জেনে নিন কমিউনিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও চার্জ সমূহ ২০২৩-২০২৪

বর্তমানে সকলে অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্য এখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশের সকল ব্যাংক এখন ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকে। সাথে সাথে ব্যাংক গুলো  দিয়েছে ক্রেডিট কার্ডের উপর নানা রকম সুযোগ সুবিধা। আপনার যদি  ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে আপনি যেকোন জায়গা থেকে টাকা উঠাতে পারবেন। এবং আপনি নিজের মতো ইচ্ছে করে খরচ করতে পারবেন।  কিন্তু অনেকেই জানেনা  কমিউনিটি ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড করলে সে কি কি সুবিধা পাবে।

তাই আজকের আলোচনায় কমিউনিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ও এর  সুবিধা সমূহ বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।কমিউনিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা

কমিউনিটি ব্যাংক কি?

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশের একটি তালিকাভুক্ত বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ৫৯তম বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে কমিউনিটি ব্যাংক এর যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট এই ব্যাংকটি পরিচালনা করে। তাদের পরিচালনা পর্ষদে র‌্যাব সদস্যরাও আছে। বর্তমানে ব্যাংকটি ৬৭ টি শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় পুলিশ প্লাজা কনকর্ড, গুলশান ১, ঢাকায় অবস্থিত।

কমিউনিটি ব্যাংকের ইতিহাস

বাংলাদেশ পুলিশ বাণিজ্যিকভাবে এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে ২০১৭ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে মূলধনের ৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহ শুরু করে। পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে মূলধন সংগ্রহ শেষ হয়। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত এবং ১০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে গঠিত কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পায়।

সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা,চার্জ ও সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

১ নভেম্বর ব্যাংকটিকে তফসিলি ব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত করে এর শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাংক কম্পানি আইনের ১৯৯১ (সংশোধিত ২০১৩) আরোপিত সীমাবদ্ধতা তুলে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ধারায় বলা হয়েছে, ১৪ক (১) ‘কোনো ব্যক্তি, কম্পানি বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ব্যাংকের শেয়ার কেন্দ্রীভূত করা যাইবে না এবং কোনো ব্যক্তি, কম্পানি বা কোনো পরিবারের সদস্যরা একক, যৌথ বা উভয়ভাবে কোনো ব্যাংকের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ক্রয় করিবেন না।’ ৪ নভেম্বর ব্যাংকটি তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়।

কমিউনিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন

বর্তমানে এখন ক্রেডিট কার্ড সব ব্যাংক থেকে দেওয়া হয়। তাই সবাই এখন ক্রেডিট কার্ড করতে চায়। কমিউনিটি ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ড প্রদান করছে। কিন্তু প্রদান করার পূর্বে কিছু শর্ত এবং কাগজপত্র প্রয়োজন হয়।

কিন্তু তা অনেকেই জানেনা যে কমিউনিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে। এটা না জানার কারণে অনেকেই পরে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই নিচে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি   কমিউনিটি ব্যাংকের কার্ড পেতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন।

১।প্রথমত কমিউনিটি ব্যাংক আপনার একাউন্ট থাকতে হবে।

২।আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।

৩।আপনার এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

৪।বর্তমান বাড়ির ঠিকানা।

৫।আপনার নমিনির ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।

৬।ব্যাংকে ৩ মাস লেনদেন করেছেন তার প্রমাণ।

৭।আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে চাকরির সার্টিফিকেট অথবা বেতনের স্লিপ।

কমিউনিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা

১।কমিউনিটি ব্যাংক ভিসা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে।

২।সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ওয়ালটন প্লাজা থেকে ইলেকট্রনিক্স ওহম অ্যাপ্লায়েন্সেস কিনে।

৩।এবং কুইক ভাইয়ের মাধ্যমে উপভোগ করে।

৪।আপনারা যদি এই সমস্ত জায়গা থেকে কোন জিনিস কিনেন আপনি ১২% পর্যন্ত ০% ইন্টারেস্ট ইএমআই সুবিধা।

৫।কমিউনিটি ব্যাংকের ভিসা ক্রেডিট কার্ড পেতে কল করুন ১৬৭০৭ নম্বরে।

আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই এখন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো কমিউনিটি ব্যাংক। এ ব্যাংকে যদি আপনি ক্রেডিট কার্ড করেন তাহলে অনেক সুবিধা পাবেন। যদি আপনি এই সুবিধাগুলো না জানেন তাহলে আপনি কখনোই উপভোগ করতে পারবেন না।

আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজের যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা কমিউনিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের কি কি সুবিধা রয়েছে সে সম্পর্কে জানেনা। অনেকেই ভাবে কমিউনিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে কোন অসুবিধা নেই এটা তাদের ভুল ধারণা। কমিউনিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাবেন। কি কি সুবিধা পেতে পারেন তা উপরে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি।

কমিউনিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড চার্জ

১।কমিউনিটি ব্যাংক ভিসা ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে সাশ্রয়ী।

২।প্রথম বছরে কোন বাসরিক চার্জ নেই।

৩। আজীবন একটি সাপ্লিমেন্টারি কার্ড ফ্রি পাবেন।

৪।কমিউনিটি ব্যাংক ১২ লেনদেন বাৎসরিক চার্জ ফ্রি।

৫।কমিউনিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য আপনার নিকটস্থ কমিউনিটি ব্যাংকের   শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করুন।

বর্তমান সরকার এখন প্রত্যেকটা মানুষের সুবিধার জন্য ব্যাংক একাউন্ট করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। তাই আপনারা ব্যাংক থেকে অনেক সুবিধা পাবেন। যেমন এখন প্রত্যেকটা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড দেয় এর মাধ্যমে আপনি যেকোন জায়গা থেকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন। কমিউনিটি ব্যাংক তার মধ্যে অন্যতম একটি। কিন্তু অনেকেই জানেনা কমিউনিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড চার্জ কত। তাই বিস্তারিত ওপরে জানাতে চেষ্টা করেছি।

কমিউনিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারের সর্তকতা

১।ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সময় কিছু নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রাখতে হবে। একটু অনিয়মে ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি। তাই ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড এমন স্থানে রাখুন, যেন সহজে কারও তা চোখে না পড়ে।

২।নারীরা যদি পার্স বা ভ্যানিটি ব্যাগে ক্রেডিট কার্ড রাখেন, তাহলে চেন বন্ধ রাখুন। জনবহুল এলাকায় কেনাকাটার ক্ষেত্রে ছোট ব্যাগে ক্রেডিট কার্ড রাখুন।

৩।মুঠোফোন বা ক্যামেরায় কেউ যাতে আপনার কার্ডের ছবি তুলতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। মূল্য পরিশোধের পর কার্ড ফেরত নেওয়া হয়েছে কি না, সেটি নিশ্চিত হতে হবে। ক্রেডিট কার্ডের নম্বর বা এ-সম্পর্কিত স্পর্শকাতর তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।

৪।ব্যাংকের অনুমোদিত বা নির্ধারিত ব্যক্তি ছাড়া কার্ডের তথ্য অন্য কেউ চাইলে জিজ্ঞাসা করে তার পরিচয় নিশ্চিত হোন।

৫।সাধারণত ক্রেডিট কার্ডের তথ্য আদান-প্রদানে ব্যাংকের নির্দিষ্ট ফোন নম্বর থাকে। এর বাইরে কোনো নম্বর থেকে ফোন করে কার্ডের তথ্য চাইলে, তা নির্ধারিত ব্যাংকে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়ে নিন।

৬।কার্ড হারিয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন। দ্রুত সময়ে কার্ডটি লক হলে ক্ষতির আশঙ্কা অনেকাংশে কমানো সম্ভব হয়।

