২১ শে ফেব্রুয়ারি: ইতিহাস, বক্তব্য, কবিতা, রচনা এবং ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব

Rate this post

২১ শে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবময় দিন। এই দিনটি শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বাঙালি তরুণরা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় আত্মত্যাগের মহিমা। এই ব্লগ পোস্টে আমরা ২১ শে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস, বক্তব্য, কবিতা, রচনা এবং এর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব।

২১ শে ফেব্রুয়ারি কি দিবস

২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। এটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গৌরবময় দিন, কারণ ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে ঢাকায় সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ আরও অনেকে শহীদ হন। তাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে, যা এখন সারা বিশ্বে ভাষার অধিকার ও সংরক্ষণের গুরুত্ব বোঝাতে পালিত হয়।

এদিন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভাষা শহীদদের স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়, যেমন—শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, প্রভাতফেরি, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

২১ শে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তানের দুটি অংশ ছিল – পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) এবং পশ্চিম পাকিস্তান। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল, যা পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য অগ্রহণযোগ্য ছিল। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করে। পুলিশের গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ নাম না জানা অনেক তরুণ শহীদ হন। তাদের আত্মত্যাগের ফলস্বরূপ বাংলা ভাষা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

এই আন্দোলন শুধুমাত্র ভাষার জন্য নয়, বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের সূচনাও ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পথপ্রদর্শক ছিল এই ভাষা আন্দোলন। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, যা সারা বিশ্বে মাতৃভাষার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে বক্তব্য

২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়া হয়। এই দিনটি উপলক্ষে বক্তারা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, এর গুরুত্ব এবং মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। একটি উদাহরণস্বরূপ বক্তব্য নিচে দেওয়া হলো:

“ভাষা আন্দোলন শুধুমাত্র একটি ভাষার জন্য আন্দোলন নয়, এটি ছিল বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতার আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের শিখিয়েছে যে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে জীবন দিতেও পিছপা হওয়া যায় না। আজ আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি, লিখতে পারছি, এটা সম্ভব হয়েছে সেই সব বীর শহীদদের আত্মত্যাগের কারণে। আমাদের দায়িত্ব হলো তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করা এবং বিশ্ব দরবারে এর মর্যাদা বৃদ্ধি করা।”

২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য

  • আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী ভাষার অধিকার ও সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে।
  • ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলা ভাষার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্ররা শহীদ হন।
  • সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ আরও অনেকে ভাষার জন্য আত্মাহুতি দেন।
  • ভাষা শহীদদের স্মরণে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে।
  • ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
  • এদিন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
  • প্রভাতফেরি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়।
  • ভাষার অধিকার রক্ষার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি তৈরি করে।
  • ২১শে ফেব্রুয়ারি এখন বৈশ্বিকভাবে ভাষা বৈচিত্র্য ও সংরক্ষণের প্রতীক।
  • এ দিবস আমাদের মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা ও প্রচারের অনুপ্রেরণা জোগায়।

২১ শে ফব্রুয়ারি নিয়ে কবিতা

ভাষা আন্দোলন ও ২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে অনেক কবিতা রচিত হয়েছে। এই কবিতাগুলো আমাদের হৃদয়ে ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে জাগ্রত করে। নিচে একটি বিখ্যাত কবিতার অংশ উল্লেখ করা হলো:

“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”
(কবি: আবদুল গাফফার চৌধুরী)

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি  
আমি কি ভুলিতে পারি  
ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারি  
আমি কি ভুলিতে পারি  
আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি  
আমি কি ভুলিতে পারি...

এই কবিতাটি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে রচিত হয়েছে এবং এটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা আবৃত্তি

ভাষার জন্য প্রাণ

রক্ত ঝরল শহীদ বুকে,
জ্বললো আগুন ভাষার সুখে।
বুকের তাজা রক্ত দিয়ে,
মাতৃভাষা দিল উপহারে।

শহীদের মিনার

শহীদ মিনার মাথা উঁচু,
কত স্মৃতি, কত যে ত্যাগ।
ফাগুন এলে ফুল ফোটে,
স্মরণ করি নবপ্রভাত।

একুশের গান

একুশ মানে মাথা নত নয়,
অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার জয়।
বাংলা আমার প্রাণের ভাষা,
একুশে জাগে নতুন আশা।

প্রভাতফেরি

পায়ে পায়ে ছড়ায় ফুল,
মিনারে ওঠে শিশুর দল।
ভাষার জন্য যারা দিলো প্রাণ,
স্মরণ করি তাঁদের নাম।

সালাম-রফিকের গল্প

সালাম-রফিক, বরকত-জব্বার,
রক্ত দিলেন অকাতারে।
তাঁদের ত্যাগের আলো ধরে,
আজো বাংলা মুখর সুরে।

ভাষার আলো

ভাষার জন্য জীবন দিলো,
বাংলা গেয়ে প্রাণে মিললো।
একুশ মানে মুক্তির জয়,
একুশ চিরদিন অমর রয়।

শহীদের ডাক

বুকের তাজা রক্ত দিলো,
বাংলা পেলো নব আলো।
একুশ এলে বলি সবাই,
ভাষার মান রক্ষা চাই।

অমর একুশ

ফুলে ফুলে মিনার সাজাই,
শহীদদের স্মরণ করে যাই।
বাংলা মায়ের গৌরব গাথা,
লেখা হলো রক্তে-গাঁথা।

বাংলা আমার ভাষা

বাংলা আমার মায়ের ভাষা,
তোমার জন্য জীবন বাঁধা।
শত শহীদের তাজা রক্ত,
আজো রাখে হৃদয় ব্যথিত।

একুশের আলো

একুশ মানে স্বাধীন ভাষা,
একুশ মানে নতুন আশা।
ভাষার জন্য জীবন দিলো,
বাংলা ভাষা চিরদিন টিকলো।

২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা

২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে অনেক রচনা লেখা হয়েছে। স্কুল, কলেজ এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় এই দিনটি নিয়ে রচনা লিখতে বলা হয়। নিচে একটি সংক্ষিপ্ত রচনা দেওয়া হলো:

“ভাষা আন্দোলন ও ২১ শে ফেব্রুয়ারি”

ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাঙালি তরুণরা আন্দোলন শুরু করে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল, কিন্তু বাঙালি তা মেনে নেয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। পুলিশের গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ অনেক তরুণ শহীদ হন। তাদের আত্মত্যাগের ফলস্বরূপ বাংলা ভাষা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

২১ শে ফেব্রুয়ারি শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় আত্মত্যাগের মহিমা। আমাদের দায়িত্ব হলো বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করা এবং বিশ্ব দরবারে এর মর্যাদা বৃদ্ধি করা।

২১ শে ফেব্রুয়ারির গুরুত্ব

২১ শে ফেব্রুয়ারি শুধুমাত্র একটি দিন নয়, এটি বাঙালি জাতির জন্য একটি চেতনার প্রতীক। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে জীবন দিতেও পিছপা হওয়া যায় না। ভাষা আন্দোলন বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের সূচনা করেছিল, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে রূপ নেয়। ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের শিখিয়েছে যে ভাষা ও সংস্কৃতির মর্যাদা রক্ষা করা প্রতিটি জাতির দায়িত্ব।

২১শে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য

২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙালিরা তাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল। এ দিনটি শুধু একটি তারিখ নয়, এটি আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতীয় চেতনার প্রতীক।

১. মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগ

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলি চালানো হয়। এতে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ অনেক ভাষাসৈনিক শহীদ হন। তাঁদের এই আত্মত্যাগ বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতীক।

২. বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা

ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষা ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এটি বাঙালির জাতীয় চেতনার জাগরণ ঘটায় এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের পথ তৈরি করে।

৩. বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান

ভাষা আন্দোলনই মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম পদক্ষেপ ছিল। এটি বাঙালিদের মধ্যে স্বাধিকার চেতনা জাগিয়ে তোলে, যা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেয়।

৪. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

বাংলাদেশের উদ্যোগে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০০০ সাল থেকে দিনটি বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে, যা ভাষার বৈচিত্র্য ও মাতৃভাষার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

৫. শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চেতনা

২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ ও গবেষণার প্রতি গুরুত্ব দেয়। এটি ভাষা ও সংস্কৃতির সংরক্ষণে আমাদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

৬. শহীদ মিনার ও প্রভাতফেরি

এই দিনে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, প্রভাতফেরি, কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এটি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ হয়ে উঠেছে।

২১শে ফেব্রুয়ারি কেবল শোকের দিন নয়, এটি গর্বেরও দিন। এ দিন আমাদের শিখিয়ে দেয় মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতেও প্রস্তুত থাকতে হবে। এটি আমাদের জাতীয় চেতনাকে জাগ্রত রাখে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার শিক্ষা দেয়।

২১ শে ফব্রুয়ারি নিয়ে ক্যাপশন

🖤 ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিল, তাদের স্মরণে নত মস্তক। #একুশে_ফেব্রুয়ারি

🌺 একুশ মানে আত্মত্যাগ, একুশ মানে গৌরব! #শ্রদ্ধাঞ্জলি

🇧🇩 রক্তের বিনিময়ে পাওয়া ভাষা, সেটাই আমাদের গর্ব! #মাতৃভাষা_দিবস

🏛 শহীদ মিনারে অমর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। #অমর_একুশ

🌿 ভাষার জন্য যারা শহীদ, তারা অমর হয়ে থাকবেন আমাদের হৃদয়ে। #ভাষা_শহীদ

📖 বাংলা আমার অধিকার, বাংলা আমার অহংকার! #বাংলা_ভাষা

💬 গর্বের সাথে বলি, আমার ভাষা বাংলা! #বাংলায়_বলি

🏆 মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় একুশের চেতনা জাগ্রত রাখি! #ভাষার_অধিকার

📚 মাতৃভাষা ছাড়া শিক্ষা অসম্পূর্ণ! #বাংলায়_শিখি

🎤 ভাষা শুধু কথা নয়, ভাষা আমাদের অস্তিত্ব! #বাংলা_আমার_প্রাণ

🔥 একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই! #চেতনায়_একুশ

🕊 মাতৃভাষার অধিকার রক্ষায় সদা সচেতন থাকুন! #ভাষার_স্বাধীনতা

💡 একুশের শিক্ষা—নিজের ভাষা ও সংস্কৃতিকে ভালোবাসা! #বাংলা_আমার_গর্ব

🌏 ভাষার জন্য শহীদ, ইতিহাসে বিরল! #একুশ_গর্বের

🖊 মাতৃভাষা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার! #ভাষার_অধিকার

🌹 প্রভাতফেরির পথে, ফুল হাতে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন। #শ্রদ্ধাঞ্জলি

🚶 প্রভাতফেরির সুরে জাগে একুশের চেতনা! #প্রভাতফেরি

🏵 শহীদ মিনার বুকে ধারণ করে ভাষার জন্য শহীদের রক্ত! #শহীদ_মিনার

🌿 ফুলে ফুলে ভরে উঠুক শহীদ মিনার, ভাষার জন্য শ্রদ্ধা নিবেদন! #ফুল_দিয়ে_শ্রদ্ধা

🔔 একুশ মানে শহীদ মিনারে বিনম্র শ্রদ্ধা! #ভাষা_সংগ্রাম

❤️ বাংলা শুধু ভাষা নয়, এটি আমাদের আত্মপরিচয়! #বাংলা_আমার_ভাষা

📝 বাংলা ভাষার জন্য ভালোবাসা চিরন্তন! #বাংলা_চিরঞ্জীব

🏡 হৃদয়ের প্রতিটি কোণে বাংলা ভাষার বসবাস! #বাংলা_আমার_প্রাণ

📢 বাংলায় কথা বলি, বাংলায় ভাবি! #বাংলায়_সুচিন্তা

💬 বাংলা ভাষার সুরে হৃদয় জুড়ায়! #বাংলার_সুর

👦 একুশের চেতনায় গড়ে তুলব আগামীর প্রজন্ম! #নতুন_প্রজন্ম

🔥 তরুণদের দায়িত্ব—মাতৃভাষাকে সম্মান ও সংরক্ষণ করা! #ভাষার_পথচলা

🎓 শিক্ষা, সংস্কৃতি ও চেতনায় মাতৃভাষাকে তুলে ধরুন! #বাংলা_গর্ব

🌟 আমাদের ভাষা, আমাদের পরিচয়! #বাংলার_আত্মা

✊ বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় সবাই একসাথে চলুন! #ভাষার_প্রেরণা

🌍 একুশ আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস! #বিশ্ব_মাতৃভাষা_দিবস

🏅 ইউনেস্কো স্বীকৃত বাংলা ভাষার গৌরব! #বাংলা_বিশ্বে_অন্যন্য

🌏 সব মাতৃভাষার প্রতি সম্মান, আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস! #ভাষার_বৈচিত্র্য

🕊 ভাষার জন্য লড়াই শুধু আমাদের নয়, এটি বিশ্বজনীন অধিকার! #ভাষার_মর্যাদা

📚 মাতৃভাষা সংরক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য! #ভাষার_সংরক্ষণ

🎆 ভাষা আন্দোলনই আমাদের স্বাধীনতার প্রথম সোপান! #স্বাধীনতার_পথ

🔥 একুশের চেতনা থেকে জন্ম নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা! #একুশ_থেকে_বিজয়

🇧🇩 একুশের পথ ধরে এলো স্বাধীনতা! #ভাষা_আন্দোলন

🕯 শহীদের রক্ত বৃথা যায়নি, আজ আমরা স্বাধীন! #বাংলা_স্বাধীন

📜 একুশ শুধু ইতিহাস নয়, একুশ আমাদের পথপ্রদর্শক! #একুশ_চিরন্তন

🌟 নিজের ভাষাকে ভালোবাসুন, অন্য ভাষাকেও সম্মান করুন! #ভাষার_সম্মান

🔥 অন্য ভাষা শিখুন, কিন্তু মাতৃভাষার গুরুত্ব ভুলবেন না! #ভাষার_গৌরব

❤️ ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো মানে নিজের শেকড়কে ভালোবাসা! #ভাষার_শেকড়

💡 মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা হৃদয়ে চির অমলিন! #ভাষার_মহিমা

🕊 ভাষার স্বাধীনতা মানে ভাবনার স্বাধীনতা! #স্বাধীন_ভাষা

🖤 একুশ মানে শুধু শোক নয়, গর্বও বটে! #একুশ_অমর

🌺 মাতৃভাষার জন্য ভালোবাসা অন্তহীন! #বাংলা_ভালোবাসা

🇧🇩 ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় গৌরব! #গর্বের_বাংলা

🏆 ভাষার জন্য শহীদ, তাঁদের প্রতি চিরকালীন শ্রদ্ধা! #ভাষা_শহীদ

🌿 ভাষার জন্য জীবন দান, পৃথিবীতে বিরল! #একুশের_গৌরব

২১ শে ফব্রুয়ারি নিয়ে বাণী কথা

“একুশ মানে আত্মত্যাগ, একুশ মানে গৌরব।”

“যে জাতি নিজের ভাষার জন্য রক্ত দিতে পারে, সে জাতিকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারে না।”

“রক্তের বিনিময়ে পাওয়া বাংলা, শহীদদের জন্য আজও শ্রদ্ধা জানাই।”

“শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি, আমরা পেয়েছি আমাদের মাতৃভাষার অধিকার।”

“ফাগুনের আগুনে জ্বলেছিল বুক, বাংলা পেল স্বাধীন সুখ।”

“বাংলা শুধু ভাষা নয়, এটি আমাদের আত্মপরিচয়।”

“বাংলা আমার হৃদয়ের স্পন্দন, গর্বিত আমি মাতৃভাষায়।”

“যতদিন বাংলা থাকবে, ততদিন শহীদদের স্মৃতি অমলিন থাকবে।”

“বাংলা ভাষা আমার অহংকার, বাংলা আমার প্রাণ।”

“নিজের ভাষাকে ভালোবাসুন, তা হলে বিশ্ব আপনাকে সম্মান করবে।”

“শহীদ মিনারে আজো বহে, ভালোবাসার অশ্রু-স্রোত।”

“প্রভাতফেরির পথে হাঁটলে, শহীদের ত্যাগের গল্প শোনা যায়।”

“শহীদ মিনারের প্রতিটি স্তম্ভে লেগে আছে শহীদের রক্তের ছাপ।”

“একটি ভাষার জন্য জীবনদান, ইতিহাসে বিরল এক উদাহরণ।”

“ফুলে ফুলে শ্রদ্ধা জানাই, ভাষার জন্য যারা প্রাণ হারায়।”

“একুশ আমাদের শিখিয়েছে মাথা নত না করতে।”

“একুশ মানে লড়াই, একুশ মানে বিজয়।”

“একুশ কোনো এক দিনের গল্প নয়, এটি প্রতিদিনের অনুপ্রেরণা।”

“একুশের চেতনায় আমরা গড়ে তুলব সমৃদ্ধ জাতি।”

“একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস।”

“একুশ আজ কেবল বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বের ভাষা আন্দোলনের প্রতীক।”

“যে জাতি নিজের ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে জানে, সে জাতি বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।”

“ভাষার জন্য ভালোবাসা মানে নিজের শেকড়কে ভালোবাসা।”

“বিশ্ব মাতৃভাষা দিবসে শপথ নিন, সব ভাষার প্রতি সম্মান দেখাবেন।”

“ভাষার জন্য লড়াই বিশ্বজনীন অধিকার, একুশ তার প্রমাণ।”

“মাতৃভাষা হৃদয়ের মতো, যা কখনো বদলানো যায় না।”

“নিজের ভাষাকে অবহেলা করা মানে নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা।”

“যে জাতি তার ভাষা রক্ষা করতে পারে না, সে জাতির সংস্কৃতিও টিকে থাকে না।”

