মূল বেতন কত হলে আয়কর দিতে হবে?-বাংলাদেশে করদায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে ব্যক্তির আয়ের উপর। মূল বেতন বা মাসিক আয়ের একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করার পরই আয়কর দিতে হয়। এই ব্লগে আমরা বিশদভাবে আলোচনা করব মূল বেতন কত হলে আয়কর দিতে হবে?, কোন কোন ধাপে কর প্রদান করতে হয়, এবং কিভাবে করদায়িত্ব পরিপূর্ণ করা যায়।
আয়কর কি এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
আয়কর একটি অর্থনৈতিক দায়িত্ব যা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের আয়ের উপর নির্দিষ্ট হারে পরিশোধ করতে হয়। এটি রাষ্ট্রের জন্য আয়ের প্রধান উৎস এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের প্রধান মাধ্যম। ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয়ের উপর নির্দিষ্ট শতাংশ হারে আয়কর নির্ধারণ করা হয় যা মূলত রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক।
বাংলাদেশের আয়করের হার এবং আয়করের ছাড়পত্র
বাংলাদেশে কর নির্ধারণ করার জন্য সরকার কর্তৃক আয়কর ছাড়পত্র প্রদান করা হয়। এই ছাড়পত্রটি নির্ধারণ করে কেমন আয় পর্যন্ত আয়কর পরিশোধে ছাড় প্রদান করা হবে। এটি বিভিন্ন শ্রেণীর জন্য আলাদা আলাদা এবং নিয়মিতভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।
- কর–যোগ্য আয় সীমা:
- পুরুষ: ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়
- নারী এবং বয়োজ্যেষ্ঠ (৬৫ বছর বা তার বেশি): ৩,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তি: ৪,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়
- মুক্তিযোদ্ধা: ৪,৭৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়
আয়কর হিসাব করার পদ্ধতি
আয়কর হিসাব করার জন্য মোট আয় থেকে কর-যোগ্য আয় নির্ধারণ করতে হয়। আয়ের উৎস থেকে প্রাপ্ত বেতন, ব্যবসায়িক মুনাফা, বাড়ি ভাড়া, মূলধনী আয়, সুদ, ইত্যাদি সমস্ত আয় যোগ করে মোট আয় নির্ধারণ করা হয়।
- ধাপ ১: মোট আয় নির্ধারণ করা
- ধাপ ২: আয় থেকে কর-যোগ্য আয় বের করা
- ধাপ ৩: নির্ধারিত কর হার অনুযায়ী কর হিসাব করা
বেতনভিত্তিক করদাতাদের কর নির্ধারণ
বেতনভিত্তিক করদাতাদের জন্য মূল বেতন ও অন্যান্য ভাতাসহ মোট আয় হিসাব করে আয়কর নির্ধারণ করা হয়। আয়ের স্তর অনুযায়ী করের হার পৃথক পৃথক:
আয়ের পরিমাণ |
করের হার |
৩,০০,০০১ – ৬,০০,০০০ | ১০% |
৬,০০,০০১ – ১২,০০,০০০ | ১৫% |
১২,০০,০০১ – ৩০,০০,০০০ | ২০% |
৩০,০০,০০১ – ১,০০,০০০০০০ | ২৫% |
১,০০,০০০০০০ এর উপরে | ৩০% |
কর নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্টেশন
আয়কর নির্ধারণের জন্য করদাতাদের আয় ও ব্যয়ের প্রমাণাদি থাকা জরুরি। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টের মধ্যে রয়েছে:
- আয় এবং ব্যয়ের বিবরণ
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সম্পত্তির আয়করের বিবরণ
- আয়কর ফাইলিং-এর পূর্ববর্তী কাগজপত্র
কর প্রদান ও কর ফাইলিং প্রক্রিয়া
বাংলাদেশে আয়কর ফাইলিং প্রক্রিয়াটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতি বছর করদাতাদের এই দায়িত্ব পালন করতে হয়। কর ফাইলিং-এর সময় করদাতাদের ই-টিআইএন (ইলেকট্রনিক ট্যাক্সপেয়ার আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) থাকতে হবে। ই-টিআইএন একবার নিবন্ধন করা হলে, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কর ফাইলিং সহজেই করা সম্ভব।
আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজে যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ
কর ফাইলিং-এর ধাপ:
- ই-টিআইএন নিবন্ধন করা
- বার্ষিক আয়কর রিটার্ন ফর্ম পূরণ করা
- প্রয়োজনীয় তথ্য সংযুক্ত করা
- নির্ধারিত অফিসে রিটার্ন জমা দেওয়া বা অনলাইনে জমা দেওয়া
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
প্রশ্ন: আমি কিভাবে জানব যে আমাকে আয়কর দিতে হবে?
উত্তর: যদি আপনার বার্ষিক আয় সরকারের নির্ধারিত ছাড়পত্রের সীমা ছাড়িয়ে যায়, তবে আপনাকে আয়কর দিতে হবে।
প্রশ্ন: আয়কর ফাইলিং না করলে কি হবে?
উত্তর: আয়কর ফাইলিং না করলে জরিমানা সহ অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।
উপসংহারে, আয়কর প্রদান প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব। সরকার প্রতি বছর আয়করের হার ও ছাড়ের পরিমাণ সংশোধন করে, তাই এই বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔
প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-
টিন সার্টিফিকেট থাকলেই কি কর দিতে হবে? টিন সার্টিফিকেট খোলার নিয়ম চাকুরীজীবীদের জন্য ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জিরো অনলাইন আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার নিয়ম
↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇
- ইংলিশে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত টিপস পেতে ভিজিট করুন – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত টিপস পেতে ভিজিট করুন – এখানে ভিজিট করুন।
- ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত টিপস পেতে ভিজিট করুন –এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলা ই সার্ভিস সেবা সম্পর্কিত টিপস পেতে ভিজিট করুন – এখানে ভিজিট করুন
- ডিজিটাল অনলাইন প্রোডাক্ট কিনতে এবং জানতে ভিজিট করুন – এখানে ভিজিট করুন
↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇
➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন।
➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️IMO চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।