বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাংকের মধ্যে সিটি ব্যাংক অন্যতম একটি। এই ব্যাংকটি প্রবাস থেকে লেনদেন এর পাশাপাশি এখন বর্তমানে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে সহায়তা করছেন।
তাই সিটি ব্যাংক তাদের ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে জনগণের ভোগান্তি কমানোর জন্য তারা অনেকগুলো ক্রেডিট কার্ড দিচ্ছে।এই ক্রেডিট কার্ডগুলো আপনার সুবিধামতো ব্যবহার করতে পারবেন। আজ আমরা আলোচনা করব সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, ক্রেডিট কার্ডের চার্জ ও ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সমূহ নিয়ে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে।
সিটি ব্যাংকের পরিচিতি
সিটি ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসাবে পরিচিত। সিটি ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৩ সালের ২৭ শে মার্চ তার কার্যক্রম শুরু করে। ব্যাংকটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত। বর্তমানে সারা দেশে এই ব্যাংকের মোট ১৩০ টি শাখা এবং ৩৬৯ টি এটিএম বুথ আছে।
বর্তমান এটিএম কার্ডের সংখ্যা ১০ লাখের অধিক রয়েছে। ২০০৮ সালে ব্যাংকটির নতুন লোগও উন্মোচন, আমেরিকান এক্সপ্রেস ক্রেডিট কার্ড, ব্রোকারেজ ব্যবসা ও সিটি ওয়ালেট (এসএমএস ব্যাংকিং) সেবা চালু করা হয়। এছাড়া নামটি সহজীকরণের জন্য “দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড” থেকে “সিটি ব্যাংক”-এ পরিবর্তন করা হয়।
সিটি ব্যাংক তার গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাংকটি তাদের আশা পূরণ করতে এবং তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সহায়তা করে আরও অনেক কিছু করতে আগ্রহী।
সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড কি
ক্রেডিট কার্ড হল একটি বিশেষ ধরনের পরিশোধ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ব্যবহৃত প্লাস্টিক কার্ড, যা ওই পরিশোধ ব্যবস্থার ব্যবহারকারীদেরকে ইস্যু করা হয়। এই কার্ডের বাহক পণ্য ও সেবা ক্রয় করতে পারেন এবং মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন। সাধারণত স্থানীয় ব্যাংক বা ক্রেডিট ইউনিয়ন ভোক্তাদের কাছে এই কার্ডগুলি ইস্যু করে থাকে।
সব ব্যাংকের মত সিটি ব্যাংকের ও কয়েকটি ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। বর্তমানে সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড খুবই জনপ্রিয় বিভিন্ন অফার এবং ফ্রি এক্সেস এর জন্য। বর্তমানে সিটি ব্যাংকের মোট ১৪ টি ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। এর মধ্যে ডেবিট কার্ড আছে ৮ টি এবং ক্রেডিট কার্ড রয়েছে ৬ টি।
সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা
১।আপনার তাৎক্ষণিক খরচের জন্য আপনার কাছে সবসময় নগদ টাকা থাকতে পারে।
২।আপনি প্রতিটি সিটিব্যাঙ্ক ইপিওএস এবং এটিএম-এ নগদ তোলার জন্য কার্ডটি ব্যবহার করতে পারেন।
৩।বিরামহীন অনলাইন ক্রয় এবং লেনদেন আপনি সময়মত বকেয়া পরিশোধের মাধ্যমে আপনার ক্রেডিট স্কোর উন্নত করতে পারেন।
৪।ব্যাঙ্কগুলি পেমেন্টের জন্য সুদ-মুক্ত ইএমআই (সহজ মাসিক কিস্তি) সময় প্রদান করে।
সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার
১.দেরী ফি এবং আপনার ক্রেডিট স্কোরের ক্ষতি এড়াতে সর্বদা আপনার ক্রেডিট কার্ডের বিল সময়মতো পরিশোধ করুন।
২.শুধুমাত্র আপনার উপলব্ধ ক্রেডিট এর একটি ছোট অংশ ব্যবহার করে ক্রেডিট ব্যবহার কম রাখুন।
৩.প্রতারণামূলক চার্জের জন্য নিয়মিত আপনার ক্রেডিট কার্ড বিবৃতি নিরীক্ষণ করুন।
৪.একসাথে অনেক ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করবেন না, কারণ এটি আপনার ক্রেডিট স্কোরকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
৫.আপনার কার্ডের সাথে সম্পর্কিত সুদের হার এবং ফি সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং আবেদন করার আগে অন্যান্য কার্ডের সাথে তুলনা করুন।
৬.আপনার ক্রেডিট কার্ডটি শুধুমাত্র চার্জ করে দায়িত্বের সাথে ব্যবহার করুন যা আপনি সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে পারেন।
৭.নগদ অগ্রিম জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন না । সুদের চার্জ এড়াতে প্রতি মাসে পুরো ব্যালেন্স পরিশোধ করার চেষ্টা করুন।
৮.আপনার কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একটি প্রতিস্থাপনের অনুরোধ নিশ্চিত করুন।
৯.আপনার যদি অর্থপ্রদান করতে অসুবিধা হয়, তাহলে একটি কষ্ট প্রোগ্রাম বা অর্থপ্রদানের পরিকল্পনার মতো বিকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করতে আপনার ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করুন।
১০.আপনি যদি বিদেশে আপনার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেন তবে মুদ্রা রূপান্তর ফি সম্পর্কে সচেতন হন।
১১.নগদ অগ্রিমের জন্য আপনার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন, কারণ তাদের সাধারণত উচ্চ সুদের হার এবং ফি থাকে।
১২.আপনার ক্রেডিট কার্ড দ্বারা প্রদত্ত পুরষ্কার এবং সুবিধাগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং আপনার সুবিধার জন্য সেগুলি ব্যবহার করুন৷
১৩.আপনি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি এবং বিবৃতি পেয়েছেন তা নিশ্চিত করতে আপনার ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারীর সাথে আপনার যোগাযোগের তথ্য আপডেট রাখুন।
১৪.আপনার ক্রেডিট কার্ডটি অন্য কাউকে ধার দেবেন না কারণ এটিতে করা যেকোনো চার্জের জন্য আপনাকে দায়ী করা হবে।
১৫.আপনার ক্রেডিট কার্ড চুক্তির নিয়ম ও শর্তাবলী সম্পর্কে সচেতন থাকুন, বার্ষিক ফি বা সুদের হারে পরিবর্তন সহ।
১৬.ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করার আগে যেকোনো অতিরিক্ত ফি যেমন ব্যালেন্স ট্রান্সফার ফি, বিদেশী লেনদেন ফি এবং বার্ষিক ফি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
১৭.আপনার ব্যালেন্স এবং অর্থপ্রদানের শীর্ষে থাকতে সাহায্য করার জন্য আপনার ক্রেডিট কার্ডের জন্য পাঠ্য বা ইমেল সতর্কতা সেট আপ করার কথা বিবেচনা করুন৷
১৮.কার্ডের সাথে আপনার কোনো সমস্যা থাকলে ক্রেডিট কার্ড কোম্পানির গ্রাহক পরিষেবা এবং বিরোধ নিষ্পত্তি নীতি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
১৯.ফেয়ার ক্রেডিট বিলিং অ্যাক্ট এবং ক্রেডিট কার্ডের জবাবদিহিতা দায়বদ্ধতা এবং প্রকাশ আইনের মতো আইন দ্বারা প্রদত্ত অধিকার এবং সুরক্ষাগুলি বুঝুন।
২০.যেকোনো ক্রেডিট কার্ড আবেদন করার এবং ব্যবহার করার আগে তার শর্তাবলী পড়া এবং বোঝার পাশাপাশি আপনার খরচ এবং অর্থপ্রদানের ট্র্যাক রাখা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি এটিকে দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করেন এবং কোনো সমস্যা এড়াতে পারেন।
২১.ক্রেডিট সীমা সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং এটি অতিক্রম করবেন না কারণ এটি অতিরিক্ত সীমা ফি হতে পারে এবং আপনার ক্রেডিট স্কোরকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
২২.প্রতি মাসে আপনার ক্রেডিট কার্ড বিল সময়মতো পরিশোধ করা হয় তা নিশ্চিত করতে স্বয়ংক্রিয় অর্থপ্রদানের ব্যবস্থা করার কথা বিবেচনা করুন।
অবস্থার জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ করে এমন একটি বেছে নিন।
২৩.অবশেষে, একজন দায়িত্বশীল ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী হোন এবং কখনই আপনার ক্রেডিট সীমা অতিক্রম করবেন না বা শুধুমাত্র ন্যূনতম অর্থপ্রদান করবেন না।
আপনার ক্রেডিট কার্ডের সাথে যুক্ত কোনো প্রচারমূলক অফার বা পুরস্কারের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং সেগুলি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ব্যবহার করুন।
সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন পদ্ধতি
১।সিটি ব্যাংকের ওয়েবসাইটে যান এবং ক্রেডিট কার্ড ট্যাবে ক্লিক করুন ।
২।আপনি আবেদন করতে চান উপযুক্ত ক্রেডিট কার্ড নির্বাচন করুন।
৩।’এখনই আবেদন করুন’ বিকল্পে ক্লিক করুন।
৪।আবেদনপত্রে আপনার যোগাযোগের বিবরণ, ব্যক্তিগত বিবরণ, পেশাগত বিবরণ এবং ঠিকানা পূরণ করুন।
সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড অফলাইনে আবেদন করার পদ্ধতি
১।আপনার নিকটতম সিটি ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করুন এবং একজন উপযুক্ত কর্মচারীকে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করতে বলুন।
