গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা জানতে ক্লিক করুন

5/5 - (1 vote)

গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা-একজন নারীর জীবনের বেশি সুন্দরতম সময় হচ্ছে প্রেগনেন্সি। সন্তান পেটে আসার কথা জানা মাত্রই সন্তানের প্রতি মায়ের যত্ন শুরু হয়। আল্লাহ তাআলার তরফ থেকে ম্যাজিকাল বন্ড তৈরি হয়ে যায় মা এবং গর্ভের শিশুর মধ্যে।গর্ভবতী অবস্থায় সন্তানের সুস্থতা এবং সঠিক বেড়ে ওঠার জন্য গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না এবং কি কি খেতে হবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে একজন গর্ভবতী মা অনেক বেশি সচেতন থাকেন। গর্ভাবস্থায় কি কি খাবার খাওয়া যাবেনা এই বিষয়টি জানার জন্য গর্ভবতী মায়েরা খুবই চিন্তিত থাকেন।

গর্ভবতী অবস্থায় একজন নারীর শরীর সংবেদনশীল থাকে যার কারণে সকল খাবার এই সময় মায়ের এবং অনাগত সন্তানের সুস্থতার জন্য উপযোগী হয় না।কাজেই গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা সম্পর্কে জানা থাকলে খুব সহজে গর্ভবতী মায়েরা খাদ্য তালিকা থেকে থেকে এগুলো বাদ দিতে পারে।

আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজে যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ

সম্মানিত পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা আশা করছি সকলে ভালো আছেন।আজকের আর্টিকেলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আলোচনা করব। আজকের আর্টিকেলের টাইটেল দেখেই আপনারা বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা সেই সম্পর্কেই আমাদের আজকের ব্লগটি লেখা হবে। যারা সন্তানসম্ভবা তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা এই বিষয়টি সকল গর্ভবতী মায়েদের জানা থাকা উচিত যাতে করে মায়ের এবং সন্তানের সুস্থতা বজায় থাকে। তাই আর দেরি না করে চলে যাই আজকের মূল আলোচনায়।

গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা

গর্ভবতী মায়েদের সুস্থতা এবং তার অনাগত সন্তানের সঠিক বিকাশ এবং সুস্থতার কথা চিন্তা করে সকল গর্ভবতী মায়েদেরই খাবারের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। জানা থাকতে হবে গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা এবং কি কি খেলে বেশি উপকার পাবে। খাদ্য নিয়ে ভুল ত্রুটির কারণে অনেক সময় গর্ভের সন্তান এবং মায়ের শারীরিক অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় খাদ্য নিয়ে একটু বেশি সচেতন থাকতে হয়। চলুন দেখে নেই গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা;

১) প্রসেসড মিট বা অর্ধ সিদ্ধ মাংস

যারা সন্তান সম্ভবা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রসেস মিট বা অর্ধ সিদ্ধ মাংস খুবই ক্ষতিকর ।গর্ভাবস্থায় যদি নারী এই অর্ধ সিদ্ধ মাংস খায় তাহলে তা থেকে ব্যাকটেরিয়া ও প্যারাসাইটস নামক জীবাণু শরীরের প্রবেশ করে স্নায়ু সমস্যা, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, মৃগী, স্টিল বার্থের মতো জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় মাংস খেলে অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে রান্না করা সিদ্ধ মাংস খেতে হবে।

২) অর্ধ সিদ্ধ মাছ

গর্ভবতী মায়েদেরকে গর্ভাবস্থায় অবশ্যই মাছ ভালোমতো রান্না করে খেতে হবে।অর্ধ সিদ্ধ মাংসের মতো অর্ধ সিদ্ধ মাছ কিংবা কাঁচা মাসেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু গর্ভবতী মায়েদের শরীরের প্রবেশ করে অনেক ক্ষতি করতে পারে এবং গর্ভাবস্থায় ভয়ঙ্কর রোগের আশঙ্কা থাকতে পারে। কাজেই গর্ভবতী মায়েদের মাছ খাওয়ার সময় ভালোমতো রান্না করে খেতে হবে।

৩) অর্ধ সিদ্ধ ডিম

গর্ভাবস্থায় অর্ধ সিদ্ধ ডিম খাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কেননা সালমোনেল্লা ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যা শরীরে প্রবেশ করলে বমি, পায়খানা, জ্বর, পেটে ব্যথা হতে পারে। আর গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে এই সময় এইসব সমস্যাগুলো হওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।অর্ধ সিদ্ধ ডিম খেলে গর্ভবতী মায়ের পাশাপাশি গর্ভের সন্তানেরও অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে তাই এই সময় অর্ধ সিদ্ধ ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উত্তম।

