অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইন থেকে ইনকাম প্রতিমাসে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ আর ডিজিটাল যুগে কমবেশি আমরা কিন্তু সকলেই অনলাইন থেকে বাড়তি ইনকাম করার চিন্তা করে থাকি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সঠিক গাইডলাইন এবং সঠিক মাধ্যম না জানা থাকার ফলে আমরা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারিনা।

তাই আজকে আপনাদেরকে এমন একটি মাধ্যম দেখাবো এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে আপনি ঘরে বসে অনায়াসে প্রতিমাসে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

অ্যাফিলিয়েট শব্দের অর্থ শাখা।অর্থাৎ এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন কোম্পানির আন্ডারে তাদের প্রোডাক্ট গুলি কমিশনে বিক্রয় করে দেওয়া।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অর্থাৎ আপনি কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট অনলাইনের মাধ্যমে নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে সেল করে খুঁজে কমিশন আপনি গ্রহণ করবেন বা পাবেন সেটি হচ্ছে আফিলিয়েট মারকেটিং।

এজন্য বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইন মার্কেটপ্লেসে খুবই জনপ্রিয় এবং বিনা ইনভেস্টমেন্টে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে করা সম্ভব এবং অনেকে করছে।

উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক আমি একটি মোবাইল শপ অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করেছি৷  আমি আপনাকে একটি মোবাইল কেনার জন্য এর সুবিধা-অসুবিধা জানিয়ে রাজি করিয়েছি, এখন সেই দোকান থেকে মোবাইল কিনলে বিনিময়ে আমি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাব।  আর এটাই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।  এখানে কমিশনের ভিত্তিতে কাজ হয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে?

এতক্ষণে হয়তো বা বুঝে গেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে কি। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে কিভাবে কাজ করে থাকে।

অনেকেই চিন্তা করে আমি যদি কোন মার্কেটপ্লেসকে ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর প্রোডাক্ট গুলি নিয়ে আফিলিয়েট মার্কেটিং করি। সেক্ষেত্রে আমি বুঝবো কিভাবে যে আমার এই প্রোডাক্ট সেল হচ্ছে কিনা এবং সেখান থেকে আমি কমিশন পাচ্ছি কিনা। এই সকল অনেক প্রশ্ন কিন্তু অনেকের মনে জমা থাকে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার পূর্বে যদি আপনার মনে এসকল প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়ে থাকে তাহলে নিচে উত্তরটি জেনে নিন-

আপনি যখন কোন ওয়েবসাইট বা প্রতিষ্ঠান প্রোডাক্ট নিয়ে আফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। তখন আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি হবে।এই একাউন্টের মাধ্যমে আপনি আপনার ড্যাশবোর্ড থেকে সম্পূর্ণভাবে আপনি যে প্রোডাক্ট গুলি নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন সবকিছু কিন্তু আপনি দেখতে পাবেন।

অর্থাৎ আপনি আপনার ড্যাশবোর্ড থেকে যে প্রোডাক্টটি নিয়ে আফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন। সেই প্রোডাক্টটি সেল হচ্ছে কিনা। সেল হলে আপনার কমিশন আপনার একাউন্টে যুক্ত হচ্ছে কিনা। আপনি সবকিছু ডাটা কিন্তু সে ড্যাশবোর্ড থেকেই দেখতে পারবেন এবং জানতে পারবেন।

আমি আশা করছি উপরের এই বিষয়গুলি থেকে আপনি নিশ্চিত ভাবে বুঝে গিয়েছেন যে আফিলিয়েট মারকেটিং কি এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে কিভাবে কাজ করে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে অনেক প্রকার তো সাধারণত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কে দুই প্রকার বলা হয়।

১.প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং         .নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এটি একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যেখানে বিভিন্ন জনপ্রিয় ইকমার্স কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট পণ্য এবং পরিষেবা তালিকাভুক্ত করা হয়।

অর্থাৎ, এটি একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মের মতো, আপনি একটি অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক কোম্পানির পণ্য এবং পরিষেবাগুলির অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল:

নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উপর ভিত্তি করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এবং অনেক জনপ্রিয় ইকমার্স কোম্পানি আছে যাদের নিজস্ব অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে। তার মানে তারা শুধুমাত্র তাদের ওয়েবসাইটে যোগদানের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে পারে। এরকম কিছু প্রতিষ্ঠান হলঃ

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কি কি প্রয়োজন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে তেমন কোনো আহামরি কোনো কিছু প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র আপনার একটি ডিভাইস দরকার অর্থাৎ কম্পিউটার বা মোবাইল এই ধরনের ডিভাইস একটি হলেই আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

অর্থাৎ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ অথবা মোবাইল ফোন দরকার হবে।

এছাড়াও দরকার হবে আপনার একটি ফেসবুক পেজ সোশ্যাল মিডিয়াতে অথবা একটি ওয়েবসাইট। এছাড়াও কিছু পুজি প্রয়োজন হতে পারে।

তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার ডেক্সটপ কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ হলে সবচাইতে ভালো হয়।

তাহলে কি মোবাইল ফোন দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় না?

হ্যাঁ মোবাইল ফোন দিও এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। সেক্ষেত্রে আপনাকে একটু ছোট ছোট ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে।

তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হতে চাইলে আপনার একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট অথবা ফেসবুক পেজ অথবা টুইটার অথবা ইনস্টাগ্রাম এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াতে যেকোনো একটি বড় প্ল্যাটফর্ম থাকতে হবে।

তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হতে পারবেন খুব দ্রুত।

আপনার যদি এসকল কোন মাধ্যমে না থাকে তাহলে আপনি যে কাজটি করবেন  কিছু পুঁজির মাধ্যমে আপনি পেইড ক্যাম্পেইন চালাবেন আপনার প্রোডাক্টের।

তবে সবচাইতে ভালো হয় আপনার যদি একটি ভাল মানের ওয়েবসাইট থাকে এবং ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থাকে আর বেশি কিছু দরকার নেই।

আশা করছি আফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার পূর্বে এই সকল বিষয় আপনার কাছে আপনি রেডি রাখবেন।

নতুন হিসাবে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করব?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার অনেকগুলি মাধ্যম রয়েছে আমি আপনাদেরকে সহজ কিছু মাধ্যম নিচে আলোচনা করছি-

একটি পণ্য বা পরিষেবা বিভাগ নির্বাচন করা

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে পণ্য বা পরিষেবা বিভাগ নির্বাচন করতে হবে। প্রথমে আপনি যে পণ্যটির সাথে কাজ করবেন তা নির্বাচন করুন।

আজকাল, লোকেরা শারীরিক পণ্যের চেয়ে অনলাইনে পরিষেবা বেশি কিনে থাকে। ভৌত দ্রব্য হল সেই সমস্ত জিনিস যার দৈহিক অস্তিত্ব আছে। এবং ডিজিটাল পরিষেবাগুলি হল যেগুলির কোনও শারীরিক অস্তিত্ব নেই অর্থাৎ ধরে রাখা বা স্পর্শ করা যায় না।

প্ল্যাটফর্ম এবং বিষয়বস্তু তৈরি করা

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের দ্বিতীয় ধাপ হল একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা এবং সেখানে আপনার পণ্য বা পরিষেবার বিভাগ সম্পর্কে নিয়মিত পোস্ট করা। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তবে আপনাকে পণ্যটির বিভিন্ন সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে পোস্ট করা উচিত এবং কেন কেউ পণ্যটি কিনবে।

ট্রাফিক তৈরি করুন

কিছুক্ষণ আগে আমরা উপরে ট্রাফিক জেনারেটর সম্পর্কে আলোচনা করেছি। উপরের পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করে আপনি ট্রাফিক জেনারেটরের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং উপার্জন করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা কত টাকা প্রতি মাসে আয় করা যাবে

সত্যি কথা বলতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ইনকামের নির্দিষ্ট কোন অ্যামাউন্ট নেই। তবে আপনি যত বেশি আফিলিয়েট এক্সপার্ট হবেন তত বেশি আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় নির্ভর করে পুরোপুরি আপনার কত দামি জিনিস বা মার্কেটিং করছেন সে প্রোডাক্ট এর মূল্য যত বেশি আপনার আয় তত বেশি হবে।

এছাড়াও আপনি যে কোম্পানির প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন সেই। প্রোডাক্টের কমিশনের উপরেও আপনার কিন্তু আয় বৃদ্ধি পাবে অর্থাৎ কমিশন পার্সেন্টেজ যদি বেশি হয় তাহলে আপনার আয়ও কিন্তু বেশি হবে।

এবং আপনি প্রতিদিন বা প্রতিমাসে কতগুলি প্রোডাক্ট অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে বিক্রয় করেছেন তার উপরে কিন্তু আপনার ইনকাম বা আয় বৃদ্ধি পাবে।

অর্থাৎ আপনি যদি আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার আয় বৃদ্ধি পাবে।

উদাহরণস্বরূপ একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রোডাক্ট সেল করলে কমিশনের উপর কি পরিমান আয় আসবে সেটি ক্যালকুলেশন করে আপনাদেরকে দেখাচ্ছি-

ধরুন আপনি ব্লগিং নিয়ে আপনার একটি ওয়েবসাইট রয়েছে অথবা আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। এবং সেই ওয়েবসাইটে আপনি ব্লগিং সম্পর্কিত সকল টিপস দেন এবং সেই ইউটিউব চ্যানেলে আপনি ব্লগিং সম্পর্কিত সকল বাংলা ভাষায় বা ইংলিশ ভাষায় টিপস দিয়ে থাকেন।

অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সকলেই কিন্তু ব্লগিং সম্পর্কিত ইন্টারেস্টেড ভিজিটর এবং সাবস্ক্রাইবার।

তাহলে যারা ব্লগিং করে তাদের জন্য সবচাইতে প্রয়োজনীয় প্রডাক্ট হচ্ছে ডোমেইন-হোষ্টিং।

তাহলে এখন আপনি যদি একটি ভাল ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানি তে অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট তৈরী করেন এবং সেই ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানির আপনি ডোমেইন-হোষ্টিং আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও সময়ই লিংক আকারে অথবা আপনার ওয়েবসাইটে পোষ্টের লিংক আকারে দিয়ে সেখান থেকে যদি কোনো ডোমেইন হোস্টিং আপনি সেল করতে পারেন। তাহলে কিন্তু আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন।

ভিডিও-ব্লগিং সম্পর্কিত সকল টিপস বাংলায়

ধরুন একটি হোস্টিং সার্ভিস এর মূল্য 7000 টাকা। তাহলে 7000 টাকায় যদি আপনাকে 20% কমিশন দেয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কমিশন হিসাবে।তাহলে আপনি একটি প্রডাক্টের বিনিময় 20 পার্সেন্ট হিসাবে ১৪০০ টাকা কমিশন পাবেন।

তাহলে এভাবে আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন এবং প্রতি মাসে 30 টি প্রোডাক্ট সেল করেন তাহলে 30 ইনটু 1400 সমান = 42 হাজার টাকা আপনার অ্যাফিলিয়েট থেকে ইনকাম হবে।

এভাবে আপনি আপনার ওয়েবসাইট সোশ্যাল মিডিয়া অথবা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে যত অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক গুলি আপনি সেল করতে পারবেন তত বেশি আপনার অ্যাফিলিয়েট থেকে ইনকাম বৃদ্ধি পাবে।

আশা করছি আপনারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে কি পরিমান আয় হবে প্রতিমাসে সে বিষয়ে একটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জনপ্রিয় সাইট

কমবেশি এখন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এই অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করেছে। কিন্তু আমি যে কয়টি অ্যাফিলিয়েট প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইটের সন্ধান দিব এই কয়টি প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট থেকে আপনি অনেক বেশি পরিমাণ কমিশনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ভালো টাকা প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন।

  • ফ্লিপকার্ট অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম –এটি ভারতের অন্যতম বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট। এখানে আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট হিসাবে বিনামূল্যে নিবন্ধন করতে পারেন এবং একটি ভাল কমিশনে বিভিন্ন সস্তা এবং ব্যয়বহুল পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
  • অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম – অ্যামাজন ভারতের ই-কমার্স ব্যবসায় প্রথম এবং এই অনলাইন শপিং স্টোরে আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট হিসাবে নিবন্ধন করতে পারেন এবং ভাল কমিশনের জন্য অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
  • গো ড্যাডি (ডোমেন এবং হোস্টিং) – যদি আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল ব্লগিং এবং হোস্টিং সম্পর্কে হয়, তবে নিজেকে গো ড্যাডি-তে একজন অ্যাফিলিয়েট হিসাবে নিবন্ধন করুন এবং খুব উচ্চ কমিশনের জন্য ডোমেন এবং হোস্টিং বিক্রি করুন। গো ড্যাডি ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনার জন্য খুব বিখ্যাত অনলাইন কোম্পানি।
  • হোস্টগেটর অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক – হোস্টগেটর ডোমেইন এবং হোস্টিং মার্কেটে একটি সুপরিচিত কোম্পানি। আর, আপনি যদি ডোমেইন বা হোস্টিংয়ের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান, তাহলে হোস্টগেটর আপনাকে ভালো কমিশন দিতে পারে। এখানে আপনি মাত্র একটি বিক্রয়ে3000 পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
  • ইবে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম – আপনি ইবে অনলাইন ওয়েবসাইটের সাথে পরিচিত হতে পারেন। eBay হল একটি অনলাইন শপিং সাইট যা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় তার পণ্য সরবরাহ করে। এবং, আপনি যে দেশেরই হোন না কেন, আপনি ইবে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে এর যেকোনো অনলাইন পণ্য বিপণন কোরে ভালো কমিশন উপার্জন করতে পারেন।

প্রশ্ন এবং তার উত্তর

অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করতে কত টাকা লাগে?

অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের জন্য আপনাকে কাউকে অর্থ প্রদান করতে হবে না।

কিছু লাভজনক  এবং সহজে বিক্রি হওয়া এফিলিয়েট প্রোডাক্ট হলো –

  • মোবাইল বা স্মার্টফোন
  • ডোমেইন এবং হোস্টিং
  • বই (books).
  • ওয়ার্ডপ্রেস থিম (WordPress theme).
  • ল্যাপটপ (laptop)
  • কাপড় জামা (cloths)

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কমিশন এর টাকা কিভাবে উত্তোলন করবেন?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কমিশনের টাকা উত্তোলন করা খুবই সহজ। যেকোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি টাকাটা উত্তোলন করতে পারবেন।

শেষকথা -আশা করছি আফিলিয়েট মারকেটিং কি? কিভাবে শুরু করবেন? কত টাকা আয় করতে পারবেন এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করবেন? সবটাই আপনাদেরকে আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে জানানোর চেষ্টা করেছি। এরপরেও যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা থেকে থাকে? তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন সঠিক উত্তর জানা থাকলে অবশ্যই আপনাদেরকে সঠিক উত্তর দিয়ে সাহায্য করবো ইনশাআল্লাহ।

আপনার জন্য-

বাংলাদেশি বিশ্বস্ত সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম

অনলাইন থেকে ইনকাম করার সেরা কিছু মাধ্যম

মোবাইল সম্পর্কিত টিপস পেতে- https://www.facebook.com/ssitbari

ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্নপূরণের ওয়েবসাইট –  www.workupplace.com   

 বাংলা ওয়েবসাইট- www.ssitbari.com

 ইংলিশ ওয়েবসাইট- www.usitbari.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *