ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড কি? ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড এর মধ্যে পার্থক্য

Rate this post

ডিজিটাল যুগে দিন দিন কার্ডের ব্যবহার বেড়ে চলেছে। তাইতো ক্যাশবিহীন লেনদেনের জন্য এখন ব্যবহার হচ্ছে ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ড । এসব কার্ড ব্যবহার করে মাত্র একটি সোয়াইপ এর মাধ্যম্যেই আপনি বিভিন্ন দোকানে কেনাকাটার মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। হাতে টাকা না থাকলে সহজেই যেকোনো সময় নগদ টাকা বা ক্যাশ পেতে পারেন। আপাতদৃষ্টিতে ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড একই মনে হলেও এদের মধ্যে বড় ধরনের কিছু পার্থক্য রয়েছে।

আজকের পোস্টে জানানোর চেষ্টা করব ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড এর মধ্যে পার্থক্যসমূহ, যাতে আমরা ক্ষেত্রবিশেষে সঠিক কার্ডটি ব্যবহার করতে পারি।আশা করি পোস্টে আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।

ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড পরিচিতি

ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দেখতে একই রকম। পার্থক্য হল এদের হিসাবনিকাশ ও নীতিমালায়। এগুলো মূলত পকেট সাইজের প্লাস্টিকের কার্ড হয়ে থাকে। পূর্বে চৌম্বকীয় স্ট্রিপযুক্ত কার্ড প্রদান করা হত, যেগুলোর পেছনের দিকে কালো একটি আয়তাকার স্থানে চৌম্বক ক্ষেত্র যুক্ত থাকত।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে, বাংলাদেশে ব্যাংকগুলির জন্য চিপ এবং পিন ভিত্তিক কার্ড প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়। ভিতরে সুরক্ষা চিপযুক্ত কার্ডগুলিকে ইএমভি কার্ডও বলা হয়। এই কার্ডগুলি এনক্রিপটেড এবং পূর্বের কালো স্ট্রিপযুক্ত কার্ডের তুলনায় অধিক সুরক্ষাযুক্ত।

সাধারণত একটি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের সামনের অংশে ১৬ সংখ্যার একটি গোপনীয় কার্ড নম্বর, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ এবং ইস্যুয়ার/পার্টনার প্রতিষ্ঠানের লোগো (যেমনঃ সিটি ব্যাংক, ভিসা, মাস্টারকার্ড ইত্যাদি) থাকে। কার্ডের অপর পাশে সিভিভি (আরেকটি গোপনীয় নম্বর), কার্ড-ধারকের স্বাক্ষর এবং কাস্টমার সার্ভিস এর ফোন নাম্বার দেয়া থাকে। যদিও অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস ক্রেডিট কার্ডের সিভিভি নম্বর কার্ডের সামনের দিকেই দেয়া থাকে।

ডেবিট কার্ড কি?

সেভিংস (সঞ্চয়ী) কিংবা কারেন্ট (চলতি) অ্যাকাউন্ট এর গ্রাহকদের ব্যাংক থেকে ডেবিট কার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও কর্পোরেট ব্যক্তিত্বদেরও ডেবিট কার্ড প্রদান করা হয়। এই কার্ডগুলি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত থাকে।

যদি আপনার অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকে তাহলে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন, অনলাইন এবং অফলাইনে কেনাকাটা করতে পারবেন এবং আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য কারও অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তরও করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের সেবা পেতে কিংবা পণ্য ক্রয় করতে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা যায়, এক্ষেত্রে আপনার একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেয়া হবে।

ডেবিট কার্ডের সুবিধা

ডেবিট কার্ডের সুবিধা দেওয়া হল –

১।একটি ডেবিট কার্ড পাওয়া বেশ সহজ এবং আপনাকে অনেক প্যারামিটারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হবে না। সাধারণত, সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলে ব্যাঙ্ক আপনাকে একটি প্রদান করবে।

২।ভারত ও বিদেশে ডেবিট কার্ড ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়। বিদেশে যাওয়ার আগে, আপনাকে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে কল করে আন্তর্জাতিক লেনদেন অনুমোদন করতে হবে।

ডেবিট কার্ডের অসুবিধা

ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা সহজ হতে পারে। কিন্তু ডেবিট কার্ড ব্যবহারের যথেষ্ট অসুবিধাও রয়েছে। যথা-

১। ডেবিট কার্ড থেকে আপনার টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ডেবিট করা হয়, তাই গ্রেস পিরিয়ডের কোন ধারণা নেই।

২।ডেবিট কার্ডগুলি ব্যয়বহুল হতে পারে কারণ আপনি যখনই একটি করবেন তখন ব্যাঙ্ক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কেটে নেবে৷এটিএম অন্য কোনো ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে লেনদেন।

৩। যেহেতু ডেবিট কার্ডটি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে লিঙ্ক করা আছে, ব্যালেন্স যথেষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আপনি কেনাকাটা করতে পারবেন।

৪।ডেবিট কার্ডগুলি একটি দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠতে পারে যদি আপনি এটি হারিয়ে ফেলেন এবং অন্য কেউ এটি ধরে ফেলে। আপনাকে অবিলম্বে ব্যাঙ্কে রিপোর্ট করতে হবে অন্যথায় এটি সহজেই অপব্যবহার হতে পারে এবং আপনি সম্পূর্ণরূপে আপনার অর্থ হারাতে পারেন।

ক্রেডিট কার্ড কি?

ক্রেডিট কার্ড হল ডেবিট কার্ডের মতই পকেট সাইজের একটি (সাধারণত) প্লাস্টিকের কার্ড। বর্তমানে ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি চিপ-ভিত্তিক ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে। ক্রেডিট কার্ডধারীর নাম, ক্রেডিট কার্ড নম্বর এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ ক্রেডিট কার্ড এর সম্মুখে দেয়া থাকে। সিভিভি, ক্রেডিট কার্ডধারীর স্বাক্ষর এবং কাস্টমার কেয়ার কেন্দ্রের বিবরণ (সাধারণত) অন্যদিকে দেয়া থাকে।

আগেই বলেছি, ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ডের মধ্যে মূল পার্থক্য হল হিসাবনিকাশ ও অর্থ প্রদানের পদ্ধতিতে। যখন আপনি কোনো অর্থ প্রদানের জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, তখন আপনার সেভিংস/কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে এই পরিমাণটি কেটে নেওয়া হয় না।

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা

ক্রেডিট কার্ডের কিছু সুবিধা দেওয়া হল –

১।একটি ক্রেডিট কার্ডের মালিক হয়ে আপনি তরল নগদ বহন থেকে মুক্ত। আপনি এটিকে যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন, যেকোনো সময় জরুরি অবস্থার সময় যেখানে আপনি আপনার  অ্যাকাউন্ট থেকে অবিলম্বে অর্থ প্রদান করতে সমস্যায় পড়েন। আপনি সহজেই বড় ক্রয়ের খরচ ছড়িয়ে দিতে পারেন, যেমন মাসিক বিল, হোম অ্যাপ্লায়েন্স ইত্যাদি।

২।লেনদেনের জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা আপনার উন্নতির জন্য একটি আশ্চর্যজনক উপায় হতে পারেক্রেডিট স্কোর. এটি আপনার ক্রেডিট স্কোর যাত্রা শুরু করার সবচেয়ে সহজ বিকল্পগুলির মধ্যে একটি। কিন্তু, আপনার স্কোর নির্ভর করে আপনি আপনার বকেয়া সময়মতো কতটা ভালোভাবে পরিশোধ করবেন তার উপর। পেমেন্ট বিলম্ব এবং আপনার অতিক্রমক্রেডিট সীমা আপনার স্কোর কমিয়ে আনতে পারে।

আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজের যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ

৩।আপনি ইতিমধ্যেই যে কেনাকাটা করছেন তাতে পুরস্কারের আকারে এটি অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করে। পুরষ্কারগুলি আকারে রয়েছেনগদ ফেরত, এয়ার মাইল, ফুয়েল পয়েন্ট, উপহার, ইত্যাদি।

৪।নগদ সর্বত্র বহন করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী বিকল্প নয়। অন্যদিকে, ক্রেডিট কার্ডগুলি ব্যবহার করা সহজ এবং ঝামেলামুক্ত। আপনি কার্ডটি সোয়াইপ করতে পারেন এবং বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে নগদ তুলতে পারেন।

৫।বিভিন্ন কাজে বেছে নেওয়ার জন্য অনেক ক্রেডিট কার্ড বিকল্প রয়েছে। সবচেয়ে সাধারণ হল-নিরাপদ ক্রেডিট কার্ড, অনিরাপদ ক্রেডিট কার্ড, ট্রাভেল রিওয়ার্ড ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, এয়ারলাইন এবং হোটেল ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি। আপনি আপনার নিজের পছন্দ এবং প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে এটি বেছে নিতে পারেন।

ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধা

এখানে ক্রেডিট কার্ডের কিছু অসুবিধা রয়েছে

১।একটি ক্রেডিট কার্ড কেনা আপনাকে ঋণের বিশাল ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। আপনি সময়মতো বকেয়া পরিশোধ না করলে এই ঋণ আপনার জন্য একটি সমস্যা হতে পারে। ঋণদাতারা 15%-20% এর বেশি সুদের হার চার্জ করবে এবং আপনি যদি ব্যালেন্স বন্ধ না করেন তবে এটি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

২।প্রতিটি ক্রেডিট কার্ডের একটি ক্রেডিট সীমা থাকে যার উপরে ব্যাঙ্ক কোনও লেনদেন সীমাবদ্ধ করে। আপনি যদি প্রায়ই ভারী কেনাকাটা করেন তবে এটি বেশ সমস্যাযুক্ত হতে পারে।

ক্রেডিট কার্ড ডেবিট কার্ডের মধ্যে কি কি মিল আছে

ক্রেডিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড এর মধ্যে পার্থক্যের আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই দুটো কার্ড অভিন্ন কোন কোন বিষয় আছে।

১।দুই কার্ড দেখতে একদম একই এবং উভয়ের ক্ষেত্রেই সাধারণত সামনে থাকে ব্যবহারকারীর নাম, ১৬ অঙ্কের একটা অনন্য কার্ড নাম্বার, এক্সপায়ারি ডেট, কার্ড নেটওয়ার্কের (যেমনঃ ভিসা) লোগো আর সিম কার্ডের মত দেখতে একটা সিকিউরিটি চিপ। আর পিছনে থাকে কালো ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ, তিন অঙ্কের সিভিভি নাম্বার, সই করার জায়গা আর কার্ড নেটওয়ার্কের হলোগ্রাম।

২। উভয় কার্ডই অনলাইন বা অফলাইনে কেনাকাটার সময় ব্যবহার করা যায়।

৩। কন্টাক্টলেস বা ইন্টারন্যাশনাল ডলার ট্রানজাকশন ছাড়া দুই ধরনের কার্ডের ক্ষেত্রেই ট্রানজাকশন সম্পূর্ণ করতে হয় পিন অথবা ওটিপির প্রয়োজন পড়ে।

৪।কেনাকাটা ছাড়াও উভয় কার্ডই এটিএমে ব্যবহার করে ক্যাশ তোলা যায়।

ক্রেডিট কার্ড ডেবিট কার্ডের মধ্যে পার্থক্য

১।কার্ড প্রদানকারী

ডেবিট কার্ড আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্ট কিংবা কারেন্ট অ্যাকাউন্টের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এটি মুলত ব্যাংক থেকে প্রদান করা হয়ে থাকে যেখানে আপনার উল্লেখ্য কোনো অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অপরদিকে, আপনি নির্দিষ্ট কোনো ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট না খুলেও ঐ ব্যাংক (কিংবা আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) থেকে ক্রেডিট কার্ড পেতে পারেন।

২।ফান্ড বা অর্থের উৎস

ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ডের মধ্যে প্রাথমিক পার্থক্য হল ফান্ড বা অর্থের উৎসে। ডেবিট কার্ড দিয়ে লেনদেনের সময় আপনার চলতি বা সঞ্চয়ী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যবহার করা হয়। আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ঐ পরিমাণ অর্থ তাৎক্ষণিক বিয়োগ করা হয়।

যখন আপনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, তখন ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে সেই অর্থ প্রদান করে। ক্রেডিট কার্ড গ্রাহককে পরবর্তী বিল দেয়ার তারিখের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে অর্থ ফেরত দিতে হয়।

৩।ফান্ড ব্যবহারের অনুমতি

একটি ডেবিট কার্ড আপনাকে কেবল আপনার চলতি বা সেভিংস অ্যাকাউন্টে সংরক্ষিত পরিমাণের অর্থ ব্যবহারের অনুমতি দেয়। আপনার অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা থাকলে আপনি কেবল সেই ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন।

অন্যদিকে ক্রেডিট কার্ডধারীরা পূর্ব-অনুমোদিত ক্রেডিট সীমা পর্যন্ত ফান্ড ব্যবহার করতে পারে। সাধারণত, উচ্চ ক্রেডিট স্কোরযুক্ত অ্যাকাউন্ট কিংবা ব্যাংকের সাথে ব্যবহারকারীর কর্পোরেট অ্যাকাউন্ট থাকলে সেক্ষেত্রে তাদের একটি উচ্চ পরিমাণের অর্থ ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়।

৪।সুদ

ডেবিট কার্ডের ক্ষেত্রে ফান্ড থেকে রিয়েল-টাইমে অর্থ স্থানান্তর করা হয়, কোনো সুদ যুক্ত না করেই। তবে কোনো কোনো ব্যাংক গ্রাহকের একাউন্টে জমা থাকা টাকার ওপর গ্রাহককে সুদ দিতে পারে যা মূল ব্যালেন্সে যোগ হয়। অন্যদিকে, ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধে বিলম্ব হলে সুদ প্রদান করতে হয়। তবে অব্যবহৃত ক্রেডিট লিমিটের ওপর কোনো বাড়তি অর্থ গ্রাহক পান না।

৫।পরিশোধ

যেহেতু ডেবিট কার্ডে ঋণ হিসেবে অর্থ নেওয়ার দরকার হয়না, তাই সুদ হিসেবে বাড়তি কোনো অর্থ পরিশোধের প্রয়োজন হয়না। তবে ক্রেডিট কার্ডধারীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবহৃত টাকা না দিলে বাড়তি অর্থ পরিশোধ করতে হয়।

৬।ফি চার্জ

আপনার ডেবিট কার্ড ব্যবহার চালিয়ে যেতে আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন ফি এবং প্রসেসিং ফি সহ একটি বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি দিতে হবে। আপনার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার জন্যও আপনাকে এ ধরনের ফি প্রদান করতে হবে, তবে আপনাকে দেরীতে প্রদানের ফি, প্রিপেইমেন্ট জরিমানা এবং ফোরক্লোজার চার্জও দিতে হতে পারে। এটা ব্যাংক/ইস্যুয়ার প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে।

৭।মাসিক স্টেটমেন্ট

কোনো ডেবিট কার্ডের জন্য সাধারণত কোনও মাসিক স্টেটমেন্ট দেয়া হয় না। আপনি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টের মাধ্যমে আপনার ডেবিট কার্ডের লেনদেন দেখতে পারেন। ক্রেডিট কার্ডের জন্য একটি মাসিক স্টেটমেন্ট প্রদান করা হয়। লেনদেনের পরিমাণ ক্রেডিটে সরবরাহ হওয়ায় এটি প্রয়োজনীয়।

৮। ইএমআই বিকল্প

আপনি যখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কিছু ক্রয় করেন, তখন আপনি সেগুলিকে EMIs (সমমান মাসিক কিস্তিতে) রূপান্তর করে ফেরত দিতে পারেন। ডেবিট কার্ডের ক্ষেত্রে এটি একই নয় কারণ আপনি একবারে পুরো অর্থ পরিশোধ করতে বাধ্য।

৯।সুবিধা

সাধারণত ডেবিট কার্ডে উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ-সুবিধা থাকেনা। কিন্তু ক্রেডিট কার্ড অনেক ধরনের সুবিধা প্রদান করে। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে আপনি ক্যাশ ব্যাক, ডিসকাউন্ট, পার্টনার প্রিভিলেজ, এবং রিওয়ার্ড পয়েন্ট অর্জনের মত সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। অবশ্য নির্দিষ্ট কিছু ডেবিট কার্ডে অনেক সময় ডিসকাউন্ট বা ক্যাশব্যাক অফার পাওয়া যায়, যদিও ক্রেডিট কার্ডের তুলনায় তা খুব বেশি হয়না।

ক্রেডিট কার্ড ভালো নাকি ডেবিট কার্ড ভালো?

ডেবিট কার্ড আর ক্রেডিট কার্ড দেখতে একই রকম হয়।

ডেবিট কার্ড আর ক্রেডিট কার্ড সব জায়গায় ব্যবহার করা যায়।

ক্রেডিট কার্ড আর ডেবিট ব্যবহার করার পদ্ধতি প্রায় একি।

ডেবিট কার্ড আর ক্রেডিট কার্ড এই দুই ধরণের কার্ড দিয়ে অনলাইনে শপিং করতে পারি এটিএম থেকে টাকাও তুলতে পারি। কিন্তু এখানে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে শপিং করার আর এটিএম দিয়ে টাকা তোলার অনেক সুবিধা আর অসবিধাও আছে।

ক্রেডিট কার্ড আর ডেবিট কার্ড দুটি কার্ডেই লেনদেন করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

ডেবিট এবং ক্রেডিট, উভয় ধরনের কার্ডেরই আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে ব্যবহারের বিশেষ কিছু সুবিধা আছে। তাই ক্ষেত্রবিশেষ এদের ব্যবহারে নির্দিষ্ট সুবিধা পাওয়া যাবে।

ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সাবধানতা

আপনি যে কোনো জায়গায় অনলাইনে অথবা অফলাইনে ক্রেডিট কার্ড হোক অথবা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করার আগে যাচাই করে নিন আপনি যে জায়গায় ক্রেডিট আর ডেবিট কার্ড নাম্বার দিড়ছেন ওই জাগাটা কি সঠিক। আর কোনো দিন ফোন কল আর মেসেজ এর মাধ্যমে আপনার ডেবিট কার্ড নাম্বার আর ক্রেডিট কার্ড নাম্বার শেয়ার করবেন না।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর

১।ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ড কি?

উত্তরঃডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে প্রধান পার্থক্য –

ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে সে টাকাই তোলা যাবে বা অন্য কোনও ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে যা নিজেদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে রয়েছে। অন্য দিকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নিজেদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকলেও তোলা যাবে এবং অন্য কোনও ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে

২।কিস্তিতে পণ্য কেনার জন্য কোনটি বেশি সুবিধাজনক?

উত্তরঃকিস্তিতে কোনো পণ্য কেনার জন্য ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। অনেক বিক্রেতাই বাড়তি কোনো অর্থ না নিয়েই সহজ কিস্তি সুবিধা দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড সুবিধাজনক।

৩।মানুষ কেন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে?

উত্তরঃক্রেডিট কার্ড সাধারণত নতুন কার্ডধারীর জন্য এককালীন সাইনিং বোনাস, কেনাকাটার জন্য ক্যাশ ব্যাক, রিওয়ার্ড পয়েন্ট এবং ফ্রিকোয়েন্ট-ফ্লায়ার মাইলস সহ সব ধরনের সুবিধা এবং সুবিধা অফার করে। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য একটি স্তরের নিরাপত্তা প্রদান করে যা একটি ডেবিট কার্ড এবং নগদ পারে না জালিয়াতি সুরক্ষা।

৪।কার্ড ছাড়া ক্রেডিট কার্ড নাম্বার বের করব কিভাবে?

উত্তরঃআপনার ফিজিক্যাল কার্ড ছাড়াও, আপনি সাধারণত বিলিং স্টেটমেন্টে এবং আপনার প্রোফাইলে অনলাইনে বা আপনার ব্যাঙ্কের মোবাইল অ্যাপে আপনার কার্ড নম্বর খুঁজে পেতে পারেন। আপনার ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্ট নম্বরটি সাধারণত আপনার দেখার জন্য উপলব্ধ থাকে না। এটি আপনার তথ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।

৫।ক্রেডিট কার্ড নম্বর থেকে টাকা চুরি করা যায়?

উত্তরঃক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি ঘটে যখন একজন অননুমোদিত ব্যক্তি আপনার তথ্য অ্যাক্সেস করে এবং কেনাকাটা করতে এটি ব্যবহার করে । এখানে প্রতারকদের আপনার তথ্য পাওয়ার কিছু উপায় রয়েছে: হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া ক্রেডিট কার্ড৷ আপনার ক্রেডিট কার্ড স্কিমিং, যেমন একটি গ্যাস স্টেশন পাম্পে।

শেষ কথা

আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনি ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ড সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ড উভয়ই লেনদেন করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এটি নগদ অর্থের একটি দুর্দান্ত বিকল্পও হতে পারে। তবে আপনাকে সেগুলি ব্যবহারের সাথে জড়িত ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তাগুলি মনে রাখতে হবে। যেহেতু আপনি জানেন ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ডের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে।তাই সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন ক্ষেত্রে কোন কার্ডটি ব্যবহার করবে।

প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-

↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇

  • ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন

↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇

➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন

➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

আসসালামু আলাইকুম, আমি একজন অনলাইন কনটেন্ট রাইটার। আমার লেখাগুলো পড়ে বিন্দুমাত্র আপনার কোন উপকারে আসলে অবশ্যই পোস্টটিতে কমেন্টস করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

Leave a Comment