দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান লালবাগ কেল্লা ভ্রমণের উপায়,টিকিট মূল্য,সময়সূচী

Rate this post

লালবাগ কেল্লা ভ্রমণের উপায়-বাংলাদেশের পুরান ঢাকায় অবস্থিত ইতিহাসের অন্যতম শীর্ষণীয় স্থান দখল করে আছে লালবাগ কেল্লা। লালবাগ কেল্লার সাথে ইতিহাসের অনেক সম্রাটদের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ইতিহাসের বিশেষ স্থান দখলকারী সম্রাটদের নাম এই লালবাগ কেল্লার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের ইতিহাস সম্পর্কেধারণা দিতে লালবাগ কেল্লা ভ্রমণ একটি উত্তম সিদ্ধান্ত হতে পারে। এছাড়াও ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের ভ্রমণের জন্য অথবা ইতিহাস সম্পর্কে জানার উদ্দেশ্যে লালবাগ কেল্লা ভ্রমণ কোন বৃথা চেষ্টা নয়।

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা যারা দেশের অভ্যন্তরে একটি ইতিহাস সংবলিত স্থানে ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমি লালবাগ কেল্লা ভ্রমণ করার পরামর্শ দিব। এই লালবাগ কেল্লা ভ্রমণেরউপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। কিভাবে আপনি লালবাগ কেল্লায় পৌঁছাবেন,একটি টিকিট মূল্য কত,লালবাগ কেল্লায় গিয়ে আপনি কি কি দেখতে পারবেন, বিস্তারিত সব তথ্য আজকের আর্টিকেলে আপনি পেয়ে যাবেন। তাই আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

লালবাগ কেল্লা

লালবাগ কেল্লা ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত মুঘল আমলের একটি অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন। লালবাগ কেল্লা বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ।লালবাগ কেল্লাটির রাজধানী ঢাকার দক্ষিণে বুড়িগঙ্গার নদীর তীরে বংশাল থানার লালবাগ নামক স্থানে অবস্থিত।তবে পূর্বে এই কেল্লাটি‌ লালবাগ কেল্লা নামে পরিচিত ছিল না। এর নাম ছিল কিল্লা আওরঙ্গবাদ।

লালবাগ কেল্লার নামকরণের পেছনে রয়েছে একটি ইতিহাস। দেশের মানুষকে‌ ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে এবং লালবাগ কেল্লাকে ভ্রমণের উপযোগী স্থান হিসেবে তৈরি করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ২০১২ সাল থেকে এটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে।

লালবাগ কেল্লার ইতিহাস

মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এর তৃতীয় পুত্র আজম শাহ ১৬৭৮ সালে ঢাকার সুবিধারের বাসস্থান হিসেবে লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন।নির্মাণ কাজ শুরুর মাত্র এক বছর পরে এই কেল্লার নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই মারাঠা বিদ্রোহ দমনের জন্য সম্রাট আওরঙ্গজেব তাকে দিল্লী ডেকে পাঠান। সে সময় একটি মসজিদ ও দরবার হল নির্মাণের পর দুর্গ নির্মাণের কাজ থেমে যায়।

এরপর ১৬৮০ সালের নবাব শায়েস্তা পুনরায় এই দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তবে শায়েস্তা খানের কন্যা পরি বিবির মৃত্যুর পর এই দুর্গ অপয়া মনে করা হয় এবং শায়েস্তা খান ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে এর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। পরী বিবিকে দরবারের হল ও মসজিদের ঠিক মাঝখানের সমাহিত করা হয়েছিল।

 

পরি বিবির সাথে সম্রাট আজমশাহের সাদী মোবারক এর কথা চলছিল। তাই পরী বিবির মৃত্যুর পর এই কেল্লাটিকে সবাই অপয়া বলে ভাবতে থাকে। ১৬৮৮ সালে শায়েস্তা কেল্লাটি উত্তরাধিকারীদের দান করে আগ্রা চলে যান।শায়েস্তা খান চলে যাওয়ার পর নানা কারণে লালবাগ কেল্লাটির গুরুত্ব কমতে থাকে। এমতাবস্থায় ১৮৪৪ সালে ঢাকার কমিটি নামক একটি আগ্রা সরকারি প্রতিষ্ঠান কেল্লার উন্নয়নে কাজ শুরু করেন।

এই সময় দুর্গটি লালবাগ দুর্গ নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯১০ সালে লালবাগ কেল্লার প্রাচীর সংরক্ষিত স্থাপত্য হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে আনা হয়। অবশেষে নির্মাণের দীর্ঘ ৩০০ বছর পর গত শতকের আশির দশকে লালবাগ দুর্গের যথাসম্ভব সংস্কার করে এর আগের রূপ ফিরিয়ে আনা হয় এবং দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

লালবাগ কেল্লার স্থাপনা

লালবাগ কেল্লার স্থাপনার অন্তর্গত পরী বিবির সমাধি বেশ উল্লেখযোগ্য একটি স্থাপনা। পরিবেশ সমাধি মোগল আমলের একটি চমৎকার নিদর্শন। লালবাগ কেল্লার চত্বরে তিনটি স্থাপনা রয়েছে।

১) কেন্দ্রস্থলের দরবার হল ও হাম্মাম খানা।

২) পরিবিবির সমাধি।

৩) উত্তর-পশ্চিমাংশের শাহী মসজিদ।

লালবাগ কেল্লার স্থাপনা গুলো অত্যন্ত নিখুঁত কারুকার্যের মাধ্যমে করা হয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে কৃষ্টি পাথর, মার্বেল পাথর আর নানান রংবেরঙের টালি। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈচিত্র্যময় ঐতিহাসিক নিদর্শন হচ্ছে লালবাগ কেল্লা।

লালবাগ কেল্লায় যা যা দেখতে পারবেন

লালবাগ কেল্লায় ঢোকার পরেই লক্ষ্য করবেন সরু রাস্তার দুই পাশে নানা রকম ঝাউ গাছ আর পাতা বাহারের সাড়ি। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ গোলাপ, গাদা, রঙ্গন সহ আরো অনেক বাহারি ফুলের সমাহার রয়েছে এই কেল্লায়।

মাথার উপর থেকে সূর্য যখন হেলে পড়ে তখন লালবাগ কেল্লার প্রকৃত সৌন্দর্য চোখে পড়ে।

লালবাগ কেল্লায় শায়েস্তা খাঁর বাসভবন ও দরবার হল বর্তমানে লালবাগ কেল্লা জাদুঘর হিসেবে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।এই দরবার হল থেকেই তিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন।

জাদুঘরটিতে অনেক কিছুই রয়েছে দেখার মত।মুঘল আমলের পান্ডুলিপি, মৃৎশিল্প, কার্পেট,হস্তলিপি ও  রাজকীয় ফরমান সহ আছে মোগল আমলের বিভিন্ন সময়ের হাতে আঁকা ছবি। এখানে প্রদর্শিত রয়েছে মুঘল আমলের তৈরি তীর, ধনুক,বর্শা,বল্লম, হাত কুঠার, ছোড়া,তরবারি, ঢাল, পারকাসন লক বন্দুক ও রাইফেল, ফ্লিন্টলক পিস্তল, লোহার জালের জামা, হাতে লেখা পারসি ও আরবি কোরআন শরীফ, রাজকীয় ফরমান চিনামাটির পাত্র, বক্ষবর্ম, পরিবিবির মাজারে প্রাপ্ত কালো পাথরের উৎকীর্ণ লিপি, মুঘল চিত্রকলা ইত্যাদি।

কেল্লার সর্ব উত্তর-পশ্চিম অংশে রয়েছে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট শাহী মসজিদ আজম শাহ এটি নির্মাণ করে দিল্লি চলে যান। মসজিদটিতে জামায়াতে নামাজ হয়।

লালবাগ কেল্লায় বেশ কয়েকটি পানির ফোয়ারা, একটি শুকনো পুকুর, গোপন পথের মুখ বা সুরঙ্গ পথ রয়েছে। দক্ষিণ দেয়ালের ছাদের ওপর ছিল বাগান কেল্লা এলাকার মনোরম সৌন্দর্য দেখতে ছাদে উঠতে হয়।

লালবাগ কেল্লার টিকিট মূল্য

লালবাগ কেল্লা ভ্রমণ করতে টিকিট কাটা বাধ্যতামূলক। লালবাগ কেল্লার দরজার ঠিক ডান পাশেই রয়েছে টিকিট কাউন্টার।

লালবাগ কেল্লা প্রবেশ টিকিট মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা। এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ২০০ টাকা।পাঁচ বছরের বয়সের নিচের বাচ্চাদের লালবাগ কেল্লা প্রবেশ করতে টিকিটের প্রয়োজন হয় না।

লালবাগ কেল্লা পরিদর্শনের সময়সূচী

লালবাগ কেল্লা পরিদর্শনের নির্দিষ্ট সময়সূচী রয়েছে।সপ্তাহের রবিবার বন্ধ থাকে লালবাগ কেল্লা এবং সোমবার অর্ধ দিবসের জন্য বন্ধ থাকে।এছাড়াও সকল বিশেষ সরকারি ছুটির দিনে লালবাগ কেল্লা বন্ধ থাকে। গ্রীষ্মকাল ও শীতকাল অনুযায়ী লালবাগ কেল্লা পরিদর্শনের সময়সূচি পরিবর্তিত হয়।

এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস (গ্রীষ্মকাল)

