খাস জমি কি?খাস জমি কাকে বলে ?খাস জমি কত প্রকার ? এবং খাস জমি চেনার উপায় সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে জানতে পারবেন।
অর্থাৎ আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি খুব সহজে যেকোনো ধরনের জমি দেখেই বুঝতে পারবেন যে সেটা খাস জমি না কোন মালিকাভুক্ত জমি?
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা খাস জমি কাকে বলে জানেনা এবং খাস জমি চেনার উপায় সম্পর্কেও জানে না ।যার ফলে জমি ক্রয় বিক্রয় করার সময় বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার সম্মুখীন হয়ে থাকেন।
খাস জমি কি?
সরাসরি বললে খাস জমি বলতে বোঝায় সরকারি মালিকাধীন ও নিয়ন্ত্রণাধীন যে কোন ভূমিকে খাস জমি বলা হয়। অর্থাৎ এই জমির সম্পূর্ণ মালিক বাংলাদেশ সরকার।
এই খাস জমিগুলি সরকারি নির্মাণাধীন কোন কাজে অথবা সরকারি বিভিন্ন প্রয়োজনে সরকার কর্তৃক আদেশ অনুসারে ব্যবহৃত হবে। অন্য কোনভাবে এই ঘাস জমিগুলি মালিকাধীন বা ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবহার করা যাবে না এবং ক্রয় বিক্রয় করা যাবে না।
খাস জমি কত প্রকার?
খাস জমি প্রধানত দুই প্রকার।
১.কৃষি খাস জমি
কৃষি খাস জমি হচ্ছে যে কোন কৃষি কাজের জন্য ব্যবহৃত জমি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত জমিগুলোকে কৃষি খাস জমি বলা হয়।কৃষি খাস জমিগুলো যেকোনো ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করতে পারে।
২.অকৃষি খাস জমি
অকৃষি খাস জমিগুলো কৃষি কাজের বাহিরে যে সকল কাজে ব্যবহৃত করা হয় সে সকল জমিগুলিকে অকৃষি খাস জমি বলা হয়।
যেমন আবাসিক, হোটেল, বাণিজ্যিক কাজে, শিল্প প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, খাল -বিল ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত করা হয়। এছাড়াও অকৃষি খাস জমিগুলো যেকোনো ব্যাক্তি জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে এই খাস জমিগুলো বন্দোবস্ত নিতে পারে।
খাস জমি চেনার উপায়
খাস জমি চেনার উপায় হচ্ছে আট নাম্বার রেজিস্টার তল্লাশি, খতিয়ান ও দাগ নাম্বার যাচাই মালিকানা যাচাই ইত্যাদি। অর্থাৎ খাস জমি চেনার উপায় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে আট নাম্বার রেজিস্টার তল্লাশি করা। এই ৮ নাম্বার রেজিস্টারের মধ্যে সরকারের মালিকাধীন সকল জমির তথ্য গুলো থাকে।
আপনি যে অঞ্চলের খাস জমি চেনার বা খোঁজার চেষ্টা করছেন সে এলাকার ভূমি অফিসে গিয়ে। আপনি এই ভূমি অফিসের নির্দিষ্ট সংশ্লিষ্ট অফিসারগণকে ৮ নম্বর রেজিস্টার এর কথা বা খাস জমি খুঁজছেন এই বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তারা আপনাকে আট নাম্বার রেজিস্টার বুকটি তল্লাশি করে সেখান থেকে সে অঞ্চলের খাস জমিগুলি যে সকল রয়েছে সেই সকল জমির তথ্যগুলি প্রদান করবে।
উপরের এই মাধ্যমটি প্রথম মাধ্যম হিসেবে আঞ্চলিক ভাবে সরকারি খাস জমি চেনার উপায়। এছাড়াও জমির খতিয়ান নাম্বার এক হলে এবং দাগ নাম্বারের পাশে খাস উল্লেখ থাকলে সেটি কাজ জমি বলে বিবেচিত হবে। এবং জমির মালিকানা যাচাই করার মাধ্যমেও জমিটি খাস কিনা তা যাচাই করতে পারবেন। উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করেও খাস জমি চিনতে পারবেন।
এছাড়াও এলাকার মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খাস জমি চিনতে পারবে। যে অঞ্চলের খাস জমি কিনতে চাচ্ছেন এলাকার প্রভাবশালী অথবা যারা ওই অঞ্চলেই বসবাস করে আশেপাশে তাদের মালিকাধীন জমি রয়েছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করেও খাস জমি চিনতে পারবেন। খাস জমি সাধারণত বড় আকারের হয় এবং খাস জমির ফাঁকা থাকে কিংবা সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থাকে।
আশা করছি আপনারা যারা খাস জমি কি? খাস জমি চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন উপরের এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই যে কোন অঞ্চলের সরকারি খাস জমি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
খাস জমির বৈশিষ্ট্যসমূহ
প্রত্যেকটি সরকারি খাস জমির কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যা দেখে খুব সহজেই আপনি খাস জমি চিহ্নিত করতে পারবেন।
- খাস জমির মালিকানা একমাত্র সরকার।
- খাস জমি কোন প্রতিষ্ঠান বা মালিকানায় থাকবে না।
- খাস জমি যে অঞ্চলে সে অঞ্চলের জেলা প্রশাসকের আন্ডারে সংরক্ষিত থাকে।
- সাধারণত খাস জমি সমূহ ফাঁকা বা সরকারি বিভিন্ন নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান থাকে।
- খাস জমিতে কোন ধরনের খাজনা দিতে হয় না।
- খাস জমিগুলো সরকারি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।
উপরোক্ত এই বিষয়গুলি লক্ষ্য করে বা বুঝে বা দেখে খুব সহজেই খাস জমি চিহ্নিত করতে পারবেন।
খাস জমি কি বিক্রি করা যায়?
