বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার-শিশুকে খেতে দিতে হবে বয়স অনুযায়ী খাবার। জোর করে এবং শিশুর জন্য উপযোগী নয় এমন খাবার খাওয়াতে গেলে শিশুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। খাবার হতে হবে পুষ্টিকর। কিন্তু অবশ্যই বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার এর সঠিক তালিকা মেনেই খাওয়াতে হবে। ৬ মাস পর্যন্ত শিশুর মূল খাবার হচ্ছে মায়ের বুকের দুধ। এই সময়ের মধ্যে অন্য খাবার খাওয়ানো মোটেই ভালো কাজ নয়।
তাই কোন বয়সী শিশুকে কোন খাবার খাওয়াতে হবে সেটা নিয়ে পরিপূর্ণ ধারণা দিতেই এই লেখা।
এখানে আপনি জানতে পারবেন জন্মের পর থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর সঠিক খাবার সম্পর্কে।
বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা
একটি শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য সঠিক মাত্রায় সুষম খাদ্য এবং পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা খুবই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সকলেই জানি যে বয়সভেদে খাবারের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়। সববয়সী মানুষদের পুষ্টির চাহিদা এবং খাদ্য তালিকা একরকম হয় না। যে কারণে আমাদের সকলের জানা উচিত বয়স অনুযায়ী খাবার তালিকা সম্পর্কে।
নবজাতক থেকে ৬ মাসের খাবার তালিকা
১।এই অবস্থায় শিশুদের সবচেয়ে দৈহিক ও মানসিক সুষ্ঠু বিকাশের জন্য মায়ের দুধ সবচেয়ে বেশি এবং অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে।
২। যে কারণে ডাক্তাররা শিশুদেরকে বেশি বেশি মায়ের বুকের দুধ খাওয়া নির্দেশ দিয়ে থাকেন।
৩।নবজাতক থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশের জন্য মায়ের বুকের দুধ অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪।শিশু জন্মদানের পর মায়ের বুকের দুধে যে হলুদ বর্ণের সাল রয়েছে তা অনেকেই শিশুদের খেতে দেয় না কিন্তু এই দুধ টি শিশুর রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি করে থাকেন।
থ্যালাসেমিয়া রোগীরা কি কি খাবার খাবেন আর কি কি খাবার এড়িয়ে চলবেন তার তালিকা
৫। আমরা কুসংস্কার বিশ্বাস করে এই সকল কাজগুলো করে থাকে কিন্তু এই দুধগুলো ফেলে দেওয়া সন্তানের জন্য ক্ষতিকর।
৬।কেননা সে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির শক্তি থেকে দূরে সরে দাঁড়ালো।
৭।নবজাতক থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে একমাত্র মায়ের দুধ ব্যতীত অন্য সকল খাবার থেকে বিরত রাখতে হবে।
৮। একেবারে নবজাতক অবস্থায় মায়ের দুধ সবচেয়ে বেশি কার্যকরী এবং পুষ্টিকর।
শিশুদের 6 মাস থেকে ১২ মাসের খাবার তালিকা
১।শিশুদের জন্য এই বয়সে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি দুই থেকে তিন বেলা স্বল্প পরিমাণে অন্যান্য খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন। যেমন, নরম খিচুড়ি বা ফলের রস, অল্প ডিম বা অল্প কুসুম খাওয়াতে হবে ভালোভাবে সেদ্ধ করে।
২।তারপর অল্প মাছ, সুজি, সাবু, এবং ঘরে তৈরিকৃত ভেজাল নেই এমন ভালো মানের তরকারি বা খাবার ইত্যাদি।
৩।প্রতিদিন একই রকম খাবার খাওয়াতে হবে না।
৪।একঘেয়েমি হয়ে যাবে যে কারণে খাবারগুলো অল্প অল্প করে খাওয়াতে হবে।
৫। মাঝে মাঝে খাদ্য তালিকা গুলো পরিবর্তন করতে হবে তাহলে এটি শিশুর বুদ্ধি বিকাশের জন্য সহায়তা করে থাকে।
৬। আরেকটি বিষয় আমরা সকলেই জানি যে শিশুদেরকে অনেক মায়েরা জোর করে খাবার খাইয়ে থাকে। যা কোনোভাবেই উচিত নয় এটি শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
৭।জোর করে খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
১ থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের খাদ্য তালিকা
১।এই বয়সের শিশুরা শক্ত এবং নরম উভয় রকমের খাবার খাওয়ার জন্য পরিপক্ক হয়ে থাকে।
২।এই সময় শিশুদের দৈহিক বিকাশ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
৩।এই সময় শিশুদেরকে পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ানো উচিত। যেমন,
বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি,ফলমূল,মাছ,
মাংস,ডিম,গরুর দুধ
ইত্যাদি এই সকল খাবার খেলে মানসিক বিকাশ ঘটে এবং শরীরের পুষ্টি বাড়ে এবং দৈহিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
২ বছর বা তার অধিক বয়সী শিশুদের খাদ্য তালিকা
১।২ বছর বয়সী শিশুদের বা দুই বছর এর অধিক বয়সী শিশুদের দৈনিক খাবারের সাথে ধাপে ধাপে অভ্যস্ত করে তোলার চেষ্টা করতে হবে।
২। তখন আস্তে আস্তে নরম বা তরল খাদ্যের সাথে সক্ত, তৈলাক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার এসকল খাবারের প্রতি ও অভ্যস্ত করতে হবে। জাঙ্ক ফুড, কম্পানি এই সকল খাদ্য গুলো মেনে চলতে হবে।
বাচ্চাদের কি খাওয়ানো উচিত
আপনারা অনেকেই জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন যে বাচ্চাদের কি খাবার খাওয়ানো উচিত সে সম্পর্কে। বাচ্চাদের বয়স অনুযায়ী খাবারের পরিবর্তন আসে। বাচ্চাদের জন্য এই খাবারগুলো খাওয়াতে পারেন।
আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজের যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ
যেমন, সুজি, পায়েস, সবজি সিদ্ধ, ফলের রস, মাছ, ডিম, দুগ্ধ, ডিমের কুসুম ইত্যাদি। কেমন বয়সের বাচ্চাদের কেমন খাবার দিতে হবে তা আমরা ইতিমধ্যে উপরে আলোচনা করেছি। আপনারা চাইলে উপর থেকে দেখে নিতে পারেন। ডিম ও দুধ শিশুদের প্রোটিনের চাহিদা পূরন করে থাকে যে কারণে ডিম ও দুধ বাচ্চাদের খাওয়ানো উচিত।
শিশুরা কোন ধরনের খাবার বেশি পছন্দ করে
আমরা অনেকেই জানিনা শিশুরা কেমন খাদ্য বেশি পছন্দ করে থাকেন। চলুন জেনে নিই এ সম্পর্কে কিছু তথ্য। শিশুর বিভিন্ন রকমের উজ্জ্বল রং পছন্দ করে থাকে যে কারণে তারা খাবারের ক্ষেত্রে ও উজ্জ্বলতা তাদের আকৃষ্ট করে। খাবারে যদি আপনারা রঙিন সবজি বা ফলের রস ব্যবহার করে খাবার আকর্ষণীয় করে তোলে।
তাহলে সেই ফল ও সবজি এর প্রতি শিশুদের অনেক বেশি আগ্রহ দেখা যায়। এসকল খাবার গুলোতে পুষ্টি ও খনিজ উভয়ই রয়েছে যেগুলো থেকে শিশুর স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
শিশু খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে কি কি মনে রাখতে হবে
১।গর্ভাবস্থা থেকে জন্মের প্রথম দু’বছরে অপর্যাপ্ত পুষ্টি সারাজীবনের জন্য শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করেতে পারে।
২।শিশুর সুস্বাস্থ্য ও সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন সুষম খাবার, যার মধ্যে থাকবে শর্করা, আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ লবণ বিশেষত ভিটামিন ‘এ’ ও আয়রণ।
৩।শিশুর খাবারে যাতে কমপক্ষে চার ধরনের খাবার, যেমন: ভাত, ঘনডাল, সবুজ বা রঙিন শাক/ হলুদ সবজি এবং দিনে একবার একটি প্রাণীজ খাবার (মাছ/ডিম/মুরগির কলিজা/মাংস) থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪।শিশুর খাবার রান্নার সময় পরিমাণমত তেল মেশাতে হবে (মাঝারি ২ চামচ)।
৫।০-৬ মাস বয়সী শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
৬। ছয় মাস বয়সের পর অর্থাৎ ১৮১ দিন থেকে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর বাড়তি খাবার খাওয়ানো শুরু করতে হবে।
শিশু না খেতে চাইলে কিভাবে খাওয়াবেন
১।বাচ্চাকে কখনোই জোর করে খাওয়াবেন না। প্রত্যেক শিশুর টেস্ট ও খেতে শেখার ধরণ আলাদা। বাচ্চাকে নিজে চামচে বা হাতে ধরে খেতে দিন। কোনো ছোট ফলের টুকরো বা রান্না করা সবজির টুকরো, সেদ্ধ ডিম , পনিরের টুকরো ইত্যাদি হাতে দিন।
২।শিশুঠিক ভাবে হয়তো এখনই বাটি ধরে বা চামচ ধরে খেতে পারবেনা ,ওকে একটু হেল্প করুন। খেতে গিয়ে হয়তো ফেলবে বা গায়ে মেখে ফেলবে ,কিন্তু তাতে বাধা দেবেন না। আরো উৎসাহ দিন। খাওয়ানোর সময় ওর দিকে তাকিয়ে থাকুন ,হাসুন , আদর করে খাওয়ান। যতটা সম্ভব বাচ্চার সাথে এনগেজ থেকে ওকে খেতে উৎসাহ দিন। এতে বাচ্চাদের খাওয়ার উৎসাহ বাড়ে।
৩।শিশুকে ৮-৯ মাস থেকেই একটু একটু করে আমিষ খাওয়ার দেওয়া শুরু হয়ে যায় ,কিন্তু মনে রাখবেন তার পরিমান কিন্তু খুব বেশি না। শিশুকে একই দিনে ডিম, মাছ , মাংস খাওয়াবেন না।
৪। ১ বছরে গিয়ে শিশুর বৃদ্ধির হার কিছুটা কমতে শুরু করে ফলে কোনো কোনো বাচ্চার ক্ষিদে একটু কমে যেতে পারে। এছাড়া অনেক শিশু হাঁটতে শুরু করে ফলে খাওয়ার চেয়ে ঘরময় ছুটে বেড়াতে ও খেলে বেড়াতে বেশী ভালোবাসে।
৫।প্রত্যেক দিন ক্ষিদে অনুযায়ী শিশুর খাবার খাওয়ার পরিমানে কম বেশি হতে পারে। তাবলে অধৈর্য হবেন না। বাচ্চাকে বিভিন্ন ধরনের ও স্বাদের খাবার দিন। কোনো কোনো খাবারের স্বাদ হয়তো শিশুর ভালো না লাগতে পারে , রিজেক্ট করতে পারে। কোনো খাবার রিজেক্ট করলে তখনি জোর না করে আবার কিছুক্ষণ পর বা কিছুদিন পর ট্রাই করুন।
শিশুকে যে খাবার গুলো খাওয়াবেন না
সবজি,ভাত,ডাল,আটার রুটি,সবজি বা মাংসের খিচুড়ি শিশুর সব ধরনের চাহিদা পূরণ করতে পারে।তাই নিশ্চিতে শিশুকে এসব খাবার খাওয়াতে পারেন।শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ও শারীরিক বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।
অনেক বাবা- মা আছেন যারা শিশুদের সপ্তাহ জুড়ে একই ধরনের খাবার খেতে দেন যা ঠিক নয়। সপ্তাহে সাতদিন শিশুদের রুটিং করে খেতে দিন।খাবার রেসিপিতে ভিন্নতা আনুন। এছাড়া ভাতের সঙ্গে ঘি, আচার, মিষ্টি জাতীয় খাবার দিতে পারেন।
নুডলস, পাস্তা, হিমায়িত খাবার শিশুদের খেতে দেবেন না। কেক, পুডিং,পায়েস, এসব খাবার বাসায় তৈরি করে খাওয়াতে পারেন।
নুডলস, পাস্তা, হিমায়িত এসব খাবারে অতিরিক্ত চিনি থাকায় শিশুর জন্য মারাত্নক ক্ষতির কারণ।
শিশুর খাবার ও পুষ্টি নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
১. প্রথম ৬ মাস শিশুকে কী খাওয়াবেন?
উত্তর: বুকের দুধ।
২. কত বছর আপনার বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যাওয়া উচিত?
উত্তর: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে আপনার দু’বছর বা তার বেশি সময় পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।
৩. বাচ্চারা কখন পানি পান করতে পারে?
উত্তর: ৬ মাস পরে
৪. কখন শক্ত খাবার দেয়া শুরু করবেন?
উত্তর: ৬ মাস +
৫. কোন শক্ত খাবার দিয়ে শুরু করবেন?
উত্তর: আপনি কলার পিউরি, আপেল পিউরি, নাশপাতি পিউরি, ওটমিলের পোরিজ, সাবুদানা পোরিজ, মুরগী এবং সবজির খিচুড়ি দিয়ে শুরু করতে পারেন। আমাদের ব্লগ ইতিমধ্যে ৭–১২ মাস বয়সী বাচ্চাদের জন্য খাবারের চার্টগুলি দেখিয়েছে।
৬. ওটস খেলে কি বাচ্চাদের ওজন কমে যায়?
উত্তর: না। ওটস খেলে বাচ্চাদের ওজন কমেনা। আমরা ৭ মাস থেকে শিশুকে ওটস খাওয়াচ্ছি এবং এটি তার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করেছে।
৭. কবে থেকে শিশুদের ওটস দেয়া যাবে?
উত্তর: ৭ মাস থেকে।
৮. শিশুদের জন্য কোন ওটস ব্র্যান্ড টি সবচেয়ে ভালো?