রবিবার- সপ্তাহিক ছুটি।

সোমবার- দুপুর ২:৩০ থেকে বিকেল ছয়টা পর্যন্ত

শুক্রবার-সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ছয়টা পর্যন্ত (মাঝে দুপুর ১২:৩০ থেকে দুইটা পর্যন্ত বন্ধ)।

সপ্তাহের বাকি দিন-সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৬ টা (মাঝে দুপুর ১টা থেকে ১ঃ৩০ পর্যন্ত বন্ধ)।

অক্টোবর থেকে মার্চ (শীতকাল)

রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধ

সোমবার দুপুর ২:৩০ থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

শুক্রবার-সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা (মাঝে দুপুর ১২ঃ৩০ থেকে ২ টা পর্যন্ত বন্ধ)।

সপ্তাহের বাকি দিন- সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত (মাঝে দুপুর ১টা থেকে ১ঃ৩০ পর্যন্ত বন্ধ)

লালবাগ কেল্লায় যাওয়ার উপায়

ঢাকা জেলার যে কোন জায়গা থেকেই লালবাগ কেল্লায় যাওয়া যায়। নিজের সুবিধামতো বাহনে লালবাগ কেল্লায় আপনি যেতে পারেন। লালবাগ কেল্লায় যাওয়ার জন্য কয়েকটি পথ রয়েছে আপনার সুবিধামতো রুটে আপনি যেতে পারবেন।

ঢাকা অথবা বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে ঢাকার গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারে আসতে হবে।সেখান থেকে রিক্সা অথবা লেগুনাতে করে কেল্লায় যেতে পারবেন।

আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজের যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ

ঢাকা অথবা বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে ঢাকার নিউ মার্কেট নীলক্ষেত শাহবাগ টিএসসি অথবা আজিমপুর এসে রিকশায় করে যেতে পারবেন লালবাগ কেল্লায়।

এছাড়াও আপনি সদরঘাট থেকে রিকশায় বাবুবাজার ব্রিজ হয়ে লালবাগ কেল্লায় যেতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার যে কোন জায়গা থেকে সিএনজিতে করে সরাসরি লালবাগ কেল্লায় যাওয়া যাবে।

প্রতিদিনই প্রায় চার-পাঁচ হাজার মানুষ ঘুরতে আসেন এই লালবাগ কেল্লায়। বিশেষ বিশেষ দিনে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০-১২ হাজারে।

লালবাগ কেল্লায় না ঘুরলে আপনার ঢাকা ভ্রমণ অসম্পূর্ণ  বলে মনে হবে। প্রায় ৩০০ বছরের ঐতিহ্য কিভাবে এখনো টিকে আছে তার আপন মহিমায় এটি দেখতে হলে অবশ্যই আপনাকে যেতে হবে লালবাগ কেল্লায়।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন:লালবাগ কেল্লার চত্বরে কয়টি স্থাপনা রয়েছে?

উত্তর: লালবাগ কেল্লার চত্বরে রয়েছে তিনটি স্থাপনা।

প্রশ্ন: বিদেশী দর্শনার্থীদের জন্য লালবাগ কেল্লা টিকিট মূল্য কত?

উত্তর: বিদেশী দর্শনার্থীদের জন্য লালবাগ কেল্লা টিকিট মূল্য ২০০ টাকা।

প্রশ্ন: লালবাগ কেল্লার আয়তন কত?

উত্তর: প্রায় ১৯ একর জায়গার উপর লালবাগ কেল্লা টি স্থাপিত হয়েছে।

শেষ কথা-

যারা বাংলাদেশের মধ্য ঐতিহাসিক কোন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ করতে চাচ্ছিলেন তারা অবশ্যই লালবাগ কেল্লায় ভ্রমণকে বেছে নিতে পারেন। লালবাগ কেল্লাই কিভাবে ভ্রমন করবেন আজকে এই আর্টিকেলে আমরা তা আলোচনা করলাম।

আশা করছি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যাত্রাটি নিশ্চিত করতে পারবেন লালবাগ কেল্লায় ভ্রমণের জন্য। যদি আরো কোন জিজ্ঞাসা থাকে আপনাদের অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব আপনাদের কমেন্টের উত্তর দেওয়ার। আজকের মত এ পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আশা করছি আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন।

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন টিকেট করার নিয়ম

পিজি হাসপাতালে অনলাইন টিকিট বুকিং করার নিয়ম

ইউনিক বাস অনলাইন টিকেট কাটার নিয়ম

বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকিট কাটার নিয়ম

জাতীয় জাদুঘর অনলাইন টিকেট করার নিয়ম

↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇

  • ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন

↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇

➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন

➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমি মো: সানাউল বারী পেশায় একজন ব্লগার এবং ইউটিউব ও ফেসবুক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।

Leave a Comment