চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

5/5 - (2 votes)

নিজেকে সুস্থ রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য সবাই চেষ্টা করে থাকেন। শরীরের অতিরিক্ত ওজন বিভিন্ন জটিল রোগের সৃষ্টি করে যার কারণে কেউই চায় না অতিরিক্ত ওজন ধরে রাখতে। আর এই ওজন কমানোর সাথে চিয়া সিডের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এই সুপার ফুড চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাদের অজানা।বিশেষ করে ওজন কমানোর কথা বললে আগে মাথায় আসে চিয়া সিড খাওয়ার কথা।

চিয়া সিডের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের প্রচুর চর্বি শোষণ করতে পারে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।ওজন কমানো ছাড়াও চিয়া সিড খাওয়ার আরও বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে।চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানলে আপনি অবাক হবেন।দুধ কিংবা ডিমের থেকেও বেশি ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন পাওয়া যায় চিয়া সিডে।

সম্মানিত পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলের টাইটেল দেখে আপনারা বুঝে গেছেন আমাদের আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। ওজন কমাতে এখন অনেকেই চিয়া সিড খান। কিন্তু চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে অনেকেই জানেন না।

সঠিকভাবে চিয়া সিড থেকে পুষ্টি উপাদান শোষণ করতে হলে অবশ্যই চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা প্রয়োজন। তাই আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।

চিয়া সিড কি

চিয়া সিড একটি বীজ জাতীয় উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদটি সাধারণত মরুভূমির মধ্যে বেশি উৎপাদিত হয়। জানা যায় যে আমেরিকা ওম মেক্সিকো শহরে চিয়া নামের এক ধরনের গাছ থেকে এই চিয়া সিড পাওয়া যায়।চিয়া সিডের বীজ দেখতে খুবই ছোট হয় অনেকটা তিল কিংবা তোকমার দানার মতো। প্রাচীন অ্যাজটেক জাতির খাদ্য তালিকায় এই চিয়া সিড রাখা হতো।চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতার কথা বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞরা এর নাম দিয়েছেন সুপারফুড।

চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা

সুস্বাস্থ্য রক্ষায় চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে নিঃসন্দেহে বলতে হবে এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাশিয়াম, প্রোটিন, ওমেগা-৩,ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড।চিয়া সিড শরীরের কলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এতে করে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কম থাকে। চিয়া সিড খাওয়ার  উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনায় প্রথমে আমরা জানবো চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে ;

শরীরের শক্তি উৎপাদন করে

চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ফাইবার এক্সিডেন্ট যা শরীরের শক্তি উৎপাদন করতে সাহায্য করে।শরীরকে দীর্ঘক্ষণ কর্মক্ষম রাখতে চিয়া সিড খুবই কার্যকরী।

ডায়াবেটিস ঝুঁকি কমায়

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিয়া সিড খাওয়া খুবই প্রয়োজন। কেননা চিয়া সিড খাওয়ার ফলে কারের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। এছাড়াও এতে থাকা উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

ওজন কমায়

চিয়া সিড ওজন কমাতে ডায়েট চার্টের একটি নিয়মিত খাবার। চিয়া সিড খেলে দীর্ঘক্ষন ক্ষুধাহীন থাকা যায়। চিয়া সিড খাবার থেকে দীর্ঘক্ষণ দূরে রাখতে সাহায্য করে।এটি শরীরের শক্তি যোগানোর পাশাপাশি দ্রুত শরীরের ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়াও চিয়া সিড খেলে কোন কাজের পর ক্লান্তি কিংবা দুর্বলতা অনুভব হয় না।

হৃদরোগের ঝুকি কমায়

চিয়া সিড শরীর থেকে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।চিয়া সিড হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কার্যকরী।

হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। আর হারকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় হলো ক্যালসিয়াম। চিয়া সিডে রয়েছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম যা হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও হাটু কিংবা জয়েন্টে ব্যথা চিয়া সিড এই ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে

চিয়া সিডে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত চিয়া সিড খেলে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে এবং কাজে মনোযোগ বাড়ে। এছাড়াও মেজাজ ঠান্ডা রাখে এই চিয়া সিড।

প্রোটিনের উৎস

যাদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে তারা নিয়মিত চিয়া সিড খেতে পারেন। চিয়া সিড হলো প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস । মুরগির ডিমের চেয়ে ৩ গুন বেশি প্রোটিন পাওয়া যায় চিয়া সিডে।

ত্বক সুন্দর রাখে

শুধু সুস্বাস্থ্য রক্ষায় চিয়া সিড খুব উপকারী তা নয় বরং ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় চিয়া সিড খুবই উপকারী। চিয়া সিড নখ, চুল এবং ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতে পারে। ত্বকের জন্য যদি মধুর বিকল্প কিছু থাকে তাহলে তা চিয়া সিড।

চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা

চিয়া সিট খাওয়ার উপকারিতার মতো এর বেশ কিছু অপকারিতাও বিদ্যমান রয়েছে। অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। কাজেই চিয়া সিড খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনে অবশ্যই চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরি। চলুন দেখে নেই চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি কি-

👉অতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়ার ফলে হজম প্রক্রিয়া বাথাগ্রস্থ হতে পারে।

👉যারা নিয়মিত বেশি পরিমাণে চিয়া সিড কে থাকেন তাদের  প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

👉চিয়া সিড ওজন কমানোর জন্য দ্রুত কাজ করে। তাই অতিরিক্ত চেয়ার সিড খেলে অস্বাভাবিক ওজন কমে তা স্বাস্থ্যের ঝুকি বাড়াতে পারে ।

👉চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যার কারণে চিয়া সিড বেশি খেলে পেটে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।

👉যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের চিয়া সিড খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত। কেননা চিয়ার সিড শরীরে চুলকানি, ফুসকুড়ি এবং শ্বাসকষ্টের পরিমাণ বাড়াতে পারে।

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কতটুকু তা অনেকটাই নির্ভর করে চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক নিয়মের উপর। নিয়ম ছাড়া অনিয়ম করে যদি চিয়া সিড খাওয়া হয় তাহলে এর উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই বেশি। যারা ওজন কমাতে চায় তাদের ক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়া উত্তম।তবে চিয়া সিড যেহেতু নিজস্ব স্বাদহীন তাই অন্যান্য খাবারের সাথেও মিক্স করে খাওয়া যায়। আপনাদের জানার সুবিধার্থে চলুন দেখে নেই চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম গুলো –

১।সকালে খালি পেটে পানিতে চিয়া বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে দ্রুত ওজন কমবে।

২।যারা খালি পেটে চিয়া সিড খেতে পারেন না তারা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ১-২ চামচ চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর সালাদ, ফলের জুস, কিংবা অন্যান্য স্মুদির সাথেও মিশিয়ে খেতে পারেন।

৩।অনেকেই চিয়া সিড শরবতের সাথে মিশিয়ে খেতেও পছন্দ করেন।

৪।যারা ডায়েটে ওটস খেয়ে থাকেন তারা ওটসের সাথে মিশিয়েও চিয়া সিড খেতে পারেন।

৫।আপনি যদি ফল ব্লেন্ডার করে স্মুদি বানিয়ে খেতে পছন্দ করেন তাহলে তার মধ্য ১-২চামচ চিয়া বীজ ভিজিয়ে খেয়ে ফেলতে পারেন।চিয়া সিডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ইতোমধ্যেই জানলাম। কিন্তু চিয়া সিড খাওয়ার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।

অতিরিক্ত চিয়া সিড ব্রেস্ট কিংবা protest ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। আমরা জানি চিয়া সিড অতিরিক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু এটি বেশি খাওয়া হলে উচ্চ রক্তচাপের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে যারা নিয়মিত চিয়া সিড খেয়ে থাকেন তাদের শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই চিয়া সিড নিয়মিত খেলে অবশ্যই বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।

আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজে যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ

বেশি চিয়া সিড খাওয়ার ফলে অস্বাভাবিক ভাবে ওজন কমে যায় এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া স্বরূপ শরীর দুর্বল হয়ে পরে এবং কর্মক্ষমতা কমে যায়।চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খুবই জরুরী। কিন্তু যদি শরীরে অতিরিক্ত ফাইবার যুক্ত খাবার দেওয়া হয় তাহলে গ্যাস, বদহজম কিংবা ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা হতে পারে।কাজেই চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে যাতে স্বাস্থ্যের ওপর কোন বিরূপ প্রভাব না পড়ে।

চিয়া সিড কিভাবে খেতে হয়

অনন্য পুষ্টিগুণে ভরপুর চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এতক্ষণ অনেক কথাই বললাম। তবে কিভাবে খেতে হয় এই সম্পর্কেই হয়তো অনেকের অজানা। চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা পেতে হলে চিয়া সিড কিভাবে খেতে হয় সেটি জানতে হবে। চলুন দেখে নেই চিয়া সিড  কিভাবে খেতে হয়:

*চিয়া সিড কখনোই কাঁচা খাওয়া যায় না । এটি দুধে কিংবা পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেতে হয় কেউ আবার ফলের জুস কিংবা স্মুদির সাথে মিশিয়েও চিয়া সিড খেয়ে থাকেন।

*পানিতে ভিজিয়ে চিয়া সিড খেলে এতে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো শরীর দ্রুত শোষণ করতে পারে।এতে করে এই চিয়া বীজ শরীরে তাড়াতাড়ি হজম হয়।

*চিয়া সিড ভিজিয়ে খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি হলো ৩ অংশ পানি কিংবা দুধের মধ্য ১অংশ চিয়া বীজ ভিজাতে হয় । এর চেয়ে বেশি সিড কিংবা পানি নিলে পুষ্টি উপাদানগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

*পানি কিংবা দুধে চিয়া সিড ভেজানোর ১৫ মিনিট একটু চামচ দিয়ে নেড়ে যখন দেখবেন এটি জেলির মতো দেখতে লাগছে তখন যেকোনো খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারবেন।