২।আপনার অ্যাকাউন্ট, আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত আয় এবং আবাসিক বিবরণ সহ একটি প্রয়োজনীয় ফর্ম পূরণ করতে হবে।
৩।আপনি যদি সেই নির্দিষ্ট ক্রেডিট কার্ড স্কিমের জন্য উল্লিখিত মানদণ্ডের সাথে মেলে তবে ব্যাংক আপনাকে একটি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করবে।
সিটি ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড
সিটি ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকে। এই ক্রেডিট কার্ডগুলোর মধ্য থেকে আপনি আপনার পছন্দমত ক্রেডিট করতে নিতে পারবেন। তার আগে চলুন জেনে নেই কি ধরনের ক্রেডিট কার্ড সিটি ব্যাংক দিয়ে থাকে।
১।American Express Platinum Credit Card.
২।American Express Gold Credit Card.
৩।American Express Green Blue Credit Card.
৪।Agora American Express Cards.
৫।University of Dhaka American Express Credit Card.
৬।The Biman Bangladesh American Express Credit card.
সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
ক্রেডিট কার্ড সকলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য আপনার কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। সিটি ব্যাংক অন্যান্য সকল ব্যাংক কিছু বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে আপনাকে ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকবে।সেগুলো হলো –
১।আবেদনকারীর বয়স ১৮এবং৭০ এর মধ্যে হতে হবে।
২।জাতীয় পরিচয় পত্র
৩।টিআইএন সার্টিফিকেট
৪।আপনার ফিক্সড ডিপোজিট থাকলে তারা রশিদ
৫।চাকরিজীবির ক্ষেত্রে স্যালারি সার্টিফিকেট এবং ৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স, ৩ মাসের ব্যাংক ট্রানজেকশন স্টেটমেন্ট
৬।আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশে থাকতে হবে।
সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন
কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন নিচে দেওয়া হল –
চাকুরীজীবিদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপাতি
১।আপনার সর্বশেষ সেলারি সার্টিফিকেট বা সর্বশেষ ৩ মাসের পে স্লিপ।
২।ই-টিন সার্টিফিকেট কপি।
৩।পার্সপোর্ট এর ফটোকপি।
৪।অফিস আইডি কার্ড কপি।
৫।সর্বশেষ ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
৬।বিজনেস কার্ড।
৭।২ কপি ল্যাব প্রিন্ট ছবি।
৮।ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর কপি।
ব্যাবসায়ীদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপাতি
১।ট্রেড লাইসেন্স এবং যদি পার্টনারশিপ ব্যবসা হয় তাহলে পার্টনারশিপ চুক্তি নামার কপি।
২।ই-টিন সার্টিফিকেট।
৩।ভ্যালিড পার্সপোর্ট।
৪।সর্বশেষ ১২ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
৫।বিজনেস কার্ড।
৬।ল্যাবপ্রিন্ট ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৭।আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
উপরুক্ত কাগজপাতি অবশ্যই সাথে করে নিয়ে যাবেন। অন্যথায় ব্যাংক আপনাকে ক্রেডিট কার্ডের ফরম দিবে না।
সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের চার্জ সমূহ
১।মাসে ৪৯,৯৯৯.৯৯ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড বিল প্রতি পেমেন্টে ১.৪৯% বা ১০০ টাকা চার্জ প্রযোজ্য (যে চার্জ সর্বনিম্ন)।
২।মাসে সর্বমোট ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি বিল পেমেন্টে ১.৪৯% (প্রতি পেমেন্টে) চার্জ প্রযোজ্য।
৩।যেকোনো সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস ক্রেডিট কার্ডের বিল পেমেন্টের ক্ষেত্রে চার্জটি প্রযোজ্য হবে।
৪।শুধুমাত্র বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে সেবাটি উপভোগ করতে পারবেন।
সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের অফারসূমহ
১।American Express Platinum Credit Card এর ওয়েলকাম অফার হিসাবে আপনি পাবেন ২৫০০০ বোনাস রিওয়ার্ড পয়েন্ট।
২।১৫০০০ টাকার হেলথ চেকআপ পয়েন্ট। আল্লাহ না করুন আপনি বা আপনার পরিবারের কেও অসুস্থ হলে, আপনি যদি তাকে স্কয়ার হসপিটালে চিকিৎসা প্রদান করেন। তাহলে ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত কোড উক্ত হসপিটালে সো করলে মোট বিলের উপর থেকে ১৫০০০ টাকা কমিয়ে নেওয়া হবে।
আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজের যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ
৩।Complement Lounge priority pass পাবেন ৬টা ১ বছরের জন্য।
৪।১৫০০০ টাকা ছাড় পাবেন saimon overseas ল্টড বিমান টিকিটে। শুধুমাত্র বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে কার্ড হোল্ডার এর টিকিটের জন্য।
৫।Unimart এ শপিং এর ক্ষেত্রে ১৫০০০ টাকার ক্যাশব্যাক অফার (শত্য)।
৬।The place Luxury Resort এ কম্পিমেন্টরি ১ নাইট স্টে অফার।
৭।Welcome Offer হিসেবে ২০০০ আগোরা পয়েন্ট পাবেন Agora American Express Card হোল্ডারগন। যা দিয়ে দেশের যেকোনো আগোরার আউটলেট থেকে কেনাকাটা করতে পারবেন। এই ভাউচার এর মেয়াদ ২ মাস।
৮।University of Dhaka American Express Credit Card এর ওয়েলকাম অফার হিসাবে আপনি ১৫-২০% ডিসকাউন্ট পাবেন, ব্যাংক কর্তৃক নিদ্ধারিত আউটলেট সূমহে। এর মেয়াদ থাকবে কার্ড হাতে পাবার থেকে ২ মাস পযন্ত।
৯।The Biman Bangladesh American Express Credit card হোল্ডারগন রয়েল টিউলিপ, সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, কক্সবাজারের হোটেল সূমহের ২ রাতের বুকিং এ ১ রাত ফ্রি থাকতে পারবেন।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
১।প্রশ্নঃ City Bank Credit Card এর আবেদন করতে সর্বনিম্ন বেতন কত হতে হবে?
উত্তরঃআপনার বেতন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার হতে হবে তাহলে আপনি ক্রেডিট কার্ড পাবেন।
২।প্রশ্নঃ সিটি ব্যাংকের হেল্পলাইন নাম্বার কত?
উত্তরঃCity Bank Help Line Number 16234.
৩।প্রশ্নঃ City Bank Credit Card এর সমস্য সমাধানের জন্য কোথাই অভিযোগ দিতে হবে?
উত্তরঃব্যাংকের ব্রান্স অফিস সহ আপনি চাইলে এই লিঙ্কে গিয়েও অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।” ০://positivepay.thecitybank.com/cards/ “
৪।প্রশ্নঃ ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কি কি কেনা যায়?
উত্তরঃক্রেডিট কার্ড দিয়ে যে কোনও সামগ্রী কেনা যায়। এছাড়া ট্রেন, বিমানের টিকিট বুকিং করা যায়। স্বাভাবিকভাবেই আপৎকালীন সময়ের জন্য ক্রেডিট কার্ড গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাহকেরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রয়োজনের সময় কেনাকাটা বা টিকিট বুকিং করতে পারে এবং পরে অ্যাকাউন্টে টাকা এলে পরিশোধ করে দিতে পারে।
৫।প্রশ্নঃসিটি ব্যাংক কি সরকারি?
উত্তরঃদি সিটি ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক।
৬।প্রশ্নঃসিটি ব্যাংক এর মালিকের নাম কি?
উত্তরঃদেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি আজিজ আল কায়সার সিটি ব্যাংকের একজন উদ্যোক্তা পরিচালক। তিনি তৃতীয়বারের মতো ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। এর আগে তিনি প্রথমবার ২০০৭ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০১৮ সালে ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
শেষকথা
আপনারা অনেকেই আছেন যারা জানেননা সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত। যেহেতু এখন আমাদের দেশে ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে আমরা যেকোনো জায়গা থেকে এটিএম এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারি। তাই সবাই চায় এখন ক্রেডিট কার্ড করার জন্য। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই কিভাবে তারা ক্রেডিট কার্ড করবে। আজকের এই পোস্টে আমরা জানাতে চেষ্টা করেছি সিটি ব্যাংকে কিভাবে আপনার ক্রেডিট কার্ড করতে পারবেন।
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔
প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-
প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল নাম্বার জেনে নিন-২০২৪ পূবালী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত
↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇
- ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇
➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন।
➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।