ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা ও এর সুবিধা সমূহ জেনে নিন ২০২৩-২০২৪

ক্রেডিট কার্ড আজকের অনলাইন জগতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বিল পরিশোধ করা বা আমাদের প্রয়োজন বা প্রয়োজনে ঋণ নেওয়া খুবই সহজ। তবে এই ক্রেডিট কার্ড প্রতিটি ব্যাংকের জন্য আলাদা।তবে আজ আমরা আলোচনা করব ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নিয়ে।

প্রায় প্রতিটি ব্যাংক গ্রাহকই ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের জন্য যোগ্য। বর্তমানে মানুষের স্বপ্ন পূরণের প্রধান মাধ্যম হল ক্রেডিট কার্ড কারণ এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মানুষ সহজেই ঋণ নিতে পারে এবং তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। একটি ক্রেডিট কার্ড একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা জারি করা একটি কার্ড।

যদি আপনি আর্থিকভাবে সবল থাকার প্রমাণ দেখান তবেই ব্যাংকগুলি আপনাকে ক্রেডিট কার্ড দেবে৷ অর্থাৎ নির্দিষ্ট যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলেই ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যাবে।তাহলে চলুন নিচে ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট পাওয়ার যোগ্যতা ও সুবিধা সমূহ জেনে নেয়া যাক।ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড কি?

একটি ক্রেডিট কার্ড বর্তমানে একটি কার্ড যা সকল ব্যাংক গ্রাহকদের এক জায়গায় এবং একটি নির্দিষ্ট একাউন্টের বিনিময়ে দেওয়া হয়। এটি একটি খুব জনপ্রিয় মাধ্যম প্রায় সব ধরনের ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের এই ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকে। কিন্তু আপনি এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খুব সহজেই যেকোনো বিল পেমেন্ট করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি খুব দ্রুত ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন এবং অনলাইন জগতে আপনার ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খুব সহজেই কেনাকাটা করতে পারবেন।

ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার ও কি কি জেনে নিন

অন্যান্য ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মত ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড অনেক সুবিধা প্রদান করে থাকে।ইসলামী ব্যাংক নতুন কার্ড প্রদান করছে যার নাম খিদমাহ কার্ড।

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড কি?

ইসলামী ব্যাংক এর পক্ষ থেকে নতুন কার্ডের সার্ভিস চালু করেছে যার নাম দেয়া হয়েছে ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড। কার্ডটি হবে এক প্রকার ডুয়েল কারেন্সি কার্ড তবে এটি পরিচালিত হবে সম্পূর্ণ ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক। সেই সুবাদে কার্ডটি পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্পুর্ণ সুদ মুক্ত শক্তিশালী শরিয়াহ নিয়মে বিভিন্ন খরচ নির্ধারন করা হবে। কার্ডটি ব্যবহার ও পরিচালনার কাজে যতটুকু খরচ হবে সেই পরিমাণেই অর্থ গ্রহন করা হবে।

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ডের বৈশিষ্ট্য

১।”উজরাহ ধারণা” (নির্ধারিত ফি ভিত্তিক ধারণা) এর উপর ভিত্তি করে একটি শরীয়াহ সম্মত কার্ড।

২।বিশ্বব্যাপী ব্যবহারের বিশেষাধিকার।

৩।কেনার ক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি নেই।

৪।গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ওয়াসার বিল পরিশোধ।

৫।VISA গ্লোবাল অফারের মধ্যে এক্সক্লুসিভ শপিং এবং ট্রাভেল ডিসকাউন্ট।

৬।হোটেল এবং হাসপাতাল বুকিং, বাস, ট্রেন এবং বিমানের টিকিট।

৭।সুপারস্টোরে কেনাকাটায় একচেটিয়া ছাড়।

৮।সর্বনিম্ন চার্জ।

৯।প্রথম সম্পূরক কার্ড বিনামূল্যে।

১০।কার্ড চেক সুবিধা।

১১।অগ্রিম বেতন সুবিধা।

ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন প্রকার ক্রেডিট কার্ড

বর্তমানে আমাদের দেশে ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু করতে পারি। যেমন আমাদের কোনো ঋণ প্রয়োজন পড়লে আমরা ক্রেডিট কার্ড থেকে নিতে পারি। কিন্তু কয়েক বছর আগে হলে আমাদের ব্যাংকে গিয়ে ঋণ নিতে হতো। এখন আপনি অনলাইন মোবাইল লোন অথবা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খুব সহজেই ঋণ নিতে পারবেন। আমরা অনেকেই জানি যে ক্রেডিট কার্ড কি কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার সে সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। এখান থেকে আপনারা জানতে পারেন ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার।

ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড তিন প্রকার।যথা-

১।সিলভার কার্ড।

২।গোল্ড কার্ড

৩।প্লাটিনাম কার্ড

সিলভার কার্ড

সিলভার কার্ড বের করতে হলে আপনাকে মাসিক আয় ৫০,০০০ টাকা দেখাতে হবে।

গোল্ড কার্ড

গোল্ড কার্ডের জন্য আপনাকে মাসিক আয় দেখাতে হবে ১, ০০,০০০ টাকা।

প্লাটিনাম কার্ড

যদি আপনি ইসলামী ব্যাংকে প্লাটিনাম কার্ড পেতে চান তাহলে আপনার ন্যূনতম মাসিক আয় দেখাতে হবে ২, ০০,০০০ টাকা।

ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন যা নিচে দেওয়া হল-

১।চাকরিতে থাকা সরকারী কর্মচারী (মাসিক ন্যূনতম আয়ের স্তর সিলভার কার্ডের জন্য ২০ হাজার টাকা, গোল্ড কার্ডের জন্য ৫০ হাজার টাকা ও প্লাটিনাম কার্ডের জন্য ১ লক্ষ টাকা)।

২।স্বনামধন্য প্রাইভেট কোম্পানির চাকরিরত কর্মচারীরা (মাসিক ন্যূনতম আয়ের স্তর হল ২০,০০০ টাকা সিলভার কার্ডের জন্য, টাকা ৫০ হাজার টাকা গোল্ড কার্ডের জন্য এবং প্লাটিনাম কার্ডের জন্য ১ লক্ষ টাকা)।

৩।সন্তোষজনক লেনদেন এবং ব্যালেন্স সহ IBBL এর আমানতকারীরা উক্ত কার্ডটি গ্রহন করতে পারবে।

৪।বিদেশী প্রেরক/সুবিধাভোগী যারা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ঘন ঘন বিদেশী রেমিট্যান্স পাঠান/গ্রহণ করেন।

৫।যেকোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকে সন্তোষজনক ব্যালেন্স সহ গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

৬।TIN দ্বারা সন্তোষজনক টার্নওভার প্রমাণ সহ ব্যবসায়ীরা (মাসিক আয়ের স্তর সিলভার কার্ডের জন্য টাকা ৫০,০০০ টাকা গোল্ড কার্ডের জন্য ১ লক্ষ টাকা এবং প্লাটিনাম কার্ডের জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা)।

৭।শিক্ষক, ডাক্তার, প্রকৌশলী এবং অন্যান্য পেশাজীবিরা উক্ত কার্ডটি গ্রহন করতে পারবে।

৮।অন্য কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড থাকা গ্রাহকদের কিন্তু একটি কার্ডের এর বেশি নয় এমন।

৯।পর্যটন, ব্যবসা, এবং বিদেশে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভ্রমণকারীরা কার্ডটি গ্রহন করতে পারবে।

১০।বিদেশী খামারের সাথে৮ চুক্তিবদ্ধ বাংলাদেশী নাগরিকরাও কার্ডটি ব্যবহারের সুযোগ পাবে।

ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন

ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পেতে হলে আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট ব্যাংকে জমা দিতে হবে। তবে এই ডকুমেন্টের সাথে সাথে আলাদা কিছু কাগজপত্র ও দিতে হবে। চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে কি কি দিতে হবে তা নিচে দেওয়া হল-

চাকরিজীবিদের ক্ষেত্রে

১) দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি

২) জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রয়োজন পড়বে ডকুমেন্টস হিসেবে।

৩) যেখানে চাকরি করছেন সেখানের আইডি কার্ড (ছবি যুক্ত থাকা জরুরি, তবে ক্ষেত্র বিশেষে নাও থাকতে পারে)