৭।যে এটিএম ব্যবহার করে আপনি নিয়মিত টাকা তোলেন, চেষ্টা করুন সেসব স্থান থেকেই টাকা তুলতে। ব্যাংকের ভেতরে বা কাছাকাছি জায়গায় স্থাপিত এটিএমের চেয়ে অপরিচিত স্থানের এটিএম থেকে টাকা না তোলাই উত্তম।

৮।কার্ডের পিন এটিএমে প্রবেশ করানোর সময় আরেক হাত দিয়ে তা ঢেকে রাখুন, যাতে গোপন কোনো ক্যামেরা বা যন্ত্রে পিন নম্বরটি দেখা না যায়।

৯।যদি আপনার কার্ডটি হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে থাকে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া আপনার ব্যবহৃত কার্ডে স্টেটমেন্টে কোনো ধরনের অসংগতি নজরে এলে কল সেন্টারে ফোন দিয়ে রিপোর্ট করুন। সে ক্ষেত্রে স্টেটমেন্ট তারিখের ৩০ দিনের মধ্যে   লেনদেন-সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করে লিখিতভাবে রিপোর্ট করতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর

১।কমিউনিটি ব্যাংক কি সরকারি?

উত্তরঃকমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশের একটি তালিকাভুক্ত বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ৫৯তম বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে কমিউনিটি ব্যাংক এর যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট এই ব্যাংকটি পরিচালনা করে। তাদের পরিচালনা পর্ষদে র‌্যাব সদস্যরাও আছে।

২।কমিউনিটি ব্যাংক কার্ড ফ্রিজ কি?

উত্তরঃআপনার ডেবিট কার্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে, আমাদের জরুরি নম্বর 1-866-703-2255 এ কল করুন। স্বয়ংক্রিয় পরিষেবাতে একবার, 4 টিপুন।

৩।কমিউনিটি ব্যাংকের মালিক কে?

উত্তরঃড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও চেয়ারম্যান, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।

৪।ব্যাংক একাউন্ট পার্মানেন্টলি ব্লক করার উপায় কি?

উত্তরঃঅনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান আপনাকে অনলাইনে এটি করার অনুমতি দেয়, তবে এর জন্য গ্রাহক পরিষেবায় একটি ফোন কল বা স্থানীয় ব্যাঙ্ক শাখায় যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। কিছু ব্যাঙ্ক এবং ক্রেডিট ইউনিয়ন আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার অনুরোধ ফর্ম পূরণ করতে বা একটি লিখিত অনুরোধ জমা দিতে হতে পারে।

৫।জাতীয় ব্যাংক বনাম স্থানীয় কমিউনিটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকার দুটি সুবিধা কোনটি?

উত্তরঃন্যাশনাল ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় কমিউনিটি ব্যাঙ্কগুলি ঋণ এবং অ্যাকাউন্টগুলির ক্ষেত্রে আরও নমনীয় এবং বোঝার প্রবণতা রাখে যারা নির্দেশিকা এবং নিয়মগুলির একটি কঠোর সেট বৈশিষ্ট্যযুক্ত। তারা তাদের পণ্য এবং পরিষেবার সাথে তাদের বড় অংশের তুলনায় কম ফি যুক্ত করার প্রবণতা রাখে।

শেষ কথা

আশা করি আজকের পোস্টটি থেকে কমিউনিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

ডিজিটাল যুগে সব কিছু অনলাইন ভিত্তিক করা হয়েছে। তাইতো বর্তমানে ব্যাংকগুলো এখন অনলাইন ভিত্তিক লেনদেন করে থাকে। ব্যাংকগুলো অনলাইনে আরও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে তার মধ্যে ক্রেডিট কার্ড হলো একটি। যে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি যেখান থেকে পারেন এটিএম এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারেন আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে।

কমিউনিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডও এই সুযোগ-সুবিধা গুলো দিয়ে আসছে। কমিউনিটি ক্রেডিট সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।

আপনার জন্য আরো 

আরও-

পূবালী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত

কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো জেনে নিন

বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের নিয়মনীতি

ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা-অসুবিধা

ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *