবাইল লোন।

যে সকল ব্যাংক থেকে অনলাইনে লোন নেওয়া যায়

সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে আপনি অনলাইনে লোন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আশা করছি বাংলাদেশে অনলাইনে লোন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে  বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন।কি কি ব্যাংক লোন দিয়ে থাকেন তা সম্পর্কে জানবো।

এখন আমাদের মনে সবথেকে বড় প্রশ্ন হল এটা যে কি কি ব্যাংক লোন দিয়ে থাকেন। নিচে কয়েকটি ব্যাংকের নাম উল্লেখ করা হলো যেগুলো থেকে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে লোন নিতে পারবেন।

১।বাংলাদেশ ব্যাংক

২।গ্রামীণ ব্যাংক

৩। জনতা ব্যাংক

৪। ইসলামী ব্যাংক

৫।এশিয়ান ব্যাংক

৬।সিটি ব্যাংক

৭।আল আরাফা ব্যাংক

৮।প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড

৯। ডাচ বাংলা ব্যাংক

১০।ইবিএল ব্যাংক

১১।সোনালী ব্যাংক

১২।ব্রাক ব্যাংক

১৩।ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক

১৪।এইচ এস বি সি ব্যাংক

ইত্যাদি,  এ ছাড়াও বাংলাদেশে আরও অনেক ব্যাংক আছে যেগুলো থেকে আপনারা লোন নিতে পারবেন।

ব্যাংক থেকে যে সকল খাতে লোন দেয়

আমরা চাইলে যেকোনো ইচ্ছায় ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবো না ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু  খাত আছে যেগুলো থেকে আমাদের ঋণ নিতে হবে।  ব্যাংক যে সকল লোন দেয় সেগুলো হলো-

১।কৃষি লোন

২।প্রবাসী লোন

৩।হোম লোন

৪।বিজনেস লোন

৫। স্টুডেন্ট লোন

৬।পার্সোনাল লোন

৭। অটো লোন

এছাড়াও ব্যাংক থেকে দুই ভাবে লোন নেয়া যায়

-স্বল্পমেয়াদী লোন

-দীর্ঘমেয়াদি লোন

ব্যাংক থেকে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় পদ্ধতি

বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের সুবিধার্তে বর্তমানে অনেক ধরনের লোন পদ্ধতি চালু করেছেন। এমনকি বর্তমানে ব্যাংক থেকে অনলাইনের মাধ্যমেও লোন নেয়া সম্ভব। ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য মানুষের ব্যাংকে না ঘুরে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবে।

ব্যাংক থেকে যদি আমরা লোন নিতে চাই তাহলে আমাদের নির্দিষ্ট কয়েকটি খাতে লোন নিতে হবে।

ঘরে বসে ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে লোনের জন্য ব্যাংকে আবেদন করতে পারি।

১।অনলাইন থেকে লোন নেয়ার জন্য প্রথমে http:forms.mygov.bd/ এই ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে।

২।এখান থেকে সাইডে মার্ক করা “অনলাইন আবেদন করুন” এই অপশনটির ভিতরে প্রবেশ করুন।

৩। যে খাতে লোন নিতে চাচ্ছেন সেটা সিলেক্ট করুন।

৪।কোন ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তা সিলেক্ট করুন।

৫।কত টাকা লোন নিতে চাচ্ছেন তার পরিমাণ দিতে হবে।

৬। ফরমটি সঠিকভাবে সব সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করুন।

৭।আপনার ব্যক্তিগত কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে যেমনঃ জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি, ঋণগ্রহণকারী রঙিন ছবি,  ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট,  ইনকাম ট্যাক্স এর কাগজ,  ব্যাংক স্টেটমেন্ট,  অফিসের আইডি কার্ড,   ইউটিলিটি বিলের কাগজ ইত্যাদি।

৮।সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।

ব্যাংক থেকে লোনের সুদের হার কত দিতে হবে

ব্যাংক থেকে যদি আমরা লোন নেই তাহলে আমাদের চরা আকারে সুদ দিতে হবে এবং সঠিক সময়  সুদের টাকা পরিশোধ না করলে সুদের হার আরো বেড়ে যাবে।৪৫ ধারা অনুযায়ী ১৯৯১  সালে ব্যাংকের লোন বিনিয়োগ অনুযায়ী সুদের হার ধরা হয় ৯% । এটি ক্রেডিট কাদের জন্য প্রযোজ্য নয় – তবে ব্যাংক অনুযায়ী তাদের নিয়মাবলী শর্তে সুদের হার কমবেশি হতে পারে। যদি কোন লোন গ্রাহক সময় মতন লোনের টাকা পরিশোধ করতে না পারে তাহলে তাঁর সুদের হার ২% বৃদ্ধি হতে পারে।

ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার সুবিধা অসুবিধা

চলুন এবার জেনে নেয়া যাক ব্যাংক থেকে লোন নিলে আমরা কি কি সুবিধা পেতে পারি এবং আমাদের কি কি অসুবিধা ভোগ করতে হতে পারে।  যে কোন কাজেরই একটা ভালো দিক অন্য একটা খারাপ দিক থকে ঠিক তেমনি এর বেলায় বিপরীত নয়।

সুবিধা

১।যেকোনো সময়ে লোন নেয়া যাবে।

২।সকল ব্যাংক থেকে সুবিধা মতন লোন নেয়া যাবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা

৩।এবং এর থেকে বেশি সময়ের জন্য আরও বেশি টাকা লোন দিতে সক্ষম।

৪।কিছু ব্যাংক থেকে লোন নিলে আপনাকে ইন্সুরেন্স সুবিধা প্রদান করা হবে।

অসুবিধা

সুবিধাগুলোর পাশাপাশি ঠিক ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার কিছু অসুবিধাও রয়েছে।

১।ব্যাংক থেকে লোন নিলে খুব বেশি টাকা চরা আকারে সুদ দিতে হয়।

২।ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য একটু ঝামেলা হয় এবং সঠিক টাইমে যদি ব্যাংকের লোনের টাকা ফেরত না দেওয়া হয় তাহলে তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

বিকাশ থেকে অনলাইন মোবাইল লোন

বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইনে খুব সহজে আপনি লোন নিতে পারবেন। ব্যাক্তিগত বা ব্যবসার কাজে অনেক ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন এবং এই লোন নিদিষ্ট শর্তঅনুযায়ী সময়মত পরিশোধ করতে হবে। এখান থেকে কয়েক বছর আগে ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে ব্যাংকে গিয়ে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হতো এবং বিভিন্ন জায়গা গিয়ে সময় নষ্ট করতে হতো।

আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজের যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ

কিন্ত, বর্তমানে আপনাকে আর সেই কষ্ট করতে হবে না এবং সময় ও আর নষ্ট করতে হবে না। কেননা আপনি ঘরে বসে অল্প সময়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করে লোন নিতে পারবেন। বর্তমান আমাদের দেশে অনেকগুলো অনলাইন লোন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আপনি খুব সহজে বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবেন।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সিটি ব্যাংক দ্বারা চালু হয়েছে সমান্তরাল-ফ্রী ডিজিটাল লোন। পাওয়া যাবে শুধুমাত্র বিকাশ থেকে। বিকাশ গ্রাহকরা বাংলাদেশের যে কোন জায়গা থেকে, যেকোনো সময় বিকাশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবে।

এটি একটি পাইলট উদ্যোগ, যা শুধুমাত্র বিকাশ ব্যবহারকারীর সীমিত গোষ্ঠী লক্ষ্য করে, চালু করা হয়েছে। এই উদ্যোগে, বিকাশ ব্যবহারকারীর যে কোন ব্যক্তি সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবে, বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে। সেই লোনের অর্থ সরাসরি বিকাশ একাউন্টে চলে আসবে এবং বিকাশ একাউন্ট থেকে সরাসরি লোন পরিশোধ করা যাবে।

বিকাশ থেকে অনলাইন মোবাইল লোন নেওয়ার নিয়ম

১। প্রথমে আপনার ফোনের প্লে স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপ  ইন্সটল করতে হবে।

