সালাত শব্দের অর্থ কি? সালাত কাকে বলে-কত প্রকার ও কি কি?

5/5 - (2 votes)

সালাত সম্পর্কিত কিছু সাধারণ প্রশ্ন হলো সালাত শব্দের অর্থ কি? সালাত কাকে বলে-কত প্রকার ও কি কি?সালাত সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে শেষ পর্যন্ত ব্লগটি পড়ুন। সালাত শব্দের অর্থ কি? সালাত কাকে বলে – কত প্রকার ও কি কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত পারবেন আজকের ব্লগ থেকে।আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় সমূহ হলো;

১.সালাত শব্দের অর্থ কি

২.আরবি সালাত শব্দের অর্থ কি

৩.আকিমুস সালাত অর্থ কি

৪.সালাত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

৫.সালাতের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ কি

৬.সম্পূর্ণ নামাজের বাংলা অর্থ

৭.নামাজ কি ও কেন

৮.রিসালাত শব্দের অর্থ কি

৯.সালাত কাকে বলে class 7

চলুন আর দেরি না করে চলে যাই আজকের সালাত সম্পর্কিত প্রশ্ন সালাত  শব্দের অর্থ কি ও সালাত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এর  উত্তর গুলো জানতে মূল আলোচনায়।

সালাত শব্দের অর্থ কি?সালাত কাকে বলে –কত প্রকার কি কি?

নামাজের আরবি শব্দ হলো সালাত। সালাতের ফার্সি  প্রতিশব্দ নামাজ। সালাত বা নামাজ অর্থ ক্ষমা প্রার্থনা করা,দোয়া কামনা করা, রহমত চাওয়া। কর্তাভেদে ও স্থান কাল পাত্রভেদে সালাতের অর্থ বিভিন্ন ধরনের হয়। সালাত আদায়ের জন্য কর্তা যদি হন আল্লাহ তাআলা তাহলে সালাতের অর্থ হয় দয়া। সালাতের কর্তা যদি হয় ফেরেশতা তাহলে অর্থ হয় রহমত বাদল দয়া কামনা করা কিংবা কারো জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা । আর সালাতের কর্তা যদি হয় মানুষ বা ইনসান তাহলে এর অর্থ হয় ক্ষমাভিক্ষা, রহমত প্রার্থনা ও শুভকামনা।

সালাত শব্দের অর্থ তো জানলেন এবার দেখুন👇

সালাত কাকে বলে কত প্রকার কি কি?

আল্লাহর কাছে যে এবাদত এর মাধ্যমে দোয়া,রহমত ও ক্ষমা  প্রার্থনা করা হয় তাকেই বলে সালাত বা নামাজ। ইসলামের স্তম্ভের মধ্য দ্বিতীয় টি হলো সালাত। কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের।

এ বিষয়ে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন বান্দার কাছ থেকে সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের।( তিরমিজি)

প্রত্যেক মুসলমানের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্য রয়েছে👇

১)ফজর

২)জোহর

৩)আসর

৪)মাগরিব

৫)এশা

কুরআন শরীফে এসেছে আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই সালাত মানুষকে অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।”( সূরা আল আনকাবুত আয়াত ৪৫)

আরবি সালাত শব্দের অর্থ কি?

আরবি সালাত শব্দের অর্থ নামাজ। ইসলামিক বিধান অনুযায়ী আল্লাহতালার কাছে বান্দাদের প্রার্থনা করার ইবাদত বা উপাসনাকেই বলা হয় সালাত। সালাতের মাধ্যমে বান্দা-বান্দীরা আল্লাহতালার নৈকট্য লাভ করে। ইসলামে অনেক ধরনের সালাতের কথা উল্লেখ রয়েছে তবে ৫ ওয়াক্ত  সালাত প্রতিদিন মুসলমানের জন্য আদায় করা ফরজ। তবে অনেক ধরনের নফল সালাত রয়েছে যা করলে অনেক বেশি ফজিলত পাওয়া যায় না আদায় করলে অবশ্য গুনা নেই।

শরীয়ত সম্মত কোন কারণ ছাড়া সালাত আদায় না করলে বান্দাকে গুনাহগার হতে হবে। তাই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা আবশ্যক।

আকিমুস সালাত অর্থ কি?