*পানিতে ভেজানো ছাড়া যদি আপনি চিয়া সিড খেতে চান তাহলে হালকা আচেঁ চিয়া বীজগুলো

একটু ভেজে সালাদ, ওটস কিনবা স্মুদির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

চিয়া সিডের দাম কত

নিঃসন্দেহে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি যার কারণে বর্তমান বাজারে চিয়া সিডের চাহিদাও প্রচুর বেড়েছে। এর দাম নির্ভর করে এর প্যাকেটের ওজন কিংবা ব্র্যান্ডের ওপর। বাংলাদেশে সাধারণত কালো ও সাদা এই দুই ধরনের চিয়া সিড বেশি পাওয়া যায়। এই দুই ধরনের চেয়ার সিডেরর দাম ও ভিন্ন:

সাদা চিয়া সিডের দাম 

৫০০ গ্রামের দাম ৯০০-১৩০০ টাকা পর্যন্ত।

১০০০ গ্রাম বা ১কেজি প্যাকেটের দাম ১৫০০ থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত

কালো চিয়া সিডের দাম

৫০০ গ্রাম প্যাকেটের দাম ৯০০ -১৩০০ টাকা পর্যন্ত।

১কেজি দাম ১৭০০ – ২৫০০ টাকা পর্যন্ত।

চিয়া সিড খাওয়ার সময়

সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে নিয়মিত চিয়া সিড খাচ্ছেন। চিয়া সেড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নির্ভর করে কোন নিয়মে আপনি চিয়া সিড তার ওপর। অনেকেই ঘুমোতে যাওয়ার আগে চিয়া সিট ভেজানো পানি পান করেন, সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেয়ে থাকেন। তবে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা কোন সময় বেশি পাওয়া যাবে তা জানেন কি?

চিয়া সিনের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যার কারণে হজম শক্তি ভালো থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এছাড়াও নিয়মিত চিয়া সিড ভেজানো পানি পান করলে শরীরের ওজন ও নিয়ন্ত্রণ থাকে। শরীরের বেশি গঠনে চিয়া সিড নিয়মিত খাওয়া খুবই উপকারী। চিয়া সিরাপ প্রোটিনের পাশাপাশি রয়েছে অ্যামাইনো এসিড যা বেশি গঠনে সাহায্য করে।

এছাড়াও ওমেগা- ৩ ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।ডাক্তারদের মতে, আপনি যদি আপনার হজম ক্ষমতাকে উন্নত করতে চিয়া সিড ভেজানো পানি পান করতে চান তাহলে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চিয়া সিড ভেজানো পানি পান করতে পারেন । দিনের যেকোনো সময় চিয়া সিড ভেজানো পানি পান করলে এর উপকারিতা পাওয়া যাবে। শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে পেটে চিয়া সিড ভেজানো পানি খাওয়া উত্তম।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

চিয়া বীজের বাংলা নাম কি?

চিয়ার সিড হলো সালভিয়া হিম্পানিকার ভোজ্য বীজ যা পুদিনার সম্পূরক উদ্ভিদ । আমেরিকা ওম মেক্সিকো শহরে চিয়া নামের এক ধরনের গাছ থেকে এই চিয়া সিড পাওয়া যায়।চিয়া সিডের বীজ দেখতে খুবই ছোট হয় অনেকটা তিল কিংবা তোকমার দানার মতো। প্রাচীন অ্যাজটেক জাতির খাদ্য তালিকায় এই চিয়া সিড রাখা হতো।

চিয়া সিড খেলে কি হয়?

চিয়া সিড খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারী গুণ। চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাশিয়াম, প্রোটিন, ওমেগা-৩,ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড।চিয়া সিড শরীরের কলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এতে করে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কম থাকে।এছাড়া ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিকস প্রতিরোধেও চিয়া সিড খুবই উপকারী।

চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভালো?

চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। চিয়া সিডে রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। কিন্তু কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিয়া সিড খাওয়া কতটা উচিত তা জানতে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ফসফরাস যার কারনে কিডনি রোগীদের জন্য চিয়া সেড খাওয়া একটু ঝুঁকিপূর্ণ।তাই চিয়া সিড  খাওয়ার পূর্বে কিডনি রোগীদের ডাক্তারের নেয়া উচিত।

শেষ কথা –

সম্মানিত পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা আমরা আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করলাম চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। চিয়া সিড একটি পুষ্টিকর উদ্ভিজ্জ খাবার এই সম্পর্কে টুকিটাকি জানলেও অনেকেই এর যথাযথ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতেন না। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যে আসিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পেরেছেন। এই বিষয়ে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত জানাতে আমাদের কমেন্ট করতে পারেন।

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন টিকেট করার নিয়ম

পিজি হাসপাতালে অনলাইন টিকিট বুকিং করার নিয়ম

ইউনিক বাস অনলাইন টিকেট কাটার নিয়ম

বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকিট কাটার নিয়ম

জাতীয় জাদুঘর অনলাইন টিকেট করার নিয়ম

↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇

  • ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন

↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇

➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন

➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমি মো: সানাউল বারী পেশায় একজন ব্লগার এবং ইউটিউব ও ফেসবুক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।

Leave a Comment