২।তারপর বিকাশ অ্যাপ অন করতে হবে একাউন্ট না থাকে তবে নতুন করে একাউন্ট করতে হবে।

৩।বিকাশ এ্যাপ এ গিয়ে দেখতে হবে যে আপনার লোন বাটন অথবা লোন আইকন আছে কিনা।

৪।তারপর, আপনি একটি E-KYC form (Know your customer form) দেখতে পাবেন এবং আপনাকে সেই ফরম ফিলাপ করতে হবে সব ইনফরমেশন দিয়ে।

৫।ফরম সাবমিট করতে হবে সিটি ব্যাংকের কাছে আপনার অ্যাপের সাহায্যে।

৬।ফরম সাবমিট করার পর আপনি যদি লোন পাওয়ার জন্য যোগ্য হন তাহলে, সাথে সাথে আপনার বিকাশ একাউন্টে লোন টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

৭।লোনের টাকার সাথে আপনাকে একটি পিন নাম্বার দেওয়া হবে।

৮।সেই পিন নাম্বার দিয়ে আপনি সহজে আপনার টাকা পেয়ে যাবেন এবং সেই টাকা উঠাতে পারবেন।

৯।বিকাশ কর্তৃপক্ষ কিন্তু সকল ব্যক্তিকে লোন দেবে না। যারা মূলত bkash অ্যাপ ব্যবহার করে বেশি টাকা লেনদেন করে তাদের জন্য বিকাশ লোন।

১০।এজন্য আপনাকে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে বেশি বেশি টাকা লেনদেন করতে হবে। তাহলে আপনি বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবেন।

অনলাইন মোবাইল লোনের বৈশিষ্ট্য

মোবাইল লোন একটি আনসিকিওরড পার্সোনাল লোন যা ২৪ ঘন্টায় মঞ্জুর হয়। আপনি সহজেই অনলাইনে পার্সোনাল লোন অ্যাপের ম্যাধ্যমে একটি ইনস্ট্যান্ট লোন ফর মোবাইল নেবার আবেদন করতে পারেন।  মোবাইল লোনের বৈশিষ্ট্যগুলি দেওয়া হল যা থেকে ঋণগ্রহীতারা উপকৃত হতে পারেন।যথা-

১।মোবাইল লোনের আবেদন করার সময়, কাগজ আকারে কোন প্রমাণপত্র দেবার ব্যাপার নেই।

২।যে কোন জায়গায়, যে কোন সময়ে টাকাপয়সার চিন্তা না করে   মোবাইল লোন নিতে গেলে অন দ্য স্পট অ্যাপ্রুভাল পাওয়া যায়। তাই এই লোনটি আলাদা ভাবে আকর্ষণীয়।

৩।যেহেতু কেনার সাথে সাথেই পুরো পেমেন্টটা করতে হচ্ছে না, তাই আপনি একটু বেশি দামের স্মার্ট ফোনে বিনিয়োগ করলেও সহজ ইএমআই দিয়ে তাকে পরিশোধ করে দিতে পারবেন।

৪।মোবাইল ফোন হ’ল আনসিকিওরড লোন এবং এর জন্য কোন সিকিউরিটি ডিপোজিট লাগে না বা কেনাকাটার সময় কোন ডাউনপেমেন্ট করতে হয় না।

৫।লোনের জন্য প্রমাণপত্রাদি

অনলাইনে যে সব লোন নেওয়া সব থেকে সহজ মোবাইল লোন তাদের মধ্যে একটি। বেশিরভাগ মোবাইল লোন কেনার সময়েই অন দ্য স্পট মঞ্জুর করা হয়। শুধুমাত্র মোবাইল লোনের জন্য দরকারি যোগ্যতামান ও বাধ্যতামূলক নথিপত্র থাকলেই হবে।

অনলাইন মোবাইল লোনের সুবিধা

অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। এদের মধ্যে বিপদের সময় আপনি যদি টাকা সংগ্রহ করার আর কোন উপায় না পান তাহলে আপনি বিকাশ লোনের সুবিধা নিতে পারেন। এবং বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ আপনার কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে।

১।চিকিৎসা: ধরুন আপনার বা আপনার কোনো নিকটাত্মীয়ের জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসার প্রয়োজন। চিকিৎসার জন্য আপনাকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে এবং আপনার কাছে সেই মুহূর্তে সেই পরিমাণ টাকা নেই। তখন আপনি বিকাশ লোনের সুবিধা নিতে পারবেন।

২।প্রাকৃতিক দুর্যোগ: আমাদের দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অনেকে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগের সময় যদি, আপনার লোনের প্রয়োজন হয় তাহলে, আপনি বিকাশ থেকে লোনের সুবিধা নিতে পারবেন।

৩।কৃষিকাজ: কৃষিকাজ করার সময় বিভিন্ন জিনিসের প্রয়োজন হয়। আর এই জিনিস কেনার জন্য আপনি বিকাশ থেকে লোন নিতে পারেন। কিন্তু, আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা লোন নিতে পারবেন।

৪।ব্যবসা: ধরুন, আপনি ব্যবসার কাজ করতে কোথায় গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে দেখলেন আপনার মাল কেনার জন্য ১০,০০০ টাকা কম পড়ে। তখন আপনি বিকাশ লোনের সুবিধা নিতে পারবেন।

৫।অন্যান্য: অন্যান্য অনেক বিপদের সময়ে আপনার টাকার প্রয়োজন হতে পারে। তখন আপনি বিকাশ থেকে এই ১০ হাজার টাকা লোন হিসেবে নিতে পারবেন।

মোবাইল থেকে লোন নেওয়ার বয়সসীমা কত

১।মোবাইল থেকে লোন নিতে হলে আপনার অবশ্যই ১৮ বছরের ওপরে হতে হবে।

২।১৮ বছর থেকে শুরু করে ৬০ বছর পর্যন্ত যাদের বয়স তাদের লোন দেওয়া হয়।

৩।যদি আপনার বয়স ১৮ এর নিচে হয় তাহলে আপনি মোবাইল থেকে লোন নিতে পারবেন না।

৪। আপনার বয়স যদি ৬০ বছর এর ওপরে হয় তাহলে আপনি মোবাইলদ থেকে লোন নিতে পারবেন না।

বর্তমান সময়ে আমরা সবাই জানি অনলাইনের মাধ্যমে সবকিছুই করা যায়। এখন অনলাইনের মাধ্যমে আপনি মোবাইল থেকে লোন নিতে পারবেন। এটা এখন পর্যন্ত অনেকেরই অজানা যে মোবাইল থেকে অনলাইনের মাধ্যমে লোন নেওয়া যায়। মোবাইল থেকে অনলাইন এর মাধ্যমে লোন নিতে হলে আপনার অবশ্যই বয়স থাকা লাগবে। কারণ পর্যাপ্ত বয়স না হলে আপনাকে কখনোই অনলাইন থেকে লোন প্রদান করবে না। আপনাদের জেনে রাখা উচিত যদি আপনারা মোবাইল থেকে লোন নিতে চান তাহলে আপনাদের বয়সসীমা কত হতে হবে।

অনলাইনে লোন পরিশোধ করার সময়

বিকাশ লোন পাওয়ার পর, তিন থেকে ছয় মাস সময়ের মধ্যে আপনাকে সেই টাকা পরিশোধ করতে হবে। আপনি আপনার বিকাশ অ্যাপ দিয়ে লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।

লোনের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে কি হবে?

আপনি যদি লোন পরিশোধ না করতে পারেন তাহলে সিটি ব্যাংক থেকে আপনার ডিফল্ট ইনফর্মেশন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চলে যাবে এবং ব্যাংক তাদের নিয়ম-কানুন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, এই লোনের সঙ্গে প্রযোজ্য সুদ ও অন্যান্য বিধি-বিধান প্রতিফলিত হবে। এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ নিয়ম অনুসারে সকল প্রকার ঋণের শতকরা ৯% সুদ দিতে হয়। বিকাশের ক্ষেত্রে ও তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে আপনাকে পুরো টাকা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে না হলে আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনলাইন মোবাইল লোন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর

১।অনলাইন লোন অ্যাপস কোনটি?

উত্তরঃবর্তমানে অনলাইন লোন অ্যাপস গুলোর মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় হচ্ছে বিকাশ। বিকাশ অ্যাপস থেকে গ্রাহকগণ ৫০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত ৯% সুদে লোন দিতে পারবেন। এই লোন ৩ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।

২।জামানত ছাড়া কি অনলাইনে লোন পাওয়া যাবে?

উত্তরঃএমন অনেক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে কোনো আমানত না নিয়েই অনলাইনে লোন দিয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি তো আমি এই পোস্টেই উল্লেখ করলাম।

৩।কোন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন লোন নেয়া সুবিধাজনক?

উত্তরঃআপনি হয়তো সব প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নাও পেতে পারেন বা যোগ্য নাও হতে পারেন তাদের চাহিদা অনুযায়ি। তাই আপনার উচিত হবে মুটামুটি যে প্রতিষ্ঠান গুলোর তথ্য নেয়া এবং নিজের জন্য কোনটা পারফেক্ট তা বাছাই করা।

৪।ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া সঠিক কিনা?

উত্তরঃব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সঠিক কিনা সেটা যে লোন নিবে সেই ভালো বুঝবেন।  আপনি ব্যাংকের লোনের টাকা সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে পারবেন কিনা এবং ব্যাংকের সকল নিয়মাবলী জেনে ভালোভাবে তারপরে লোনের জন্য আবেদন করবেন। আমরা যতটুকু তথ্য দিতে সম্ভব  হয়েছি ততটুকু আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলেন বাংলাদেশে অনলাইনে লোন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে।

শেষকথা

আমাদের বিভিন্ন সময় অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। যেমন আপনি যদি কোন ব্যবসা শুরু করেন অথবা বিদেশ যেতে চান তাহলে আপনার অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। এই সময় অনেকেই লোন নিতে চায়। বেশিরভাগ মানুষ লোন নেয় ব্যাংক থেকে। ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে অনেক কাগজপত্র এবং সময়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপনি মোবাইল থেকে যদি অনলাইনের মাধ্যমে লোন আপনি খুব তাড়াতাড়ি লোন নিতে পারবেন। অনলাইন থেকে কিভাবে আপনারা লোন নিবেন বিস্তারিত পোস্টে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

Post Tags-

জরুরি মুহূর্তে অনলাইন লোন বাংলাদেশ ২০২২, অনলাইন লোন অ্যাপস বাংলাদেশ,মোবাইল ব্যাংকিং লোন,জরুরী লোন বাংলাদেশ,১০ হাজার টাকা লোন,ইনস্ট্যান্ট লোন ইন বাংলাদেশ,প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ,অনলাইন লোন অ্যাপ্লাই,

আরও-

মেট্রোরেল প্রকল্প |মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান | মেট্রোরেল ২০২৩

বাংলালিংক সিমের কাস্টমার কেয়ার নাম্বার

কোন মোবাইলে নেট ভালো চলে ২০২৩

ব্লগিং-ইউটিউবিং-ফেসবুকিং থেকে ইনকাম করুন (FB ভিডিও) –  https://www.facebook.com/ssitbari

ব্লগিং-ইউটিউবিং-ফেসবুকিং থেকে ইনকাম করুন (YT ভিডিও)- https://www.youtube.com/channel/UCF8ngGZDCsYKpLlf9Mjb6Ig

ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্নপূরণ+ইনকাম এর সাইট- www.workupplace.com

বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত সকল আপডেট পেতে – www.ssitbari.com

ইংলিশে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সকল তথ্য পেতে – www.usitbari.com

আসসালামু আলাইকুম, আমি একজন অনলাইন কনটেন্ট রাইটার। আমার লেখাগুলো পড়ে বিন্দুমাত্র আপনার কোন উপকারে আসলে অবশ্যই পোস্টটিতে কমেন্টস করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

1 thought on “অনলাইনে মোবাইল লোন বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৪”

Leave a Comment