আকিমুস সালাত অর্থ হচ্ছে নামাজ কায়েম করা ভাব প্রতিষ্ঠা করা । ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বারবার নামাজ প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেছেন। কোরআনে বারবার বিভিন্ন ইঙ্গিতে সালাত আদায়ের কথা বলা হয়েছে।নিজে নামাজ পড়া এবং অন্যকে নামাজের প্রতি উৎসাহ প্রদান করাই হচ্ছে আকিমুস সালাত।

আকিমুস সালাত দুই ধরনের হতে পারে

১)নামাজকে ব্যক্তির   মধ্য প্রতিষ্ঠা করা।

কোন ব্যক্তি যদি নামাজকে তার নিজের মধ্য প্রতিষ্ঠিত করে তাহলে সময় হওয়া মাত্রই অস্থিরতা শুরু হয়ে যাবে নামাজ পড়ার জন্য। সেই ব্যক্তির অন্তর মসজিদের সাথে লেগে থাকবে।

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাঃ বলেছেন, যেদিন আল্লার ছায়া ছাড়া অন্য কিছুর ছায়া থাকবে না সেদিন আল্লাহ সাত ব্যক্তিকে তার আরশের  ছায়ায় আশ্রয় দিবেন।এর মধ্যে এক ধরনের ব্যক্তি হবে কলব মসজিদের সাথে লেগে থাকতো ।

২)নামাজের শিক্ষাকে ব্যক্তির মধ্যে প্রতিষ্ঠা করা শুধুমাত্র নামাজ প্রতিষ্ঠা করলেই চলবে না নামাজের শিক্ষাকে গ্রহণ করতে হবে। আর নামাজের শিক্ষা বলতে শুধুমাত্র পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করাই নয়।

এ ব্যাপারে হাদিসে উল্লেখ আছে হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহ থেকে বর্ণিত, “একজন জৈনিক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক মহিলা নামাজ ও যাকাতের প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। তবে সে নিজের মুখ দ্বারা তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়। রাসুল বললেন সে জাহান্নামী!

আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজে যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ

লোকটি আবার আরেকজনের কথা বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ অমুক মহিলা সম্পর্কে জনশ্রুতি সে নফল রোজা রাখে নফল সদকা করে এবং নফল নামাজও পড়ে। তার দানের পরিমাণ হলো পনিরের টুকরার মতো। কিন্তু সে নিজের মুখ দ্বারা কোন প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় না।রাসূল তখন বললেন, সে জান্নাতি! (আহম্মদ ও বায়হাকি)

সালাতের আভিধানিক পারিভাষিক অর্থ কি

ইতোমধ্যেই সালাত শব্দের অর্থ কি সালাত কত প্রকার ও কি কি উপরে তা উল্লেখ করে দিয়েছি। এই পর্যায়ে সালাতের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ সম্পর্কে বলবো।

সালাতের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে রহমত, দোয়া, ক্ষমা প্রার্থনা করা ইত্যাদি।পারিভাষিক অর্থে সালাত বলতে বোঝায় শরীয়ত নির্দেশিত ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দাবান্ধীদের অভীক্ষা ও প্রার্থনা নিবেদনের শ্রেষ্ঠতম এবাদত হলো সালাত।ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্য দ্বিতীয় স্তম্ভ হলো সালাত।প্রত্যেক মুসলমানের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ।ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব ও এশা এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক ইবাদত।

সম্পূর্ণ নামাজের বাংলা অর্থ

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্য আরবিতে যে তাসবিহ দোয়া এবং সূরা গুলো পড়া হয় তার বাংলা অর্থ সমূহগুলো দেখুন 👇

১)উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার

অর্থ: আল্লাহ সবার বড়।

২)সানা উচ্চারণ সুবাহানাল্লাহ আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা  ওয়াতাবারকাস মুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়ালা ইলাহা গায়রুকা।

অর্থ:হে আল্লাহ তুমি পাকপবিত্র,তোমার  জন্য সমস্ত প্রশংসা,তুমি  বরকতময়, তোমার গৌরব অতি উচ্চ, তুমি ছাড়া অন্য কেহ উপাস্য নেই।

৩) উচ্চারণ:আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম

অর্থ:বিতারিত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

৪) উচ্চারণ: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

অর্থ: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি।

৫) সূরা ফাতিহা

উচ্চারণ:

১. বিসমিল্লাহির রাহমা-নির রাহি-ম।

২. আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আ’-লামি-ন।

৩. আররাহমা-নির রাহি-ম।

৪. মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন।

৫. ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-ন

৬. ইহদিনাস সিরাতা’ল মুসতাকি’-ম

৭. সিরাতা’ল্লা যি-না আনআ’মতা আ’লাইহিম গা’ইরিল মাগ’দু’বি আ’লাইহিম ওয়ালা দ্দ—ল্লি-ন।

 বাংলা অর্থ:

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।

১. যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগত সমূহের প্রতিপালক।

২. যিনি পরম দয়ালু ও করুণাময়।

৩. যিনি বিচার দিবসের মালিক।

৪. আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং একমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

৫. তুমি আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন কর।

৬. এমন ব্যক্তিদের পথ, যাদেরকে তুমি পুরস্কৃত করেছ।

৭. তাদের পথ নয়, যারা অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট হয়েছে।

(আমীন! তুমি কবুল কর!)

অন্য সূরা (কাউসার)

উচ্চারণ :

১) ইন্নাআ‘তাইনা-কাল কাওছার।

২) ফাসালিল লিরাব্বিকা ওয়ানহার।

৩) ইন্না শা-নিআকা হুওয়াল আবতার।

অর্থ :

১) নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি।

২) অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন।

৩) যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।

অন্য সূরা (ইখলাস)

উচ্চারণ:কুল হুওয়াল্লা হু আহাদ আল্লা হুসসামাদ লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ

অর্থ:

পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে

১.বলো তিনি আল্লাহ (যিনি) অদ্বিতীয়

২.আল্লাহ সবার নির্ভরস্থল

৩.তিনি কাউকে জন্ম দেননি ও তাঁকেও  কেউ জন্ম দেয়নি

৪.আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।

অন্য সূরা (ফালাক)

উচ্চারণ:কুল আ’উযু’ বিরাব্বিল ফালাক মিং শাররি মা-খালাক’। ওয়া মিং শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ওয়া মিং শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল উকাদ। ওয়া মিং শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।

অর্থ:পবিত্র কোরআনের ১১৩ নম্বর সুরা ফালাকের ১ থেকে ৫ পর্যন্ত আয়াতে বলা হয়েছে, ‘বলো, আমি শরণ নিচ্ছি উষার স্রষ্টার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অমঙ্গল হতে; অমঙ্গল হতে রাত্রির, যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়, অমঙ্গল হতে সেসব নারীর যারা গিঁটে ফুঁ দিয়ে জাদু করে এবং অমঙ্গল হতে হিংসুকের যখন সে হিংসা করে।’

অন্য সূরা (আন নাস)

উচ্চারণ:- ক্বুল আঊযু বিরব্বিন্‌ না-স। মালিকিন্‌ না-স। ইলা-হিন্‌ না-স। মিন্‌ শার্রিল অসওয়া-সিল খান্না-স। আল্লাযী ইউওয়াসবিসু ফী সুদূরিন্‌ না-স। মিনাল জিন্নাতি অন্‌ না-স।

অর্থ:- তুমি বল, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি, মানুষের প্রতিপালক, মানুষের অধীশ্বর, মানুষের উপাস্যের কাছে- তার কুমন্ত্রণার অনিষ্ট হতে, যে সুযোগমত আসে ও (কুমন্ত্রণা দিয়ে) সরে পড়ে। যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের হৃদয়ে, জিন ও মানুষের মধ্য হতে।

৬) তাশাহুদ

উচ্চারণ: আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস-সালাওয়াতু ওয়াত-ত্বায়্যিবাতু; আস-সালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ; আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ ছালিহীন; আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।

অর্থ: ‘সব মৌখিক ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নবি! আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকত বর্ষিত হোক। শান্তি আমাদের ওপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের ওপর বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ বা উপাস্য নাই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।

৭) দুরুদ শরীফ

উচ্চারন: আল্লাহুম্মা সাল্লেআ’লা মোহাম্মাদাও ও আ’লা আলি মোহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মোহাম্মাদেও ও আ’লা আলি মোহাম্মাদ, কামা বারকতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ।

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তাঁর বংশধরদের ওপর এই রূপ রহমত নাজিল করো, যেমনটি করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তার বংশধরদের ওপর বরকত নাজিল করো, যেমন বরকত নাজিল করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়।

৮) দোয়ায়ে মাসুরা

উচ্চারণ:আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুল্মান কাসীরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা; ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রাহীম।

অর্থ:হে আল্লাহ্‌! আমি আমার নিজ আত্মার উপর বড়ই অত্যাচার করেছি, গুনাহ মাফকারী একমাত্র তুমিই; অতএব তুমি আপনা হইতে আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা কর এবং আমার প্রতি দয়া কর। তুমি নিশ্চয়ই ক্ষমাশীল দয়ালু।

৯) দোয়ায়ে কুনুত

উচ্চারণ:আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতায়িনুকা ওয়া নাসতাগ ফিরুকা, ওয়ানু’মিনু বিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনি আলাইকাল খাইর। ওয়া নাসকুরুকা ওয়ালা নাক ফুরুকা, ওয়ানাখলাউ উয়ানাত রুকু মাইয়্যাফযুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা’বুদু ওয়ালাকা নুছল্লি, ওয়ানাস জুদু ওয়া ইলাইকা নাসয়া; ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আজাবাকা; ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি মুলহিক্।

অনুবাদ: হে আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই। তোমারই নিকট ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃতজ্ঞ হই না। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই জন্য নামাজ পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি। আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত আশা করি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি। আর তোমার আযাবতো কাফেরদের জন্যই র্নিধারিত।

প্রশ্ন উত্তর

নামাজ কি কেন?

ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। ঈমান, নামাজ, রোজা,হজ্ব, যাকাত ইসলামের মূল ভিত্তি হলো এই পাঁচটি। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ হলো নামাজ। ঈমানের পরই নামাজের স্থান।

আল্লাহ ডাকে সারা দেওয়া তার সামনে হাজির হয়ে তার নৈকট্য লাভ করা হলো নামাজ। কোরআন শরীফে তালা তার বান্দাকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার হুকুম করেছেন। এমন কি কুরআনের জায়গায় ৮২ বার বলেছেন,” বান্দা তোমরা নামাজ কায়েম করো। ”

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর নামাজের প্রতি বিশেষভাবে তার উম্মতদের গুরুত্ব দিতে বলেছেন।তিনি বলেন,”নামাজ বেহেস্তের চাবি। ”

চাবি ছাড়া তালা খুলে না। তেমনি নামাজ ছাড়াও জান্নাতের তালা খুলবে না।

রিসালাত শব্দের অর্থ কি?

রিসালাত শব্দের অর্থ বার্তা বাহক। ইসলামের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বাণী তার বান্দাদের নিকট পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব কেই রিসালাত বলে। যিনি রিসালাতের দায়িত্ব পালন করেন তাকে বলা হয় রাসূল।

সালাত কাকে বলে?

আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালনে তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য দোয়া, ক্ষমা ও রহমত কামনার উদ্দেশ্যে যেই ইবাদত করা হয় তাকে সালাত বলে।

শেষ কথা –

সালাত শব্দের অর্থ কি? সালাত কাকে বলে- কত প্রকার ও কি কি এই সম্পর্কে আজকের আলোচনা এই পর্যন্তই। আশা করি সালাত শব্দের অর্থ কি?  সালাত কাকে বলে-কত প্রকার ও কি কি এই বিষয়ে আজকের ব্লগটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন।সালাত সম্পর্কিত আরো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে।

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম জেনে নিন

মহিলাদের নামাজ পড়ার নিয়ম সমূহ  সম্পর্কে জেনে নিন

তারাবির নামাজের দোয়া বাংলা উচ্চারণসহ

এশার নামাজ মোট কয় রাকাত ও কি কি? পড়ার নিয়ম এবং দোয়া

↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇

↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇

➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন

➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

➡️IMO চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমি মো: সানাউল বারী পেশায় একজন ব্লগার এবং ইউটিউব ও ফেসবুক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।

Leave a Comment