৪) যদি ই-টিন সার্টিফিকেট থেকে থাকে তবে সেটি সাবমিট করতে হবে।

৫) গত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে।

৬) আপনি যেখানে চাকরি করেন সেইখানের কতৃপক্ষের কাছ থেকে বেতনে স্বাক্ষারিত সার্টিফিকেট দেখাতে হতে পারে।

ব্যবসায়িক কর্মী/ব্যক্তি/পেশাদারের ক্ষেত্রে

১।দুইটি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।

২।জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট (১ম ৭ পৃষ্ঠা এবং নবায়ন পৃষ্ঠা)

৩।আপ টু ডেট ই-টিআইএন সার্টিফিকেট অথবা সর্বশেষ ট্যাক্স রিটার্ন স্বীকৃতি স্লিপ (ব্যক্তিগত ও কোম্পানি) এর কপি।

৪।গত ছয় মাসের জন্য আসল ব্যাংক স্টেটমেন্ট আবেদনকারীর দ্বারা যথাযথভাবে স্বাক্ষরিত

বৈধ ট্রেড লাইসেন্সের কপি (সর্বশেষ/নবায়ন)।

৫।বিজনেস কার্ড।

৬।ক্লিন সিআইবি রিপোর্ট।

৭।বসবাসের প্রমাণ (অর্থাৎ হোল্ডিং ট্যাক্স পেমেন্টের রসিদ বা বিদ্যুৎ/গ্যাস/ওয়াসা/বিটিটিবি টেলিফোন বিলের মতো যেকোনো ইউটিলিটি বিলের পেমেন্টের একটি সত্যায়িত কপি)।

৮।পেশাদারের ক্ষেত্রে, পেশাদার সংস্থা/সক্ষম কর্তৃপক্ষের সদস্যতা প্রশংসাপত্র।

ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের চার্জ

১।বাৎসরিক ফি প্রাইমারি কার্ডের জন্য: সিলভার ১০০০/=, গোল্ড ১৫০০/= ও প্লাটিনাম ২০০০/=

২।বাৎসরিক ফি প্রথম সাপ্লিমেন্টারি কার্ডের জন্য কার্ডের জন্য: ফ্রি (যেকোন কার্ডের জন্য)

৩।বাৎসরিক ফি দ্বিতীয় ও পরবর্তী প্রতিটি সাপ্লিমেন্টারি কার্ডের জন্য কার্ডের জন্য: ৫০০ টাকা (যেকোন কার্ডের জন্য)

৪। মাসিক মেইনটেন্যান্স ফি: সিলভার – ৫০০/=, গোল্ড- ১০০০/= ও প্লাটিনাম- ১৫০০।

৫। মাসিক ওভার লিমিট চার্জ: ৫০০ টাকা (যেকোন কার্ডের জন্য)

৬।লেট পেমেন্ট চার্জ: ৫০০ টাকা (যেকোন কার্ডের জন্য)

৭। কার্ড রিপ্লেসমেন্ট ফি: ৫০০ টাকা (যেকোন কার্ডের জন্য)

৮।ক্যাশ উত্তোলন ফি: ১৫০ টাকা প্রতিটি ট্রানজেকশনের ক্ষেত্রে । (যেকোন কার্ডের জন্য)

৯।ডুপ্লিকেট স্টেটমেন্ট ফি: ৩০০ টাকা, ৬ মাসের জন্য ।(যেকোন কার্ডের জন্য)

১০।কার্ড চেক বই ফি: ১৫০ টাকা, দ্বিতীয় এবং পরবর্তী প্রতি ২০ পাতা চেকের জন্য।

১১।কার্ড চেক ট্রানজেকশন ফি: ৩০০ টাকা প্রতি লেনদেনের জন্য যেকোনো কার্ডের ক্ষেত্রে।

১২।রিটার্ন চেক ফি: ৩০০ টাকা যেকোনো কার্ডের ক্ষেত্রে।

১৩।অউটস্টেশন চেক প্রসেসিং ফি: ৫০ টাকা যেকোনো কার্ডের ক্ষেত্রে।

১৪।সেলস্ ভাউচার পুনরুদ্ধার ফি: ৫০০ টাকা, ৬ মাসের জন্য ।(যেকোন কার্ডের জন্য)

১৫।মাসিক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট ফি: ১০০ টাকা, দ্বিতীয় এবং পরবর্তী ।

১৬।সিআইবি প্রসেসিং ফি: ১০০ টাকা যেকোনো কার্ডের ক্ষেত্রে।

১৭।ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফি: ফ্রি, যেকোনো কার্ডের ক্ষেত্রে।

ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা

বাংলাদেশের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক অন্যতম একটি ব্যাংক। এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের অনেক সুবিধা রয়েছে। যারা এখনো ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিবেন ভাবছেন তারা জেনে নিন এর সুবিধা সমূহ –

১।এই কার্ডটি দিয়ে দেশের যেকোনো অনলাইন, অফলাইন শপিং প্লাটফর্ম থেকে কেনাকাটা করা যাবে খুব সহজে।

২।প্রতিটি কার্ডের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমা অব্দি ধারে পণ্য কেনাকাটা করা যাবে।

৩।কার্ড ব্যবহার করে ধারে ক্রয় কৃত মূল্য পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মত সময় দেয়া হয়ে থাকে যদি আপনার ক্রেডিট কার্ডে বিন্দুমাত্রও অর্থ না থাকে।

৪।এক্ষেত্রে অবশ্যই ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পুর্ণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

৫।যদি কোনো কারনে উক্ত সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধ করতে না পারা যায় তবে ব্যাংকে নূন্যতম টাকা জমা দানের মাধ্যমে ব্যাপারটি ফিক্স করা হবে এতে পরবর্তীতে ব্যাংকে এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে।

৬।বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে অনলাইন/ অফলাইন মার্কেটে যেসকল ডিস্কাউন্ট, গিফট, ক্যাশব্যাক দিয়ে থাকে এই কার্ডের ব্যবহারের মাধ্যমে সেসব গ্রহন করা যাবে।

৭।ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড এর মাধ্যমে বাস, ট্রেন, প্লেনের টিকিটের কাটা পরিশোধ করা যাবে।

৮।এটিএম বুথ থেকে নিদিষ্ট করে দেয়া সীমার ২৫% টাকা নগদে তোলা যাবে। যদিও এই ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ কাটা হবে।

৯।ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড এর বিল পরিশোধের ক্ষেতে i-banking ব্যবহার করা যাবে।

১০।শুধু বাংলাদেশেই নয় বরং দেশের বাইরেও যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে এই কার্ড ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন করা যাবে কারন কার্ডটিতে থাকছে ডুয়েল কারেন্সি ব্যবহারের সুবিধা।

১১।প্রথম বারের মত সাপ্লিমেন্টরি কার্ড ফ্রি করে দেয়া হয়েছে।

১২।অন্যান্য ব্যাংকের কার্ডের সাথে তুলনা করলে এই কার্ডের চার্জের পরিমাণ কম উক্ত কার্ডের মাধ্যমে বেতনের টাকা অগ্রিম ব্যবহার করা যায়।

ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম

১।প্রথমত ক্রেডিট কার্ড বের করার জন্য আপনার একাউন্ট থাকতে হবে ইসলামী ব্যাংকে।

২।ব্যাংকের একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা থাকতে হবে।

৩।যদি আপনার ব্যাংক একাউন্টে ছয় মাসের জন্য বৈধ থাকে তাহলে আপনি সরাসরি ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করবেন।

৪।ব্যাংক ম্যানেজার কে বলবেন আপনার ক্রেডিট কার্ড প্রয়োজন তাহলে সে আপনাকে প্রক্রিয়া বলে দেবে কিভাবে আপনারা ক্রেডিট কার্ড পেতে পারেন।

৫।আপনি যদি ভিসা কার্ড পাওয়ার যোগ্য হন তাহলে আপনাকে ভিসা কার্ড দেওয়া হবে।

আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজের যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ

ক্রেডিট কার্ড এমন একটি ফাংশন যাতে আপনার কার্ডে ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট টাকা জমা থাকবে। এবং এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি যেকোন জায়গা থেকে টাকা তুলতে পারবেন। এবং সেই টাকা তুলে আপনার প্রয়োজন মত খরচ করবেন ব্যাংক থেকে আপনার কোন সমস্যা হবে না। প্রথম ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার সাথে সাথে আপনি বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে পারবেন না। ইসলামী ব্যাংক যদি বুঝতে পারে যে আপনি টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন এরপর আপনি বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যবহারের অনুমতি পাবেন।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর

১।ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড কি?

উত্তরঃইসলামী ব্যাংকের খিদমা ক্রেডিট কার্ডের এমন অনেক সুযোগ সুবিধা আছে যেটা বাংলাদেশের প্রচলিত অন্য ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে নেই । ক্রেডিট কার্ডের বিষয়টি যাদের কাছে ক্লিয়ার না তাদেরকে বলছি, এটি হলো এমন একটি কার্ড যেটা দিয়ে আপনি এটিএম কার্ডের মত এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন, পারচেজ, ই কমার্স ইত্যাদি সকল ধরনের কাজ করতে পারেন ।

২।ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায়?

উত্তরঃ ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে আপনি সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা করে প্রতিবার উত্তোলন করতে পারবেন।

৩।ইসলামী ব্যাংক কার্ড কত প্রকার?

উত্তরঃইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড গ্রাহকদের সুবিধার্থে দুই ধরনের EMV চিপযুক্ত ডেবিট কার্ড চালু করেছে ‘সিলভার ডেবিট কার্ড’ এবং ‘প্ল্যাটিনাম ডেবিট কার্ড’। এই ডেবিট কার্ড এর মাধ্যমে নগদ অর্থ উত্তোলন এবং ক্রয় সীমা বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহকরা ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, এটিএম উত্তোলন এবং পিওএস পেমেন্ট সুবিধা সহ কেনাকাটা করতে সক্ষম হবেন।

৪।ইসলামী ব্যাংক এম ক্যাশ কি সুবিধা?

উত্তরঃইসলামী ব্যাংক “mCash” এর সুবিধাসমুহ

– দিনে ২৪ ঘন্টা, সপ্তাহে ৭ দিন ও ৩৬৫ দিন ব্যাংকিং সুবিধা।

– শাখাবিহীন ব্যাংকিং সুবিধা।

-দেশের যেকোন স্থান হতে ব্যাংকিং সেবা গ্রহন সম্ভব।

-বিদেশ হতে অল্প সময়ে সরাসরি মোবাইল একাউন্টে অর্থ প্রেরণ।

৫।খিদমাহ কার্ড কি?

উত্তরঃইসলামী ব্যাংক এর পক্ষ থেকে নতুন কার্ডের সার্ভিস চালু করেছে যার নাম দেয়া হয়েছে ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড। কার্ডটি হবে এক প্রকার ডুয়েল কারেন্সি কার্ড তবে এটি পরিচালিত হবে সম্পূর্ণ ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক। সেই সুবাদে কার্ডটি পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্পুর্ণ সুদ মুক্ত শক্তিশালী শরিয়াহ নিয়মে বিভিন্ন খরচ নির্ধারন করা হবে।

শেষ কথা

বর্তমানে মানুষের স্বপ্ন পূরণের প্রধান মাধ্যম হলো এই ক্রেডিট কার্ড। আপনার কাছে যদি ক্রেডিট কার্ড থেকে আপনি যেকোন জায়গা থেকে টাকা তুলতে পারবেন। যদি আপনার ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট থাকে তাহলে আপনি কিভাবে ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পাবেন বিস্তারিত এই পোস্টে আলোচনা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট ধারণা হবে। এবং আপনি সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন ধরনের ক্রেডিট কার্ডে আপনি নিতে চান। ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে আরো জানতে ওয়েবসাইট  ভিজিট করতে পারেন।

পোস্ট ট্যাগ-

ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড চার্জ, ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা,গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড,শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড,ইসলামী ব্যাংক ডেবিট কার্ড সুবিধা,সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা,ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড,ইসলামী ব্যাংক ডেবিট কার্ড চার্জ।

আপনার জন্য আরো 

আরও-

পূবালী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত

কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো জেনে নিন

বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের নিয়মনীতি

ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা-অসুবিধা

ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *