ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা।কোন কোন ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে?

Rate this post

লেনদেনের সুবিধার্থে প্রতিনিয়ত ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েই চলেছে।বাংলাদেশে অনেকগুলো ব্যাংক এবং আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ক্রেডিট কার্ড সেবা প্রদান করছে। তবে ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যে একেবারে সহজ তা না। ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য রয়েছে কিছু শর্ত ও যোগ্যতা। আজকের পোস্টে জানানোর চেষ্টা করব ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, কোন কোন ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

ক্রেডিট কার্ড কি?

ক্রেডিট কার্ড হলো মূলত একটি চিপ-ভিত্তিক প্লাস্টিকের কার্ড (সাধারণত) যাতে ক্রেডিট কার্ডধারীর নাম, ক্রেডিট কার্ড নাম্বার, মেয়াদ শেষ এর তারিখ, সিভিভি, ক্রেডিট কার্ডধারীর স্বাক্ষর এবং কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের বিবরণ, ইত্যাদি তথ্য দেওয়া থাকে।

ক্রেডিট কার্ড মূলত কার্ডধারীর অর্থ ব্যয়ের সুবিধা নিশ্চিত করে। ব্যবহারকারী যখন কোনো অর্থ প্রদানের জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, তখন উক্ত অর্থ সেভিংস/কারেন্ট একাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয়না। বরং খরচ করা অর্থ ব্যাংক বা কার্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান আপনাকে বাকিতে লেনদেনের সুবিধা দিয়ে থাকে।

অর্থাৎ ক্রেডিট কার্ড এর কাজই হচ্ছে ব্যবহারকারীদের বাকিতে লেনদেনের সুবিধা প্রদান করা। প্রতিটি ক্রেডিট কার্ড এর ক্ষেত্রে আগে থেকেই ঠিক করে দেওয়া ক্রেডিট লিমিট থাকে। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট অংকের লেনদেনের পর আর ক্রেডিট কার্ড থেকে অর্থ খরচ করা যায়না। ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করার পর আবার এটি ব্যবহার করা যায়। সাধারণত এক মাসের ক্রেডিট কার্ডের বিল পরের মাসের কোনো এক সময়ে প্রদান করতে হয়।

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

যে কেউ ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন না। আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার প্রমাণ দেখালে তবেই ব্যাংক আপনাকে ক্রেডিট কার্ড দেবে। এ ক্ষেত্রেও আবার পেশাগত দিক বিবেচনায় নানা মানদণ্ড রয়েছে।

১।ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে

ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বয়স হতে হবে অন্তত এক বছর, যাতে অন্তত ১০ লাখ টাকার লেনদেন হতে হবে। এর পাশাপাশি প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয়পত্র, দুই কপি ছবি, ট্রেড লাইসেন্স ও রেফারেন্স।

২।চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে

ছয় মাসের ব্যাংক হিসাব দেখাতে হবে। মাসিক বেতন হতে হবে ৩০ হাজার টাকার বেশি। চাকরির বয়সও ছয় মাসের কম হওয়া চলবে না। কার্ডের জন্য আবেদন করতে আরও প্রয়োজন হবে ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নাম্বার বা টিন সার্টিফিকেট, দুই কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, রেফারেন্স।

৩।অন্য পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে

যে পেশায় আছেন, সেখানকার আইডি কার্ড বা এমন কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। সঙ্গে লাগবে দুই কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাস বিলের কপি ও রেফারেন্স।

তবে আপনি সব দিক থেকে যোগ্য হলে যে ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্ট আছে, তারাও উদ্যোগী হয়ে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।

৪।আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড

ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড করতে চাইলে ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। বিদেশে যাওয়ার আগে ক্রেডিট কার্ড তৈরি করলে বিদেশের এটিএম বুথগুলো (প্রায়) থেকেও অর্থ তোলা যাবে। বিদেশে খরচ করতে করতে টাকা শেষ করে ফেললে বিপদ। তাই যত খরচ করবেন, ফিরে এসে তত ফেরত দিলেই হবে। ক্রেডিট কার্ড থাকলে হাত খালি হওয়ার ভয় থাকে না।

ক্রেডিট কার্ড আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

→ প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র

→ দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

→ টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) সার্টিফিকেট

→ চাকরিজীবীর ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র কিংবা স্যালারি সার্টিফিকেট, যেখানে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকার স্যালারি হতে হবে এবং ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

→ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স, মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন, ১০ লাখ টাকার ব্যবসায়িক লেনদেনসহ ১ বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

→অন্যান্য পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পেশা নিয়োগের সনদপত্র এবং রেফারেন্স হিসেবে ইউটিলিটি বিলের কপি।

→ রেফারেন্স।

ক্রেডিট কার্ড-এর জন্য আবেদন পদ্ধতি

১।বর্তমানে প্রতিটি ব্যাংকেরর ওয়েবসাইটে ক্রেডিট কার্ড-এর আবেদন ফর্ম দেওয়া থাকে। সেখান থেকে ডাউনলোড করে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ পূর্বক সঠিকভাবে ফর্মটি পূরণ করে ব্যাংকের ইমেইলে পাঠানো যেতে পারে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, লঙ্কা বাংলা, সিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক এবং ইস্টার্ন ব্যাংক-এর নিজস্ব অনলাইন আবেদন গ্রহণ সিস্টেম আছে।

২।আবেদন ফর্ম পূরণের আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ ভালো করে জেনে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের হটলাইনে যোগাযোগ করে সঠিক নির্দেশনা নিয়ে ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করা যেতে পারে।

৩।আবেদনের সাথে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে ইমেইলে সংযুক্ত করে দিতে হবে। তবে অনলাইন বা অফলাইন যে মাধ্যমেই আবেদন করা হোক না কেন, ক্রেডিট কার্ডটি চূড়ান্তভাবে হাতে আসতে কমপক্ষে ১০ কার্যদিবস সময় লাগতে পারে। কোন কোন ব্যাংকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

ক্রেডিট কার্ড কিভাবে পাবেন?

ক্রেডিট কার্ড পেতে হলে প্রথমে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতায় উল্লেখ্য প্রয়োজনীয় ব্যাপারগুলো নিশ্চিত করুন। ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা থাকলে খুব সহজেই ক্রেডিট কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ব্যাংক বা আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (যেমন লংকাবাংলা ফাইন্যান্স) থেকে ক্রেডিট কার্ড পেতে হলে তাদের ক্রেডিট কার্ড বিভাগের প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এরপর আপনার আয়ের উৎস, মাসিক আয়, ইত্যাদি তথ্য জমা দেওয়ার পর ক্রেডিট কার্ড বিভাগ থেকে আপনাকে পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে অবহিত করা হবে।

কোন কোন ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে

বাংলাদেশের প্রায় সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকই বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড সেবা প্রদান করে থাকে। ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যাবে এমন কিছু উল্লেখ্যযোগ্য ব্যাংক হলোঃ

১।ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড

ডাচ বাংলা ব্যাংক ২০০৮ সালে থেকে ভিসা ইএমভি ক্রেডিট কার্ড ও ২০১০ সাল থেকে মাস্টারকার্ড ইএমভি ক্রেডিট কার্ড সেবা দিয়ে আসছে। বর্তমানে ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রদত্ত ক্রেডিট কার্ডসমুহ হলোঃ

-মাস্টারকার্ড ক্ল্যাসিক

-ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড

-মাস্টারকার্ড ক্ল্যাসিক লোকাল ক্রেডিট কার্ড

-মাস্টারকার্ড গোল্ড

-ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড

-মাস্টারকার্ড টাইটেনিয়াম ক্রেডিট কার্ড

-ভিসা ক্ল্যাসিক লোকাল ক্রেডিট কার্ড

-ভিসা গোল্ড ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড

-ভিসা প্ল্যাটিনাম ক্রেডিট কার্ড

উল্লেখিত ক্রেডিট কার্ড ছাড়াও আরো অনেক ধরনের ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকে ডিবিবিএল।

আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজের যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ

২।সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড

সিটি ব্যাংক একাধিক ধরনের ক্রেডিট কার্ড সেবা প্রদান করে। সিটি ব্যাংক প্রদত্ত উল্লেখযোগ্য ক্রেডিট কার্ডগুলো হলোঃ

-অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস প্ল্যাটিনাম ক্রেডিট কার্ড

-অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস গোল্ড ক্রেডিট কার্ড

-সিটি আলো আমেরিকান এক্সপ্রেস ক্রেডিট কার্ড

-ভিসা ক্রেডিট কার্ড

-অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস ব্লু ক্রেডিট কার্ড, ইত্যাদি।

উল্লেখিত ক্রেডিট কার্ডসমুহ ছাড়াও সিটি ব্যাংক আরো অনেক ধরনের ক্রেডিট কার্ড সেবা প্রদান করে থাকে।

৩।ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড

ব্র্যাক ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড সেবা প্রদান করছে। তাদের ক্রেডিট কার্ডগুলো হচ্ছেঃ

-ইনফিনিট

-সিগনেচার

-প্ল্যাটিনাম

-গোল্ড

-ক্ল্যাসিক

বিস্তারিত জানতে ব্র্যাক ব্যাংকের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

৪।স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক একাধিক রকমের ক্রেডিট কার্ড সেবা প্রদান করে আসছে অনেকদিন ধরেই। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কতৃক প্রদত্ত উল্লেখযোগ্য ক্রেডিট কার্ডসমুহ হলোঃ

-ভিসা সিগনেচার ক্রেডিট কার্ড

-প্ল্যাটিনাম ভিসা/মাস্টার কার্ড

-সুপার ভ্যালু টাইটেনিয়াম কার্ড

৫।ইস্টার্ন ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড

ইস্টার্ন ব্যাংকও একাধিক ক্রেডিট কার্ড সেবা প্রদান করে থাকে। ইস্টার্ন ব্যাংক প্রদত্ত উল্লেখযোগ্য ক্রেডিট কার্ডসমুহ হলোঃ

-ভিসা ক্লাসিক ক্রেডিট কার্ড

-ভিসা গোল্ড ক্রেডিট কার্ড

-মাস্টার কার্ড টাইটেনিয়াম ক্রেডিট কার্ড

-মাস্টার কার্ড ওয়ার্ল্ড ক্রেডিট কার্ড

৬।প্রিমিয়ার ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড

প্রিমিয়ার ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকে পাঁচ ধরনের। প্রিমিয়াম ব্যাংক প্রদত্ত ক্রেডিট কার্ডসমুহ হলোঃ

-গোল্ড কার্ড

-ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড

-প্ল্যাটিনাম কার্ড

-ক্ল্যাসিক কার্ড

-ডুয়াল কারেন্সি কার্ড

প্রিমিয়াম ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসতে পারেন প্রিমিয়ার ব্যাংক এর ওয়েবসাইট থেকে।

ক্রেডিট কার্ড এর খরচ

বর্তমানে অধিকাংশ ব্যাংকই বিনামূল্যে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে থাকে। তবে ক্রেডিট কার্ড এর বার্ষিক চার্জ ব্যাংক/প্রতিষ্ঠানভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে রিওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে আপনি কিছু চার্জ মওকুফ করাতে পারেন। আপনি ক্রেডিট কার্ড যে ব্যাংক থেকে নিতে চান, সে ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে উক্ত ক্রেডিট কার্ড এর খরচ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।

ক্রেডিট কার্ড করার সময় যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন

১।ক্রেডিট কার্ড সক্রিয়করণ

ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করার পর এর সিস্টেম চালু হতে ১ থেকে ৩ কর্মদিবস সময় লাগতে পারে। কার্ড অ্যাকটিভ হলে মোবাইলে কিংবা ইমেইলে বার্তা চলে আসে। এই সময়টি অবশ্য নির্ভর করে ব্যাংকের উপর। তাই শুরুতেই ক্রেডিট কার্ড সেবাদাতার হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করে অ্যাকটিভেশন সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেয়াটা উত্তম।

২।পিন নাম্বার

এটিএম বুথ এবং সুপারশপের পস (পয়েন্ট অব সেল)-এ কেনাকাটার সময় ক্রেডিট কার্ডের চার সংখ্যার পিন নাম্বার দরকার হয়। এটি সাধারণত কার্ডের প্যাকেটের ভেতর ভাঁজ করা কাগজে প্রিন্ট করা থাকে। নতুবা হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করে পিন নাম্বারটি সংগ্ৰহ করে নিতে হবে।

৩।ক্রেডিট কার্ড-এর খরচ শর্তাবলি

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ওপর বিভিন্ন শর্ত ও চার্জ প্রযোজ্য থাকে। যেমন, ক্রেডিট কার্ডটি মাস্টারকার্ড শ্রেণীর হলে, কেবল মাস্টারকার্ড চিহ্নিত এটিএম বুথ, পস এবং ই-কমার্স সাইটেই এটি ব্যবহার করা যাবে। এ ধরনের তথ্যগুলোর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া জরুরি।

এছাড়া প্রতিবার এবং প্রতিদিন সর্বোচ্চ কতবার ট্রানজেকশন করা যাবে, ক্রেডিট লিমিট, পরিশোধের দিনক্ষণ ইত্যাদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে অতীব দরকারি বিষয়।

৪।ক্রেডিট কার্ডের তথ্যাবলি

ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় ব্যাংকে যেসব তথ্য প্রদান করা হয়েছে তার একটি অনুলিপি নিজের কাছে রাখা উচিত। কোনোদিন কার্ড হারিয়ে গেলে বা কোনো কারণে নতুনভাবে কার্ড তোলার সময় এই তথ্যগুলো দরকার হবে।

৫।কাদের জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা উচিত নয়

ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহের যোগ্যতাগুলো অর্জন করে তবেই ক্রেডিট কার্ড নেওয়া উচিত। অন্যথায় আর্থিকভাবে নানা সংকটে পড়তে হয়। এমনকি যোগ্যতা অর্জনের পরেও জীবনের দৈনন্দিন কাজে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হয়।

প্রতিটি ব্যাংকেই ক্রেডিট কার্ড-এর বিল পরিশোধে একটি নির্দিষ্ট সুদের হার ধার্য করা থাকে। ক্রেডিট লিমিটের নির্ধারিত সময় ৪৫ দিন পেরিয়ে গেলে সেই সুদসহ ঋণ পরিশোধ করতে হয়। এছাড়া দেরিতে বার্ষিক ফি প্রদান করা হলেও জরিমানার খরচ গুনতে হয়।

এ জন্য প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়েই সেই নূন্যতম ৩০ হাজার আয় হওয়া আবশ্যক। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে বেতন গ্রহণে বিলম্ব বা অনিয়মিত হলে সঠিক সময়ে ক্রেডিট কার্ড-এর বিলে পরিশোধে সমস্যা হতে পারে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত আয়ের সময়টি ক্রেডিট কার্ড-এর নির্ধারিত সময় ছাড়িয়ে গেলে বিল পরিশোধ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়তে পারে।

ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার উপায়

আপনার ক্রেডিট কার্ডের সব বকেয়া টাকা পরিশোধ করার পর আপনাকে আপনার ব্যাংককে জানাতে হবে যে আপনার ক্রেডিট কার্ডটি আপনি বন্ধ করে দিতে চান। নীচে আমরা ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করা উপায় গুলো দেওয়া হল –

১।আপনি ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার ফর্মটি পূরণ করে ব্যাংক জমা করলে ব্যাংক আপনার ক্রেডিট কার্ড কিছু দিনের মধ্যে বন্ধ করে দেবে।

২।ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারে কল করে ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করতে বলতে পারেন।

৩।ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপ থেকে ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার অনুরোধও করতে পারেন।

৪।আপনি কার্ডটি বন্ধ করতে ব্যাংকে একটি ই-মেইল পাঠাতে পারেন।

৬।আপনি আপনার ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ক্রেডিট কার্ড বন্ধ/বাতিল করতে বলতে পারেন।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

১।কে ক্রেডিট কার্ড পেতে পারে?

উত্তরঃএকটি ক্রেডিট কার্ডের প্রাথমিক মানদণ্ড হল আপনার ক্রেডিট স্কোর এবং আয়। এটি আপনাকে একজন বেতনভোগী ব্যক্তি হতে হবে এমন নয়। যতক্ষণ আপনি একটি স্থিতিশীল আয়ের প্রমাণ জমা দিতে পারেন, আপনি একটি ক্রেডিট কার্ড পেতে পারেন । আপনি যদি স্ব-নিযুক্ত হন তবে আপনি ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।

২।১৮ বছর বয়সে কিভাবে ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যায়?

উত্তরঃভোক্তারা 18 বছর বয়স থেকে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন, তবে আইনে তাদের স্বাধীন আয় বা সহ-স্বাক্ষরকারী থাকতে হবে। যাইহোক, বেশিরভাগ প্রধান ইস্যুকারীরা সহ-স্বাক্ষরকারীদের আর অনুমতি দেয় না। সুতরাং, 18, 19 বা 20 বছর বয়সী একজন ব্যক্তিকে সাধারণত ক্রেডিট কার্ডের জন্য অনুমোদিত হওয়ার আগে তাদের নিজস্ব আয় উপার্জন করতে হবে এবং প্রমাণ করতে হবে।

৩।ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার তিনটি শর্ত কি?

উত্তরঃকিছু ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারীর আপনার আয় এবং আপনার একটি মার্কিন ঠিকানা আছে প্রমাণ করার জন্য ডকুমেন্টেশন প্রয়োজন। কিছু ইস্যুকারীদের পরিচয়ের প্রমাণ হিসাবে একটি সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর (SSN) প্রয়োজন। একটি পৃথক করদাতা সনাক্তকরণ নম্বর (ITIN)ও গ্রহণ করা যেতে পারে

৪।ভিসা কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায়?

উত্তরঃএটিএম মেশিনে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট থাকে। কোন খুচরা না থাকায় আপনি ৫০০ এর গুনক যেকোনো পরিমাণ টাকা উত্তলন করতে পারবেন। যেমন ৫০০*১=৫০০ টাকা সর্বনিম্ন আর সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা করে প্রতিবার উত্তোলন করে একদিনে মোট ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করতে পারবেন।

৫।14 বছর বয়সে কি ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যায়?

উত্তরঃআপনার বয়স 18 বছরের কম হলে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার একমাত্র উপায় হল একজন প্রাপ্তবয়স্কের ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্টে একজন অনুমোদিত ব্যবহারকারী হওয়া। আপনি 18 বছর না হওয়া পর্যন্ত আপনার নিজের ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্ট পেতে পারবেন না এবং আপনি মাসিক বিল পেমেন্ট করার জন্য যথেষ্ট স্বাধীন আয় প্রদর্শন করতে পারবেন।

শেষ কথা

শুধু প্রয়োজনীয়তাই নয়, এর পাশাপাশি ভাবতে হবে জীবনযাত্রার অন্যান্য ব্যয়ভার বহন করে ক্রেডিট কার্ড পরিচালনার যথেষ্ট সক্ষমতা আছে কি না। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটার পথ সুগম হওয়াতে অহেতুক খরচের প্রবণতা বাড়ে। এটি সম্পূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার হলেও এর ফলে সৃষ্টি হয় চরম আর্থিক অস্থিতিশীলতা। তাই একটি নির্ভরযোগ্য আর্থিক সচ্ছলতার পরেও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার খরচগুলোতে ভারসাম্যতা বজায় রাখা বাঞ্ছনীয়।

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-

↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇

  • ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন

↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇

➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন

➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

আসসালামু আলাইকুম, আমি একজন অনলাইন কনটেন্ট রাইটার। আমার লেখাগুলো পড়ে বিন্দুমাত্র আপনার কোন উপকারে আসলে অবশ্যই পোস্টটিতে কমেন্টস করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

Leave a Comment