উত্তর: Gerber Oats। শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে এটি ১ নম্বর ইনফ্যান্ট ওটস ব্র্যান্ড। বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য আয়রন প্রয়োজনীয় উপাদান। Gerber ওটসের মাত্র দুটি পরিবেশন আপনার শিশুর দৈহিক আয়রনের চাহিদা পূরণ করে।
৯. বাচ্চার ঠান্ডা লাগলে কলার পিউরি দেয়া যাবে?
উত্তর: অবশ্যই দেয়া যাবে। এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা যে ঠান্ডা লাগলে শিশুদের কলা দেয়া যাবেনা।
১০. আপেল সেদ্ধ করলে কি ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়?
উত্তর: হাঁ , ভিটামিন সি কিছুটা নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু অন্যান্য পুষ্টি উপাদান প্রোটিন, সুগার, ফাইবার এবং ফ্যাট ঠিক থাকে।
১১. কোন চালের খিচুড়ি খাওয়াবো? লাল বিন্নি চাল না সাদা চাল?
উত্তর: লাল বিন্নি চাল বেশি পুষ্টিকর। লাল বিন্নি চালে সাদা চালের চেয়ে আমিষ ও ফাইবার বেশি থাকে।
১২. ডিম কবে থেকে দিতে পারি?
উত্তর: সপ্তম মাস
১৩. বাচ্চাদের প্রতিদিন কয়টি কোয়েলের ডিম্ দেয়া যায়?
উত্তর: শিশুদের (৭ মাস –৩ বছর পর্যন্ত) প্রতিদিন ২ টি কোয়েলের ডিম দেয়া যায়।
১৪. কোয়েলের ডিম এবং মুরগির ডিমের মধ্যে কোনটি বেশি পুষ্টিকর?
উত্তর: ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (USDA) অনুযায়ী, কোয়েলের ডিমে আইরন, ভিটামিন বি ১২, ফলেট, প্রোটিন এবং ফসফরাসের পরিমান মুরগির ডিমের তুলনায় বেশি (সূত্র)। সেদিক বিবেচনা করলে কোয়েলের ডিম্ বেশি পুষ্টিকর। কোয়েলের ডিম্ এজমা প্রতিরোধ করে।
১৫. এক বছরের কম বয়সী শিশুকে ডিমের সাদা অংশ দেয়া যাবে ?
উত্তর: আপনার সন্তানের প্রথম বছরে ডিমের সাদা অংশ দেয়া যাবে না।
১৬. কখন থেকে শিশুকে গরুর দুধ খাওয়াতে পারি?
উত্তর: ২ বছর +
১৭. আমি কখন বাচ্চাকে মাছ দিতে পারি?
উত্তর: ৮–৯ মাস।
১৮. শিশুকে শুরুতে কোন কোন মাছ দেয়া যেতে পারে ?
উত্তর: দেশি রুই, কাতলা, মাগুর, শিং, পাবদা এবং শোল মাছ।
১৯. শিশুদের সামুদ্রিক মাছ কবে থেকে দেয়া যাবে?
উত্তর: সামুদ্রিক মাছ যেমন: রূপচাঁদা, টুনা, চিংড়ি এবং সালমন মাছে মার্কারি থাকে। তাই এগুলো ১ বছর+ থেকে দেয়া যেতে পারে।
২০. কোন সবজি দিয়ে শুরু করা ভাল?
উত্তর: গাজর, মিষ্টি কুমড়া, সবুজ পেঁপে এবং লাউ।
শেষকথা
শিশুরা পরিবারের কর্ণধার, জাতির ভবিষ্যৎ। জীবনের শুরুতে শিশুর যত্নের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সচেতন থাকতে হবে। বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার কী, কোন বয়সী শিশুকে কোন খাবার দিতে হবে, কোন খাবার দেওয়া যাবে না, কীভাবে খাওয়াতে হবে, শিশুর সাথে কী কী করা যাবে না এসব ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে। এই বিষয়গুলো মেনে শিশুর যত্ন নিলে শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ হওয়ায় সহজ হবে। তাই যত্নশীল হোন শিশুর প্রতি, হয়ে উঠুন আদর্শ মা-বাবা।
Post Tags –
2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা,৩ বছরের শিশুর খাবার তালিকা,৪ বছরের শিশুর খাবার তালিকা,৮ মাসের শিশুর খাবার তালিকা,১২ মাসের শিশুর খাবার তালিকা,দেড় বছরের শিশুর খাবার তালিকা,৩ মাসের শিশুর খাবার তালিকা.
আপনার জন্য আরো –
- ইংলিশে স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- ব্লগিং,ইউটিউবিং,ফেসবুকিং থেকে ইনকাম সম্পর্কিত ভিডিও পেতে – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত সকল তথ্য পেতে – এখানে ভিজিট করুন।
- ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত সকল ভিডিও পেতে –এখানে ভিজিট করুন।