আরাফার দিনের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত

5/5 - (1 vote)

আরাফার দিন হচ্ছে সকল মুসলমানের জন্য পবিত্র এবং মহা মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন।এই দিনটিতে হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে গমন করা সকল মুসলমান আরাফায় অবস্থান করেন। মহান আল্লাহ তায়ালা এই দিনে তার বান্দা-বান্দীদের প্রতি ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে ঘোষণা করেন।মুসলমানদের জন্য আরাফার দিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ । যার কারণে আরাফার দিনের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে সকল মুসলমানের জানা উচিত।

কোরানে আরাফাত দিনের গুরুত্বপূর্ণতার সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا

অর্থাৎ আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের মনোনীত দ্বীনকে পূর্ণতা দান করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জীবন বিধান হিসেবে মনোনীত করলাম।(সূরা আল মায়িদা আয়াত নং ৩)

আরাফার দিনের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে অনেক মুসলমান ভাইবোনদেরই অজানা রয়েছে অনেক কিছু। আজকের ব্লগটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ে মুসলমানদের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আরাফার দিনের  ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন। এই দিনে আল্লাহ তালা  মুসলমানদের উদ্দেশ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামকে পরিপূর্ণ ঘোষণা করেন। কাজেই আরাফার  দিনের  ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে আপনার জানা অবশ্যই জরুরী। চলুন আর দেরি না করে চলে যাই আমাদের আজকের ব্লগের মূল বিষয়ে।

আরাফার দিনের ফজিলত করণীয়

আরবি বছরের শেষ মাস হচ্ছে জিলহজ মাস। জিলহজ মাসের ৯ তারিখ সকল হাজীদের আরাফার স্থানে অবস্থান করার দিন। ইসলামে আরাফার দিনের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মুসলমানদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত এবং গুনাহ মাফের দিন হিসেবে এটিকে ঘোষণা করা হয়। জিলহজ মাসের ৯ তারিখ হল আজহার আগের দিন। হজ্জের সবচেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ আহকাম হলো যিলহাজ্জ মাসের ৯ তারিখ ‘আরাফার ময়দানে’ অবস্থান করা।

আরাফার দিনের ফজিলত

আরাফার দিনের ফজিলত করণীয় সম্পর্কে আমরা অবশ্যই জানব। প্রথমে জানবো আরাফার দিনের ফজিলত সম্পর্কে।

আরাফার দিনের ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “আরাফার ময়দানে অবস্থান করাই হলো হাজ্জ।”

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে বলেছেন: “আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী, এটি পূর্ববর্তী এক বছর ও পরবর্তী এক বছরের গুনাহের কাফফারা হবে। মুসলিম, ১১৬২)

আল্লাহতায়ালা বলেন,

وَ شَاهِدٍ وَّ مَشۡهُوۡدٍ ؕ۳ আর কসম সাক্ষ্যদাতার এবং যার ব্যাপারে সাক্ষ্য দেওয়া হবে তার। (সুরা বুরুজ: ৩) । ওই আয়াতে এই দিনকে مَشْهُود (মাশহুদ) বলা হয়েছে এবং এর কসম খাওয়া হয়েছে। প্রিয় নবীজি (সা.) مَشْهُود (মাশহুদ) কে আরাফাতের দিন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন (তিরমিজি) ।

আরাফার দিনটি ইসলামে এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) এটাকে ঈদের দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

হযরত উকবাহ বিন আমের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আরাফাতের দিন, কোরবানির দিন এবং তাশরিকের দিনগুলো হচ্ছে ইসলামে আমাদের ঈদের দিন। এ দিনগুলো হচ্ছে পানাহারের দিন। (সুনান আবু দাউদ: ২৪২১) ।

আরাফার দিনের করণীয়

আরাফার দিনের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে আপনাদেরকে আজকের ব্লগে পরিপূর্ণ ধারণা দিব। প্রথমেই আরাফার দিনের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করলাম। এ পর্যায়ে আরাফাত দিনের করণীয় গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

জিলহজ মাসের ৯ তারিখ হল আরাফার দিন। আরাফার দিনে সকল হজ্জ যাত্রীগণ আরাফায় অবস্থান করে একসাথে মিলিত হয়। আরাফার দিনে মহান আল্লাহ তায়ালা মিলিত হওয়া সকল মুসলমানের গুনা ক্ষমা করে দেন। নবী করিম সাঃ বলেন, “আলহাজ্জু আরাফাহ” অর্থাৎ আরাফাই হজ্জ। আরাফার দিনে হজযাত্রীদের করণীয় হলো:

১)৯ জিলহজ ফজরের নামাজ পড়ার পরে যে যেখানে থাকবে সেখানে থাকা অবস্থায় তাকবীরে তাশরিক পড়বে।তাকবীরে তাশরিক ১৩ ঝিলহজ আসর পর্যন্ত পড়া ওয়াজিব।

তাকবিরে তাশরিক হলো-

اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।’

অর্থ: ‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ মহান, আল্লাহ ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই; সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ মহান।’

২) তাকবীরে তাসরিক পড়ার পরে তালবিয়া পড়তে হবে। তালবিয়া পড়ার সময় অবশ্যই ৪ ভাগে  নিঃশ্বাস নিয়ে ৩ বার পাঠ করতে হবে।

যেমন:

الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ – لاَ شَرِيْكَ لَكَ

উচ্চারণ: লাব্বাইকা আল্লা-হুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্‌নিমাতা লাকা ওয়ালমুল্‌ক, লা শারিকা লাক।

অর্থ:‘আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত! আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোনো অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সব প্রশংসা ও সম্পদরাজি তথা নেয়ামত আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্যও আপনার। আপনার কোনো অংশীদার নেই ‘

৩) জিলহজের ৯ তারিখ সূর্যোদয়ের পর তাকবীরে তাশরিক তালবিয়া এবং দোয়া তজবিহ পড়তে পড়তে আরাফাতের ময়দানের দিকে এগোতে হবে।

৪) আরাফাতের ময়দানে অবশ্যই পৌঁছাতে হবে জোহরের আগে।

৫) মনে রাখবেন আরাফাতের ময়দানে জাবালে রহমতের কাছাকাছি অবস্থান করাই উত্তম।

৬) সেখানে পৌঁছে যোহর ও আসরের নামাজ হাতের ময়দান সংলগ্ন মসজিদ নামিরায় একসঙ্গে নির্দিষ্ট শর্ত মেনে জামাতে আদায় করা উত্তম।

৭) কোন কারনে যদি মসজিদে জামাতে অংশগ্রহণ করতে না পারেন তাহলে নিজ নিজ তাঁবুতে  যথাসময়ে জোহরের ও আসরের নামাজ পড়ে নিতে হবে।

৮) আরাফাতের ময়দানে অবস্থানরত সময়ে আল্লাহ তায়ালা সবচেয়ে বেশি দোয়া কবুল করেন তাই যখন আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন তখন অবশ্যই তাওবা, ইস্তেগাফার, তাসবিহ, তাহলিল-তাকবির ও দুয়ার মাধ্যমে সময় ব্যয় করার চেষ্টা করবেন।

৯) মনে রাখবেন মসজিদের নামিরায় আর দক্ষিণ দিকে অবস্থিত ‘বতনে উড়ানায়’ অবস্থান করা যাবে না।

১০) আরাফাত ময়দানে অবস্থান করার সময় খুতবা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে।

১১)সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন। তবে কোনো কারণে কেউ যদি আরাফাত ময়দান থেকে সূর্য ডোবার আগেই বের হয় তাহলে তার কর্তব্য হবে তিনি পুনরায় আরাফাত ময়দানে আসবেন এবং সূর্য ডোবার পর আরাফাত ময়দান ত্যাগ করবে। তিনি ফিরে না আসেন তাহলে ওই ব্যক্তির জন্য কুরবানী করা আবশ্যক হয়ে যাবে।

১২) আসর থেকে মাগরিবের সময় পর্যন্ত যতটা সম্ভব বেশি বেশি ইস্তেগাফার ও তাওবা, দোয়া করবেন।

১৩)সূর্য ডুবে গেলে মাগরিব নামাজ না পড়েই  মুজদালিফার উদ্দেশ্যে তালবিয়া পড়তে পড়তে আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করবেন।

১৬)কোন ব্যক্তি যদি আরাফাতের ময়দান কিংবা পথে মাগরিবের নামাজ আদায় করে তাহলে ওই ব্যক্তির জন্য মুজদালিফায় গিয়ে পুনরায় মাগরিবের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব।

হজযাত্রী ছাড়া সকলের জন্য আরাফার দিনের করণীয়

হাদিসে রয়েছে হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা বলেন জিলহজ মাসের প্রথম দশকে প্রতিটি দিন ১হাজার দিনের সমতুল্য আর আরাফার দিনটি ১০ হাজার দিনের সমান।(ফুতহুল বারি)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,” আরাফার দিনটি সব দিনের মধ্য সর্বশ্রেষ্ঠ।”(উমদাতুল কারী)

আরাফার দিনের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে মুসলমানদের মধ্য অবশ্যই জানার আগ্রহ থাকা উচিত। এই দিনের আমল গুলো সম্পর্কে জানা থাকলে অন্যান্য দিনের অনেক অনেক বেশি নেকি ও সওয়াব পাওয়া যায়।আরাফার দিনের গুলো হলো:

১)জিকির ও তাসবীহ পড়া।

২)বেশি বেশি করে ইস্তেগাফার ও দোয়া পাঠ করা।এ বিষয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সর্বোত্তম দোয়া হচ্ছে আরাফার দিনের দোয়া দিনের দুয়া ও তওবা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’

৩) আরাফার দিনে রোজা রাখা। আরাফার দিনের রোজা রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,” আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে তিনি এই রোজার দ্বারা পূর্ববর্তী এক বছরের এবং পরবর্তী এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন।”

আরাফার রোজা কয়টি

আরাফার দিনের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে এতক্ষণ আমরা জানলাম।আরাফার দিনের রোজা কয়টি এই বিষয়ে অনেকের কৌতুকূল রয়েছে।আরাফার দিনের রোজা নিয়ে অনেকের মধ্যেই অনেক ধরনের মতামত শোনা যায়। আরাফার দিনের রোজা মূলত একটি। সহিহ হাদিসে আরাফার দিনের একটি রোজার কথাই জানা যায়। তবে অনেকেই ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করেন আরাফাতের একটি রোজা রাখা উচিত নয় কিংবা হবে না আসলে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। হাদিসে এসেছে আরাফাত দিনে যদি কোন ব্যক্তি একটি রোজা রাখে তাহলে তার দুই বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।

আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজে যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ

হাদিসে আছে, ‘বিশ্বনবী নয় জেল হজ তারিখে রোজা রাখতেন।” (আবু দাউদ ২৪৩৭)

তবে এ কথা সত্য যে আপনি যদি বেশি নেকি লাভের আশায় জিলহজ মাসের এক তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখেন এতে করে আপনি আরাফার রোজার ফজিলত পাওয়ার পাশাপাশি আরো বেশি বেশি নেকি লাভ করবেন। কেননা এই দশ দিন আল্লাহ তায়ালার কাছে খুবই পছন্দের। এই সময়ে বেশি আমল করলে আল্লাহ খুশি হন।পবিত্র কোরআনের সূরা ফজরের ২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, وَ الۡفَجۡر- وَ لَیَالٍ عَشۡرٍ

উচ্চারণ: ওয়াল ফাজর ওয়ালায়ালিন আশর অর্থ: শপথ ফজরের, শপথ দশ রাতের।

আরাফার দিনের রোজার নিয়ত

আরাফার দিনের রোজার নিয়ম মূলত অন্যান্য নফল রোজার মতোই।আরাফার দিনের ও করণীয় সম্পর্কে জানতে চাওয়ার পাশাপাশি আরাফাত দিনের রোজার নিয়ত কিংবা আরাফার দিনের রোজা সম্পর্কেও অনেকের জানার কৌতুহল থাকে।

আরাফার রোজা রাখার জন্য অনেকেই জিলহজ মাসের এক তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত সময় বেছে নেন। অবশ্যই এই ৯ দিন রোজা রাখলে আল্লাহ তাআলা বেশি খুশি হন। কেননা দশ দিন আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। তাই যেকোনো আমলে আল্লাহ খুশি হন।

সেহরি খাওয়ার পর থেকে দিনের শেষ ভাগে মনে মনে এই নিয়ত করতে পারেন।মনে মনে বলবেন,” আমি আজ আরাফার রোজা রাখার নিয়ত করলাম। আল্লাহ তুমি আমার রোজা কবুল কর।”

নফল রোজার নিয়ত যেকোনোভাবেই করা যায় শুধুমাত্র মনের নিয়ত যাতে ঠিক থাকে। যেখানে আপনি আরাফার দিনের রোজা রাখার উদ্দেশ্য নিয়ে সেহরি করেছেন সেখানে মুখে নিয়ত করা নিষ্প্রয়োজন।

প্রশ্ন উত্তর

আরাফার রোজা কোন দিন?

আরবি মাস জিলহজ মাস আরবি বছরের শেষ মাস। এই জিলহজ মাসের ৯ তারিখ হল আরাফার দিন বা ইয়ামুল আরাফাহ। জিলহজ্ব মাসের ১ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা যায় অতিরিক্ত সওয়াব লাভের আশায়। আরাফার রোজা মোতাবেক একদিন সেটা হলো জিলহজ মাসের ৯ তারিখ।

আরাফার দিনের দোয়া কোনটি?

আরাফার দিন রাসূল সা. একটি দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। দোয়াটি সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, রাসূল সা. বলেছেন, উত্তম দোয়া হল আরাফা দিবসের দোয়া, এবং আমি ও আমার পূর্ববর্তী নবীগণের সর্বোত্তম কথা হলো—

لَا إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ اْلَحمْدُ وَهَوُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-লারিকালাহু, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল-হামদু, ওয়াহুয়া আলা-কুল্লি শাইয়িং কাদির।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। তিনি অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো শরিক নেই। রাজত্ব তারই, প্রশংসাও তাঁর। এবং তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৮৫)

আরাফার রোজা কয়টি?

আরাফার দিনের রোজা মূলত একটি। সহিহ হাদিসে আরাফার দিনের একটি রোজার কথাই জানা যায়। তবে অনেকেই ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করেন আরাফাতের একটি রোজা রাখা উচিত নয় কিংবা হবে না আসলে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। হাদিসে এসেছে আরাফাত দিনে যদি কোন ব্যক্তি একটি রোজা রাখে তাহলে তার দুই বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।

হাদিসে আছে, ‘বিশ্বনবী ৯ জেলহজ তারিখে রোজা রাখতেন।” (আবু দাউদ ২৪৩৭)

শেষ কথা –

আরাফার দিনের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে আজকের ব্লগে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি মুসলমান ভাই-বোনদের এতে করে অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে। আরাফার দিনের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কিত প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে জানাতে ভুলবেন না। এছাড়াও আপনাদের মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করবেন কমেন্ট বক্সে।

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম জেনে নিন

মহিলাদের নামাজ পড়ার নিয়ম সমূহ  সম্পর্কে জেনে নিন

তারাবির নামাজের দোয়া বাংলা উচ্চারণসহ

এশার নামাজ মোট কয় রাকাত ও কি কি? পড়ার নিয়ম এবং দোয়া

↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇

↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇

➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন

➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

➡️IMO চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

Welcome to our banking tips blog! I'm Sanaul Bari, a passionate financial educator and experienced banking professional dedicated to helping individuals and businesses navigate the complex world of finance. With over a decade of experience in the banking industry, I’ve held various positions, from customer service representative to financial advisor, gaining a comprehensive understanding of banking products, services, and strategies.

Leave a Comment