না, কোনভাবেই খাস জমি কখনো বিক্রি করা যায় না। কারণ খাস জমির মালিক শুধুমাত্র বাংলাদেশ সরকার। এই খাস জমিগুলো বিভিন্ন জনস্বার্থে কাজে ব্যবহৃত করা হয়। আর কেউ যদি খাস জমি কোন ব্যক্তি স্বার্থে বিক্রয় করার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক।
আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজের যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ
এরপরেও অনেক ব্যক্তি রয়েছে তারা খাস জমি নিজের বলে বিক্রি করার চেষ্টা করে এবং বিক্রয় করে অনেককে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় ফেলে দেয়। এজন্য জমি কিনার পূর্বে অবশ্যই খাস জমি কিনা তা উপরোক্ত নিয়ম অনুসরণ করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জমি ক্রয় করতে হবে।
খাস জমির খতিয়ান নাম্বার কত?
খাস জমির খতিয়ান নাম্বার ১।১ নাম্বার খতিয়ান বলতে বুঝায়? -এক নাম্বার খতিয়ান সরকারের খাস জমি কালেক্টর এর নামে এবং ১/১খতিয়ানে অর্পিত সম্প্রতি কালেক্টর এর রেকর্ড করা হয়.।
খাস জমির মালিক কে?
খাস জমির মালিক সরকার। খাস জমির কোন ব্যক্তির সম্পদ নয়। খাস জমি শুধুমাত্র সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে বিভিন্ন সময় স্থানীয় জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খাস জমি লিজ নিয়ে ভোগ দখল করা যায়।
খাস জমি নিজের নামে রেকর্ড করা যায় কিনা?
খাস জমি আপনি নিজের নামে রেকর্ড করতে পারবেন সেক্ষেত্রে কিছু শর্তসাপেক্ষে আপনাকে জেলা প্রশাসনে আবেদন করতে হবে।
খাস জমি কারা লিজ নিতে পারে?
যেকোনো বাংলাদেশের নাগরিক সর্বোচ্চ ১০০ শতক জমি সর্বোচ্চ ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিতে পারে। এজন্য খাস জমি লিজ নেওয়ার শর্তসাপেক্ষে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করতে হবে।
সরকারি খাস জমি দখল আইন
যেকোনো বাংলাদেশের নাগরিক অথবা যে কোন ব্যক্তি খাস জমি যদি দখল করে অর্থাৎ হাট বাজারে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল বা কোন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড অন্যথায় পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করিতে হবে।
এই আইন জাতীয় সংসদে বিল পাস করা হয়েছে ভূমি মন্ত্রী সাইফুর জামান চৌধুরী হাট ও বাজার স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩ বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
শেষ কথা :
আশা করছি আপনারা খাস জমি কি? খাস জমি চেনার উপায় থেকে শুরু করে খাস জমি সম্পর্কিত বিষয় গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। যদি আমাদের এই পোস্ট থেকে বিন্দু পরিমাণ খাস জমি সম্পর্কিত বিষয়ে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন এবং আমাদের পোস্ট কমেন্টসে একটি কমেন্টস করে যাবেন।
এছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন, খাস জমি রেকর্ড করার নিয়ম, খাস জমি বন্দোবস্ত বাতিল করার নিয়ম, হাস দমে দলিল করার নিয়ম, খাস জমি লিজ নেওয়ার নিয়ম এবং খাস জমি নাম জারি করার নিয়ম থেকে শুরু করে খাস জমি সম্পর্কিত সকল বিষয়গুলি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যাবেন।
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔
প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন টিকেট করার নিয়ম পিজি হাসপাতালে অনলাইন টিকিট বুকিং করার নিয়ম ইউনিক বাস অনলাইন টিকেট কাটার নিয়ম বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকিট কাটার নিয়ম জাতীয় জাদুঘর অনলাইন টিকেট করার নিয়ম
↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇
- ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇
➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন।
➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।