জেনে নিন মোবাইল এর বাংলা অর্থ কি? (২০২৪)

যুগের সাথে তাল মিলাতে আমরা ব্যবহার করছি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস।বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মোবাইল ফোন। আর এখন ছোট বড় সবাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তবে আমরা অনেকেই জানিনা মোবাইল ফোনের বাংলা অর্থ কি। তাই আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন মোবাইল ফোন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য। আজ যা যা জানতে পারবেন মোবাইল ফোনের বাংলা অর্থ কি, মোবাইল ফোনের কাজ কি, মোবাইল ফোনের ইতিহাস, মোবাইল ফোনের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের সুবিধা ও অসুবিধা, বাংলাদেশের মোবাইল ফোনের ইতিহাস।

মোবাইল এর বাংলা অর্থ কি
মোবাইল এর বাংলা অর্থ কি

মোবাইল বাংলা অর্থ কি?

‘Mobile’ শব্দের আক্ষরিক বাংলা অনুবাদ হচ্ছে মুঠোফোন। তবে এই শব্দটি সম্পর্কে তেমন কেউ পরিচিত নন। মুঠোফোন শব্দটির অর্থ হাতের মুঠোয় ব্যবহার করা যায়। সহজের বহনযোগ্য।

মোবাইল ফোন কি কাজ করে?

১.মোবাইল হলো বর্তমান সময়ের মানুষের কাছে একটি অপরিহার্য ইলেকট্রিক যন্ত্র । এর মাধ্যমে বর্তমানে সব ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব এবং এটি পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে নিয়ে যাওয়া যায় এবং পৃথিবীর অপর প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা যায় ।

২.মোবাইল ফোন-এ কথা বলার জন্য বেতার তরঙ্গের সঙ্গে কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ফলে কথা বলার অতিরিক্ত অন্যান্য সেবা প্রবর্তন করা সম্ভব হয়েছে, যেমন: খুদে বার্তা -এসএমএস বা টেক্সট মেসেজ সেবা, এমএমএস বা মাল্টিমিডিয়া মেসেজ সেবা, ই-মেইল সেবা, ইন্টারনেট সেবা, অবলোহিত আলো বা ইনফ্রা-রেড, ব্লু টুথ সেবা, ক্যামেরা, গেমিং, ব্যবসায়িক বা অর্থনৈতিক ব্যবহারিক সফটওয়্যার ইত্যাদি।

যেসব মোবাইল ফোন এইসব সেবা এবং কম্পিউটারের সাধারণ কিছু সুবিধা প্রদান করে, তাদেরকে স্মার্টফোন নামে ডাকা হয়।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সম্পর্কে পার্থক্যসহ  বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন

মোবাইল ফোনের ইতিহাস

সেলুলার ফোন প্রারম্ভিকভাবে পূর্বসুরীরা জাহাজ এবং ট্রেন থেকে এনালগ রেডিও কমিউনিকেশনের সাহায্যে ব্যবহার করত। মোটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ডঃ মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে প্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেয়া হয়ে থাকে। তাঁরা ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে প্রথম সফলভাবে একটি প্রায় ২ কেজি (৪.৪ পাউন্ড) ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন।

মোবাইল ফোনের প্রথম বাণিজ্যিক সংস্করণ বাজারে আসে ১৯৮৩ সালে, ফোনটির নাম ছিল মোটোরোলা ডায়না টিএসি ৮০০০এক্স (DynaTAC 8000x)।

ব্যবহার প্রসারণ-

১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে পৃথিবীব্যাপী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২.৪ মিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬ বিলিয়নের বেশি হয়ে গেছে। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭% মোবাইল ফোন যোগাযোগের আওতায় এসেছে।

মোবাইল ফোনের ব্যবহার

অনেক মোবাইল ফোনই স্মার্ট ফোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কথা বলার পাশাপাশি এ ধরনের ফোনগুলো অন্যান্য বিষয়েও ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

  • ই-মেইল, এসএমএসবা ক্ষুদেবার্তা, প্রেরণ ও গ্রহণ;
  • ক্যালকুলেটর, মুদ্রা, সঙ্কেত বিষয়ক কার্যাবলী;
  • ইন্টারনেট;
  • গেমস খেলা;
  • ছবিও ভিডিও তোলা;
  • ঘড়ির সময় দেখা;
  • কথা রেকর্ড করা;
  • ট্রেনের টিকিট বুকিং করা;
  • বিদ্যুৎ/গ্যাস বিল দেয়া ইত্যাদি।
  • টাকার আদানপ্রদান করা।