৪) অতিরিক্ত চা কফি

গর্ভবতী অবস্থায় চা কফি খাওয়ার পরিমাণ অনেক কমিয়ে দিতে হবে কেননা এতে করে গর্ভস্থ শিশুর ওজন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অন্তঃসত্ত্বা নারীদের দিনে ১কাপের বেশি চা কফি খাওয়া উচিত নয় ।

৫) অ্যালকোহল

মদ্যপান বা অ্যালকোহল দেহেহ জন্য কখনোই স্বাস্থ্যকর নয়। যদি কোন নারী মদ্যপান বা অ্যালকোহল নিয়মিত গ্রহণ করে থাকেন তাহলে তার এই অভ্যাস অবশ্যই গর্ভবতী অবস্থায় ত্যাগ করা বাধ্যতামূলক। গর্ভবতী অবস্থায় অ্যালকোহল শরীরে প্রবেশ করলে শিশুর জন্মের পর শিশুর হার্টের সমস্যা সহ আরো অনেক ধরনের জটিল সমস্যা হতে পারে। এমনকি শিশু বুদ্ধি প্রতিবন্ধীও হতে পারে। তাই গর্ভবতী অবস্থায় কখনোই ধূমপান কিংবা মদ্যপান করা যাবেনা।

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা

গর্ভবতী অবস্থায় মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য খাবারের দিকে অনেক বিধি নিষেধ মেনে চলতে হয়।গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা এবং কোন খাবার খেলে সুস্থ থাকা যাবে এই সম্পর্কে প্রতিটি গর্ভবতী নারীর অবগত থাকা উচিত।শাকসবজি থেকে আমরা অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং পেয়ে থাকি। কিন্তু কিছু কিছু রয়েছে যা গর্ভবতী অবস্থায় খেলে গর্ভবতী মায়ের জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। গর্ভবতী অবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা এই সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো:

কাঁচা পেঁপে

ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভবতী অবস্থায় কাঁচা পেঁপে খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো। নিঃসন্দেহে কাঁচা পেঁপে খুবই পুষ্টিকর গর্ভবতীদের জন্য এটি উপকারের চেয়ে ক্ষতির কারণ বেশি। কেননা কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ল্যাটেক্স। এই ল্যাটেক্স গর্বের শিশুর জন্য অনিরাপদ যার কারণে গর্ভবতী অবস্থায় কাঁচা পেঁপে খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

সজিনা

সজিনা অনেক পুষ্টিকর একটি সবজি হলেও এটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুব একটা উপকারী নয়।সজিনাতে সিটেস্টেরল নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা দেহে প্রবেশ করে গর্ভবতী মায়েদের গর্ভপাত ঘটাতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় সজিনা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উত্তম।

শিম

গর্ভাবস্থায় মায়েদের স্বাস্থ্য এবং তার অনাগত সন্তানের তার জন্য শিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।এছাড়াও রান্না না করা অঙ্কুরিত বীজ এবং খাদ্যশস্য গর্ভবতী মায়ের শরীরের ক্ষতিকর হতে পারে।

করলা

গর্ভাবস্থায় করলা খেলে এ থাকা গ্লাইকোলাইসিস মারোডিসিন, সেপোনিক নামক বিষাক্ত পদার্থ গর্ভবতী এবং সন্তানের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে।তাই গর্ভাবস্থায় করলা না খাওয়াই ভালো।

কাঁচা মূলা  

অনেকেই সালাদ হিসেবে কাঁচা মুলা খান। কাঁচা মূলা শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর জন্য এটি উপকারী নয়। কাঁচা মুলায় লিসটেরিয়া সালমোনিলা ও ই.কোলি নামক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যা মা ও শিশুর সুস্থতায় বাধা দিবে।

বেগুন

বেগুন সবজির মধ্যে অনেক জনপ্রিয়। বেগুন মাছের তরকারিতে খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম। কিন্তু এখনই রয়েছে প্রচুর এলার্জি।বেগুনি শুধুমাত্র এলার্জি রয়েছে তা নয় মাথায় বেগুন খেলে রক্তস্রাব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেগুনের মধ্যে রয়েছে ফাইটোহরোমনস নামক পদার্থ গর্ভাবস্থায় খেলে শরীরে ক্ষতি হতে পারে।

অ্যালোভেরা

এলোভেরা গর্ভবতীদের জন্য যে এটি খাওয়ার ফলে গর্ভপাত ঘটার মতো বিপদ হতে পারে। অনেক নারী সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং গ্যাস্ট্রিক অথবা পেটের সমস্যা অ্যালোভেরা জুস খেয়ে থাকেন। তবে যদি আপনি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে তা খাওয়া আজ থেকে বাদ দিন।

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা

গর্ভবতী মা এবং পেটের সন্তানের সুস্থতা রক্ষায় অবস্থায় গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা এই বিষয়টি খেয়াল রাখা প্রত্যেক কর্তব্য।গর্ভবতী অবস্থায় পরিপূর্ণ পুষ্টি পেতে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে হয়। বিভিন্ন ফলে থেকে গর্ভবতী মায়েদের শরীর ভিন্ন ভিন্ন পুষ্টি পায়। কিন্তু এই অবস্থায় কিছু কিছু ফল গর্ভবতীদের শরীরে ক্ষতিসাধন করতে পারে।চলুন দেখি নেই গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা;

আনারস

অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল হলো আনারস। আনারসের অনেক গুনাগুন থাকলেও প্রতি মায়েদের জন্য এটি উপকারী নয়। আনারসে ব্রোমেলাইন নামক উপাদান যা অতি নারীর জরায়ু পথকে কোমল করে। এতে করে ব্যথা অনুভব হতে পারে এবং ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 পেঁপে

অনেকেই বলেন গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেঁপে খাওয়া উচিত না হলেও পাকা পেঁপেতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু তাই কাঁচা কিংবা পাকা কোন পেঁপেই খাওয়া উচিত নয়। গর্ভাবস্থায় পেঁপে খেলে পাকস্থলির ব্যথা এবং গর্ভপাত ঘটার ঝুঁকি থাকে। যার কারণে গর্ভাবস্থায় না খাওয়া উত্তম।

হিমায়িত ফল বা শুকনো ফল

যেকোনো হিমায়িত ফল গর্ভাবস্থায় খেলে পেটের সন্তান এবং গর্ভবতী মায়ের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কেননা দীর্ঘদিন যাবত এই ফলগুলো এতক্ষণ করে রাখা হয় যার কারণে অনেক সময় এর পুষ্টি উপাদান পরিপূর্ণভাবে পাওয়া যায় না এবং ব্যাকটেরিয়া থাকার সম্ভাবনা থাকে।আবার হিমাশিত ফলের মধ্য ফরমালিন কিংবা প্রিজারভেটিভ থাকে যার কারণে গর্ভাবস্থায় এসব হিমায়িত ফল খাওয়া বাদ দিতে হবে।

আঙ্গুর

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস আঙুর খাওয়া যাবেনা। কেননা আঙ্গুরের রয়েছে রেসভেরাট্রল যা হরমোনাল সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও আঙ্গুর খুবই তাপ উৎপাদনকারী একটি ফল জামা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায় খাবার তালিকা

গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা এবং কি কি খেতে হবে এটি জানা থাকলে একজন গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা প্রস্তুত করা খুবই সহজ হয়। গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় কয়েকটি স্টেজ পার করতে হয়।এসব স্টেজের খাবার তালিকার মধ্য পার্থক্য যাতে করে পেটের সন্তান বড় হওয়ার সাথে সাথে মা ও সন্তান সঠিক পরিমাণে পুষ্টি পায়। তো চলুন দেখে নেই গর্ভাবস্থায় খাবার তালিকা কেমন হবে:

১-মাসের খাবার তালিকা

গর্ভবতী মায়েদের প্রথম স্টেজ হচ্ছে ১-৩ মাস। এই সময়টায় খাবারের প্রতি অনেক বেশি যত্নশীল হতে হয়। গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা তা এই ১-৩ মাস সময়ের মধ্যেই জেনে রাখতে হবে।যদিও এই সময়টাতে খাবার অতিরিক্ত না খেলেও শরীরের ক্ষতি হয় না কিন্তু পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরী। এক থেকে তিন মাসের গর্ভবতীদের খাবার তালিকা নিচে দেখুন 👇

*ভাত ৫০০-৬০০ গ্রাম।

*সবুজ এবং রঙিন শাকসবজি ২৫০-৩৭৫ গ্রাম।

*হলুদ ফল এবং সবজি ২৫০ গ্রাম।

*ডাল ৫০০গ্রাম।

*ডিম ১টি।

*দুধ ২৫০ গ্রাম (১ গ্লাস)

থেকে মাস গর্ভবতীদের খাবার তালিকা

৪-৬ মাস সময়ের মধ্য গর্ভের শিশু অনেকটাই বড় হয়। আর এই সময় গর্ভের সন্তানের বিকাশ এবং গর্ভবতী মায়ের ওজন কিছুটা বাড়াতে হয়। যার কারণে খাবারেরও পরিমাণ বাড়ে। ৪-৬ মাস গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা সেগুলো জেনে কোন কোন খাবারে পুষ্টি বেশি পাওয়া যাবে সেগুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। প্রথম ৩ মাস গর্ভাবস্থায় মায়েদের খাবার তালিকার মতোই ৪-৬ খাবার তালিকা একই থাকবে শুধুমাত্র প্রথম তিন মাসের থেকে বেশি ৩৪০ ক্যালোরি প্রতিদিন অধিক পরিমাণে খেতে হবে।

মাস থেকে মাস গর্ভবতীদের খাবার তালিকা

৭ থেকে ৯ মাসের গর্ভাবস্থায় কি খাওয়া যাবেনা তা তালিকা করে প্রতিদিনের খাদ্য রুটিন থেকে বাদ দিয়ে গর্ভের শিশুর ওজন বাড়ানোর জন্য এবং গর্ভবতী মায়ের সুস্থতায় যে খাবারগুলো বেশি  উপকারি সেগুলো খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে।৭-৯ মাসের গর্ভবতীদের তালিকায় অতিরিক্ত ৪৫০ ক্যালরি যুক্ত করতে হবে। এছাড়াও খাবার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ বাড়তি খাবার খেতে হবে।  গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না  অর্থাৎ খাদ্য তালিকা খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় বাদ দিতে হবে সম্পর্কে জেনে নিন –

১)অতিরিক্ত চিনি যুক্ত  মিষ্টি খাবার।

২)বাইরের অস্বাস্থ্যকর ভাজাপোড়া,কেক- পেস্ট্রি।

৩)ডালডা।

৪)চিপস, চকলেট।

৫)কোমল পানীয়।

৬)ক্রিম, মাখন।

৭)আইসক্রিম।

এই খাবারগুলোতে অতিরিক্ত ক্যালরি থাকায় শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং ওজন বেড়ে গিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যতটা সম্ভব এই খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় কম খাওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় ফেক্সো ১২০ খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা তা জানার পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যে ওষুধগুলো আমরা খেয়ে থাকি খাওয়া ঠিক হবে কিনা সেটি জানাও জরুরী। ছোটখাটো সমস্যা ঠান্ডা সর্দি কিংবা এলার্জি থাকলে অনেকেই ফেক্সো ১২০ খেয়ে থাকেন। যেহেতু গর্ভাবস্থায় ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক থাকতে হয় তাই গর্ভাবস্থায় ফেক্সো ১২০ খাওয়ার আগে পরামর্শ নিতে হবে।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

সারজেল ২০ কি গর্ভাবস্থায় খাওয়া যায়?

উত্তর:সার্জেল ২০ ক্যাপসুল গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, পেটের আলসারের চিকিৎসায় খাওয়া হয়। তবে গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় সারজেল ২০ খাওয়া উপযোগী কিনা তা জানতে পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদিও গর্ভাবস্থায় সার্জেল ২০ না খাওয়া সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়া যাবে কি?

গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খেলে যেমন উপকার আছে তেমনি কিছু অসুবিধাও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড ক্ষুধা দমন করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে । তবে গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার মধ্য কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রতিদিন একজন গর্ভবতী মহিলা মাত্র ২৮ গ্রাম চিয়া সিড খেতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি খেলে ডিহাইড্রেশন, ডায়রিয়া কিংবা রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়?

গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতা। মুড়িতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, পটাশিয়াম, থায়ামিন, ফসফরাস,নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালোরি।গর্ভাবস্থায় এই সকল উপাদানগুলো খুবই প্রয়োজনীয়। এছাড়াও মুড়িতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম যা একজন গর্ভবতী মায়ের সুস্থতার জন্য জরুরী।

শেষ কথা-

বন্ধুরা আজকের ব্লগে আলোচনা করলাম গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা সেই সম্পর্কে। বিষয়টি একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভবতী মায়ের এবং তার পেটের সন্তানের সুরক্ষায় কি কি খাওয়া যাবেনা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী। কাজেই আজকের ব্লকটি পড়ে আশা করি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা নিতে পেরেছেন। আমাদের লিখাটি যদি আপনাদের সামান্য উপকারে আসে সেখানেই আমাদের সার্থকতা। সকলেই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন টিকেট করার নিয়ম

পিজি হাসপাতালে অনলাইন টিকিট বুকিং করার নিয়ম

ইউনিক বাস অনলাইন টিকেট কাটার নিয়ম

বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকিট কাটার নিয়ম

জাতীয় জাদুঘর অনলাইন টিকেট করার নিয়ম

↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇

  • ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন

↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇

➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন

➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

Welcome to our banking tips blog! I'm Sanaul Bari, a passionate financial educator and experienced banking professional dedicated to helping individuals and businesses navigate the complex world of finance. With over a decade of experience in the banking industry, I’ve held various positions, from customer service representative to financial advisor, gaining a comprehensive understanding of banking products, services, and strategies.

Leave a Comment