“একটি জাতির আত্মপরিচয়ের প্রথম শর্ত তার মাতৃভাষা।”

“ভাষা মানুষকে বেঁধে রাখে, ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জাতির ঐক্য গড়ে তোলে।”

“তরুণদের দায়িত্ব—মাতৃভাষার গৌরব রক্ষা করা।”

“একুশের চেতনায় বড় হও, বাংলার জয়গান গাও।”

“যেখানে বাংলা ভাষা, সেখানেই একুশের চেতনা।”

“তরুণ সমাজই পারে একুশের আদর্শকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে।”

“একুশের ইতিহাস জানো, মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করো।”

“শিক্ষা তখনই সত্যিকারের হয়, যখন তা মাতৃভাষায় হয়।”

“একটি জাতি যত বেশি মাতৃভাষায় শিক্ষিত, তত বেশি শক্তিশালী।”

“মাতৃভাষায় শিক্ষা জাতিকে এগিয়ে নেয়।”

“ভিনদেশি ভাষা জানো, তবে মাতৃভাষার গর্ব কখনো ভুলবে না।”

“একটি শিশু যখন মাতৃভাষায় শেখে, তখন তার চিন্তা করার ক্ষমতা দ্বিগুণ হয়।”

“ভাষার জন্য আন্দোলনই ছিল স্বাধীনতার প্রথম সোপান।”

“একুশের সংগ্রাম আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পথ দেখিয়েছে।”

“ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।”

“একুশের সংগ্রাম শুধু ভাষার ছিল না, এটি ছিল আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।”

“বাংলার ভাষা বেঁচে থাকলে, বাংলার স্বাধীনতাও চিরকাল থাকবে।”

“একুশের চেতনা হৃদয়ে ধারন করি, বাংলা ভাষাকে সম্মান করি।”

“বাংলাকে ভালোবাসি, বাংলাকে সম্মান করি।”

“যতদিন বাংলা থাকবে, একুশের চেতনা বেঁচে থাকবে।”

“ভাষার প্রতি ভালোবাসা মানে নিজের কৃষ্টিকে রক্ষা করা।”

“একুশের শিক্ষা—নিজের ভাষার গৌরব ধরে রাখা।”

কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রথমবারের মতো ‘শহীদ দিবস’ পালন করা হয়। এরপর থেকেই প্রতি বছর বাংলাদেশে দিনটি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ও ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

আরও –জীবনকে বদলে দেওয়া বাণী কথা ও উক্তি

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর, ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যা ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে

প্রশ্ন-উত্তর

প্রশ্ন ১: ২১ শে ফেব্রুয়ারি কেন পালন করা হয়?

উত্তর: ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে পালন করা হয়। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাঙালি তরুণরা আন্দোলন করেছিলেন এবং পুলিশের গুলিতে অনেক তরুণ শহীদ হন।

প্রশ্ন ২: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে ঘোষণা করা হয়?

উত্তর: ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

প্রশ্ন ৩: ভাষা আন্দোলনের প্রধান নেতারা কারা ছিলেন?

উত্তর: ভাষা আন্দোলনের প্রধান নেতাদের মধ্যে ছিলেন আবদুল মতিন, গাজীউল হক, অলি আহাদ, আবুল কাশেম প্রমুখ।

প্রশ্ন ৪: ২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে বিখ্যাত কবিতা কোনটি?

উত্তর: ২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে বিখ্যাত কবিতা হলো “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”, যা আবদুল গাফফার চৌধুরী রচনা করেছেন।

প্রশ্ন ৫: ভাষা আন্দোলনের ফলাফল কী ছিল?

উত্তর: ভাষা আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে বাংলা ভাষা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং পরবর্তীতে এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পথপ্রদর্শক হয়।

উপসংহার

২১ শে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবময় দিন। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় আত্মত্যাগের মহিমা। ভাষা আন্দোলন শুধুমাত্র বাংলা ভাষার জন্য নয়, বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতার আন্দোলন ছিল। আমাদের দায়িত্ব হলো বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করা এবং বিশ্ব দরবারে এর মর্যাদা বৃদ্ধি করা। ২১ শে ফেব্রুয়ারি শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়, যা মাতৃভাষার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজে যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন

Welcome to our banking tips blog! I'm Sanaul Bari, a passionate financial educator and experienced banking professional dedicated to helping individuals and businesses navigate the complex world of finance. With over a decade of experience in the banking industry, I’ve held various positions, from customer service representative to financial advisor, gaining a comprehensive understanding of banking products, services, and strategies.

Leave a Comment