মোবাইল ফোনের সুবিধা

মোবাইল ফোনের অনেক সুবিধা রয়েছে। সহজেই যোগাযোগ করা, যেকোনো জায়গার ম্যাপ দেখা, ছবি তোলা, ভিডিও করা, ভিডিও দেখা, গান শোনা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে যেকোনো প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে বের করা যায় মোবাইল ফোন দিয়ে। মোবাইল ফোনের সুবিধাগুলো –

১.মোবাইল ফোনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হচ্ছে, পৃথিবীর যেকোনো স্থানে মুহূর্তেই যোগাযোগ করা যায়। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের কারও সাথে কথা বলতে হলে কল দিয়ে কিংবা টেক্সট করে কথা বলা যায়। এছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এখন ছবি/ ভিডিও/ভয়েস ক্লিপ আদান প্রদান করা যায়। আপনি চাইলে যেকোনো সাইজের ফাইল মোবাইল এর মাধ্যমে শেয়ার করতে পারবেন বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের যে কারও সাথে।

আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজের যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ

২.গান শোনা, ভিডিও দেখা, সিনেমা দেখা সহ সব ধরণের বিনোদন এখন মোবাইলের মাধ্যমেই পাওয়া যায়। আপনার হাতে যদি একটি মোবাইল ফোন থাকে, তবে এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো দেশের তৈরি গান/ভিডিও/সিনেমা দেখতে পারবেন। হলে গিয়ে মুভি/সিনেমা দেখার থেকে অনেকেই এখন মোবাইলে সিনেমা দেখতে বেশি পছন্দ করে।

৩.আগে একটি চিঠি পাঠিয়ে সেটি পৌঁছানোর জন্য কয়েকদিন সময় লেগে যেতো। কিন্তু, এখন মোবাইলের মাধ্যমে টেক্সট ম্যাসেজ বা ই-মেইল করে সহজেই চিঠি পাঠানো যায়। আপনার হাতে একটি মোবাইল ফোন থাকলে, সেটি দিয়ে টেক্সট ম্যাসেজ, ইমেইল করতে পারবেন।

৪.মোবাইল ব্যবহার করে অনলাইনে ক্লাস করা যায়। করোনা কালিন সময়ে অনেকেই মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনে ক্লাস করেছে। শিক্ষাখেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার অনেক আগে থেকে। আপনার হাতের মোবাইল দিয়ে ইউটিউব থেকে যেকোনো টপিকের উপর ক্লাস করতে পারবেন। এছাড়াও, আমাদের দেশের এবং বিশ্বের অনেক দেশের বিভিন্ন লারনিং প্ল্যাটফর্ম আছে। সেখানে থেকে যেকোনো বিষয়ের উপর জ্ঞান লাভ করতে পারবেন।

৫.শুরুর দিকে যোগাযোগ করার জন্য টেলিফোন ব্যবহার করা হতো। কিন্তু, এখন মোবাইল দিয়ে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যোগাযোগ করা যায়। এছাড়াও, মোবাইল ফোনে রয়েছে রিচার্জেবল ব্যাটারি। যা আপনি চার্জ দিয়ে কারেন্ট না থাকলেও ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু, টেলিফোন এর ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ থাকা জরুরী। এটি মোবাইল ফোনের অনেক বড় একটি সুবিধা।

৬.ছবি তোলার জন্য কিংবা ভিডিও করার জন্য এখন আলাদা করে ক্যামেরার প্রয়োজন হয় না। মোবাইলে থাকা হাই রেজুলেশন এর ক্যামেরা দিয়ে অনেক ভালো মানের ছবি তোলা এবং ভিডিও ধারন করা যায়। এছাড়াও, মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে অনেক বড় হওয়ায় এখন অনেকেই মোবাইল দিয়ে ভিডিও/সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন।

৭.মোবাইল ফোনের সুবিধাগুলো মাঝে সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে, আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়। ইন্টারনেট থেকে মোবাইল দিয়ে ছোট-বড় অনেক কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন। ব্লগিং, ফ্রিল্যান্সিং, কন্টেন্ট রাইটিং সহ অনেক কাজ মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব। অনেকেই মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করে থাকে।

মোবাইল ফোনের অসুবিধা

এমন না যে মোবাইল ফোন আমাদের জন্য শুধু কল্যাণ বয়ে এনেছে। কল্যানের সাথে মোবাইল ফোন কিছু অসুবিধা সঙ্গে নিয়ে এসেছে। আপনি যদি মোবাইল ফোন সম্পর্কে জেনে থাকেন, তবে মোবাইল ফোনের অসুবিধা সম্পর্কেও জেনে রাখা জরুরী। মোবাইল ফোনের অসুবিধাগুলো –

১.প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা যেমন অনেক কাজ অনেক কাজ সহজেই করতে পারি, তেমন এই প্রযুক্তি আমাদের জন্য অনেক ভয়াবহ দুর্যোগ ডেকে নিয়ে এসেছে। মোবাইল ফোনের অনেক সুবিধা থাকার কারণে অনেকেই মোবাইল ফোনের উপর অনেক বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে। এর কারণে, শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

২.মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে থেকে বের হওয়া নিল রশ্মি আমাদের চোখের জন্য অনেক ক্ষতিকর। অনেক্ষন যাবত মোবাইলের দিকে চেয়ে থাকলে বা মোবাইল ব্যবহার করলে এটি আমাদের চোখের জন্য অনেক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

৩.যোগাযোগ ব্যবস্থা মোবাইল ফোনের কারণে অনেক বেশি সহজলভ্য হওয়ার কারণে অন্যায়, দুর্নীতি, মিথ্যাচার অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই উন্নতির কারণে মোবাইল দিয়ে মানুষ অনেক অন্যায় কাজ করছে।

৪.মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক আমাদের দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। মোবাইল নেটওয়ার্ক ২জি, ৩জি, ৪জি, ৫জি থেকে শুরু করে আরও উপরে অব্দি রয়েছে। এর কারণে, প্রকৃতি অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। পাশাপাশি, মোবাইল নেটওয়ার্ক আমাদের দেহের অনেক রোগের মূল কারণ।

৫.মোবাইল ফোনে গেম খেলা যায়। এই গেমের প্রতি আমাদের সমাজের অনেক ছেলে-মেয়ে আসক্ত হয়ে পড়ে পড়ালেখা থেকে মনোযোগ উঠে যাচ্ছে। মোবাইল গেমে আসক্ত মানুষ সহজে তার আগের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে না। মোবাইল গেমে অর্থ ব্যয় করা সহ আরও অনেক অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে মানুষ।

৬.সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে সারাদিন নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় দিচ্ছে মানুষ। এর কারণে, সাধারণ জীবনধারা ব্যাহত হচ্ছে।

মোবাইল ফোনের সুবিধা এবং অসুবিধা অনেক। মোবাইল ফোনের যেমন অনেক সুবিধা রয়েছে, তেমনি অনেক অসুবিধা রয়েছে। প্রযুক্তির সুবিধা এবং ভালো দিকগুলো গ্রহণ করে খারাপ দিকগুলো বর্জন করতে হবে। তবেই আমাদের সমাজ, দেশ, পৃথিবী ভালো থাকবে।

বাংলাদেশে মোবাইল ফোন

বাংলাদেশে মোবাইল ফোন প্রথম চালু হয় ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে। হাচিসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (এইচবিটিএল) ঢাকা শহরে AMPS মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোন সেবা শুরু করে।

বর্তমান অবস্থা-বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ৪টি মোবাইল ফোন কোম্পানী রয়েছে। এদের মধ্যে ৪টি জিএসএম তবে একটি সিডিএমএ প্রযুক্তির মোবাইল সেবা দিয়ে থাকলেও বর্তমানে তা বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে সব জিএসএম মোবাইল কোম্পানি ২০১৩ সাল থেকে তৃতীয় প্রজন্মের ৩জি সেবা দেওয়া শুরু করেছে। মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে একমাত্র টেলিটক দেশিয় কোম্পানি। বর্তমানে রবি ও এয়ারটেল একীভূত হয়ে রবি হবার কাজ করছে। দেশে মোবাইল নম্বর গুলো ০১ দিয়ে শুরু। কান্ট্রি কোড সহ নম্বর হয় +৮৮০১********* । কান্ট্রি কোড ব্যতীত মোট ১১ ডিজিটের নম্বর ব্যবস্থা চালু এখন। মোবাইল কোম্পানীগুলো হল:
  • সিটিসেলকোড – ০১১(সিডিএমএ) [বর্তমানে বন্ধ]
  • রবিকোড -০১৮(পূর্ব নাম একটেল)

এয়ারটেল (বাংলাদেশ) কোড – ০১৬(ওয়ারিদকে কিনে নেয় )- বর্তমানে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পরিচালিত একটি স্বাধীন ব্যান্ড, যেটি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের লাইসেন্সের অধীনে পরিচালিত।

  • গ্রামীণফোনকোড -০১৭, ০১৩
  • বাংলালিংককোড -০১৯, ০১৪ (সেবাওয়ার্ল্ডকে কিনে নেয়)
  • টেলিটককোড -০১৫

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে মোবাইল সিমের গ্রাহক সংখ্যা ১৯ কোটি ৩৬ লাখ। এরমধ্যে গ্রামীণফোনের গ্রাহক ৮ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার, রবির ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৮০ হাজার, বাংলালিংকের ৪ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার ও টেলিটকের গ্রাহক ৬৪ লাখ ৬০ হাজার।

                                         

                             মোবাইল ফোন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

১.মোবাইলের বাংলা ওয়ার্ড কি?

এবার যদি ইংরেজি Mobile এর আভিধানিক অর্থ বিবেচনায় নিই, তাহলে বাংলায় দাড়াবে চলমান অথবা ভ্রাম্যমান । অর্থাৎ যে জিনিস খুব সহজে বহনযোগ্য এবং স্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম.

২.মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন কে?

মার্টিন “মার্টি” কুপার (ইংরেজি: Martin “Marty” Cooper; জন্ম: ২৬ ডিসেম্বর, ১৯২৮) ইলিনয়িস রাজ্যের শিকাগোতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত মার্কিন আবিষ্কারক। তারবিহীন টেলিফোন শিল্প হিসেবে মোবাইল ফোনের পথিকৃৎ হিসেবে বৈশ্বিকভাবে পরিচিত হয়ে আছেন।

৩.মোবাইল ফোনের সুবিধা কি কি?

মোবাইল হলো বর্তমান সময়ের মানুষের কাছে একটি অপরিহার্য ইলেকট্রিক যন্ত্র । এর মাধ্যমে বর্তমানে সব ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব এবং এটি পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে নিয়ে যাওয়া যায় এবং পৃথিবীর অপর প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা যায় । মোবাইল ফোন-এ কথা বলার জন্য বেতার তরঙ্গের সঙ্গে কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

৪.মোবাইল ফোন কত সালে আবিষ্কৃত হয়?

প্রথম মোবাইল ফোন তৈরি হয়েছিল ১৯৭৩ সালে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে – আর তা তৈরি করেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার। তাকেই বলা হয় মোবাইল ফোনের জনক।

৫.প্রথম স্মার্টফোন কোনটি?

1992: প্রথম স্মার্টফোন

সাইমন পার্সোনাল কমিউনিকেটর (বা SPC, যাকে সাধারণত আইবিএম সাইমন বলা হয়) আধুনিক স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে পরিচিত অনেক বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত করে, যেমন একটি টাচ স্ক্রিন যার জন্য একটি স্টাইলাস প্রয়োজন .

শেষ কথা

মোবাইল ফোন আমাদের জন্য অতি প্রয়োজন এবং গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবেনা। তবে আমরা অনেকেই জানিনা মোবাইল ফোন বাংলা অর্থ কি? তাই আমরা পুরা পোস্টটিতে জানানোর চেষ্টা করেছি মোবাইল ফোন সম্পর্কে। আপনারা যদি এখান থেকে বিন্দুমাত্র কোন ধারণা পেয়ে থাকেন তাহলে আমাদের পোষ্টে লেখা স্বার্থ।আর পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।

আপনার জন্য আরো –

আরও–

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সম্পর্কে পার্থক্যসহ  বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন

কম্পিউটারে বাংলা লেখার কিবোর্ড সফটওয়্যারগুলো ( অভ্র ও বিজয় বাংলা টাইপিং কিবোর্ড)

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি? জেনে নিন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কত প্রকার?

কম্পিউটার ভাইরাস কী? কম্পিউটার ভাইরাস কত প্রকার? গুরুত্বপূর্ণ কিছু কম্পিউটার ভাইরাসের

কম্পিউটার কি? কম্পিউটার এর প্রকারভেদ?কম্পিউটার সম্পর্কে বিস্তারিত

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *