কম্পিউটারে বাংলা লেখার কিবোর্ড সফটওয়্যারগুলো ( অভ্র ও বিজয় বাংলা টাইপিং কিবোর্ড)

5/5 - (1 vote)

তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে দিন দিন কম্পিউটারের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কাছে কম্পিউটারে বাংলা লেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটারে বাংলা লেখার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি। এই সফটওয়্যার ব্যবহারগুলো দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে এই সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নিন।আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব কম্পিউটারে বাংলা লেখার কিবোর্ড সফটওয়্যার গুলো নিয়ে।

এই সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে থাকছে অভ্র ও বিজয় বাংলা সফটওয়্যার। যে সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে আমরা খুব সহজে কম্পিউটারে বাংলা লিখতে পারি। সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে ভালো করে জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

কম্পিউটার কি?

কম্পিউটার হল একটি গণনাকারী যন্ত্র বা ডিভাইস। এটি একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র বা ডিভাইস হিসেবে পরিচিত। এই ইলেকট্রনিক ডিভাইস এর সাহায্যে গণনা করা, ভিডিও অডিও ফাইল চালনা, গান শোনা অথবা যে কোন জটিল কাজের হিসাব নিকাশ করার মত কার্যাবলী সম্পাদিত হয়।কম্পিউটার এমন একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যার সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের তথ্য বা যেটা ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্ভুল ফলাফল আউটপুট হিসেবে প্রদান করে থাকে।Computer শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ computer থেকে।

কম্পিউটার এমন একটি ডিজিটাল ইলেকট্রনিক ডিভাইস যার মাধ্যমে বিভিন্ন এরিথমেটিক এবং লজিক্যাল অপারেশন স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে সম্পূর্ণ করার উদ্দেশ্যে প্রোগ্রাম করা যায়। অর্থাৎ কম্পিউটার হলো এমন একটি যন্ত্র যা সাধারন বাইনারি হিসাব নিকাশের মাধ্যমে বিলিয়ন ট্রিলিয়ন হিসাব নিমিষেই সমাধান করে দিতে পারে। বর্তমানে কম্পিউটারের কাজ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কম্পিউটারে বাংলা লেখার জন্য প্রয়োজন

১।কম্পিউটারে বাংলায় টাইপিং করার জন্য প্রথমে বাংলা কিবোর্ড সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।

২।কম্পিউটারের Microsoft windows word, windows excel, notepad এবং আরও সব ধরনের উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশন গুলোতে বাংলা লিখতে ও টাইপিং করতে পারবেন।

কম্পিউটারে বাংলা লেখার জন্য কি কি কিবোর্ড সফটওয়্যার আছে

১) Avro Keyboard

২) Bijoy Bayanno Keyboard

৩) Lipikaar Keyboard

৪) Borno keyboard

৫) Soumili Keyboard

৬) Akkhor Bangla Keyboard

কম্পিউটারে বাংলা লেখার কিবোর্ড সফটওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত-

১) Avro Keyboard

বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা কম্পিউটারে বাংলা টাইপিং করে তাদের বেশির ভাগ মানুষই অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করে থাকে । অভ্র কিবোর্ড যেমনঃ কম্পিউটার সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা রয়েছে তেমনি মোবাইলের ক্ষেত্রেও একই ।অভ্রতে লিখতে আপনার কোনোভাবে কিবোর্ড মুখস্থ করতে হবে না । বলা যায় বাংলিশ মানে ইংরেজিতে লিখলে সেটা বাংলায় কনভার্ট হয়ে যাবে । এই কিবোর্ড দিয়ে আপনি খুব সহজেই নির্ভুল বানান লিখতে পারবেন ।

Avro বাংলা কিবোর্ড সফটওয়্যার এর মাধ্যমে কিভাবে বাংলা টাইপিং করবেন সেই নিয়মগুলো জেনে নিন:

ধাপ ১: প্রথমে আপনাকে আপনার কম্পিউটারে Avro keyboard software ডাউনলোড করতে হবে। সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার পর এটি আপনি ইন্সটল করে নিন।

                       ডাউনলোড করুন-Avro keyboard software

ধাপ ২: সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার পর ওপরের দিকে একটি আইকন দেখতে পাবেন যেটা এই সফটওয়্যার থেকে দেওয়া। উপরের আইকন থেকে দেখতে পাবেন ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টি সেট করা রয়েছে। যদি আপনি কম্পিউটারে বাংলাতে টাইপিং করতে চান তাহলে অবশ্যই ইংলিশ লেখাতে ক্লিক করে বাংলা ভাষাটি সেট করে নিবেন। এছাড়াও কীবোর্ড থেকে F12 বাটন টিপলে নিজে নিজে Avro তে বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ সেট হয়ে যাবে। বাংলা ভাষা সেট হওয়ার পর উপরের আইকনটিতে ইংরেজির পরিবর্তে বাংলা লেখা দেখতে পারবেন।

ধাপ ৩: উপরের আইকনটিতে বাংলা ভাষা সেট হওয়ার পর আপনি যেই এপ্লিকেশনে বাংলা ভাষায় টাইপিং করতে চাচ্ছেন সেটা ওপেন করুন।এক্ষেত্রে আপনি যে কোন ইডিটিং এবং রাইটিং অ্যাপ বা সফটওয়্যার এর ব্যবহার করতে পারবেন।যেমন: মাইক্রোসফট অফিস, ওয়ার্ড, এক্সেল, নোটপ্যাড, অনলাইন রাইটিং সফটওয়্যার, বা ওয়ার্ডপ্রেস এডিটর Avro বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি বাংলায় লিখতে পারবেন।

ধাপ ৪: বাংলা টাইপিং করার সময় নিজের লেখার স্পেলিং সঠিক আছে কিনা কোন ভুল আছে কিনা সেটা চেক করবেন। আর এটা চেক করার জন্য আপনারা Avro Pad ব্যবহার করতে পারবেন। Avro কিবোর্ড সফটওয়্যার এর সাথেই এটি দেওয়া হয়। Avro প্যাড এ বাংলা টাইপিং করার পর সোজা spell check অপশনে ক্লিক করে আপনার লেখা প্রত্যেক শব্দের স্পেলিং সঠিক আছে কিনা সেটা চেক করে নিতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি যদি চান F7 button press করেও প্রত্যেক শব্দের বানান চেক করতে পারবেন।

আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজের যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ

২) Bijoy Bayanno Keyboard

বাংলাদেশের সরকারি সকল কাজে বাংলা লেখার জন্য যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা হয় সেটি হচ্ছে বিজয় বায়ান্ন । Mustafa Jabbar  2009 সালে ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা লেখার এই সফটওয়্যারটি উদ্ভাবন করেন ।এই সফটওয়্যারটি আপনি অনলাইন কিংবা অফ লাইনে ব্যবহার করতে পারেন । আমরা যেসব সাধারণ কিবোর্ড ব্যবহার করি সেখানে বাংলা লিখতে হলে আপনা বাংলা কিবোর্ড মুখস্থ করতে হবে । তাছাড়া আপনি লিখতে পারবেন না ।

বিজয় কিবোর্ড বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার এ কিভাবে বাংলায় কম্পিউটারের লিখবেন সেই নিয়মটি হলো:

ধাপ ১: প্রথমে আপনার কম্পিউটারে বিজয় বাংলা কিবোর্ড সফটওয়্যার টি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিবেন।

                                      ডাউনলোড করুন- Bijoy Bayanno Keyboard

ধাপ ২: বিজয় কিবোর্ডে বাংলা লেখার জন্য দুইটি পদ্ধতি দেওয়া আছে। একটি হলো বিজয় ক্লাসিক এবং অন্যটি হলো ইউনিকোড।মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে বাংলা লেখার ক্ষেত্রে বিজয় ক্লাসিক ব্যবহার করা হয় আর অনলাইনে কোথাও লেখার জন্য ইউনিক কোড টি ব্যবহৃত হয়।

ধাপ ৩: বিজয় কিবোর্ডটি আপনার কম্পিউটারের সেটআপ দেওয়া হয়ে গেলে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড চালু করুন।এই পর্যায়ে বিজয় ক্লাসিক অপশনটি চালু করতে আপনার কিবোর্ড থেকে ctrl+alt+b বাটন একসাথে চাপুন। বিজয় ক্লাসিকে লিখলে ডিফল্টভাবে SutonnyMJ ফন্টে লেখাগুলো দেখায়।

ধাপ ৪: অনলাইন অথবা অন্য কোথাও বিজয় কিবোর্ডে বাংলা লিখতে চাইলে ইয়উ কোড অপশনটি আপনাকে চালু রাখতে হবে। এজন্য কিবোর্ড থেকে ctrl+Alt+V বাটন একসাথে চাপতে হবেচব

ধাপ ৫:আপনার কম্পিউটারে টাইপিং করার জন্য বাংলায় থেকে পুনরায় ইংরেজিতে ফিরে যেতে যে মরে আছেন সেটার শর্টকাট কি চাপতে হবে। যেমন ধরুন ক্লাসিক বিজয় মোড থেকে বাংলায় ফিরে যেতে ctrl+Alt+B চাপতে হবে এবং ইউনিকোর্ট থেকে বাংলায় ফিরে যেতে ctrl+Alt+V চাপতে হবে।

৩) Lipikaar Keyboard

লিপিকার একটি ইন্ডিয়ান সফটওয়্যার । এখানে আপনি ১৯ টি ভাষায় কনভার্ট করতে পারবেন একই সফটওয়্যারের মাধ্যমে । এই সফটওয়্যারটি ইন্ডায়ার পাশাপাশি বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয় বাংলা লেখার  সফটওয়্যার হিসেবে ।এটা একটি অনলাইন ইন্টারফেস সফটওয়্যার আপনি চাইলেয় ইনস্টল না করেই এটি ব্যবহার করতে পারেন । যেকোনো জায়গায় বাংলা লিখতে আপনি এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন । আপনি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে চাইল প্রথম তিন দিন ফ্রি ব্যবহার করতে দিবে । পেইড ভার্সন ২৯৯ টাকা থেকে শুরু ।

৪) Borno keyboard

বর্ণ একটি বাংলা লেখার একটি ফ্রি সফটওয়্যার যা আপনি চাইলেই ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।উইন্ডোজ, উইন্ডোজ ভিস্টা ভার্সনে ব্যবহার করতে পারবেন।

৫) Soumili Keyboard

এই সফটওয়্যারটি একটি ইন্ডিয়ান সফটওয়্যার । এখানে বাংলা কিবোর্ড সফটওয়্যার  এর পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষার জন্য  সফটওয়্যার পেয়ে যাবেন ।আপনি এই সফটওয়্যারটি উইন্ডোজ ৭, ৮,১ ও ১০ এ ব্যবহার করতে পারবেন ৬৪ বা ৩২ বিটে । এক কম্পিউটারের জন্য লাইসেন্স নিতে হলে আপনাকে ১০০০ রুপি খরচ করতে হবে।

৬) Akkhor Bangla Keyboard

2003 সালে টেক্সট টু স্পিস  সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে তারা তাদের কার্যক্রম শুরু করে । এটা অনেক টা অভ্র কিবোর্ডের  মত কাজ করে থাকে । আপনি ইংরেজিতে লিখলে বাংলায় কনভার্ট হয়ে যাবে  কোনো প্রকার প্যাটার্ন ছাড়া । ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন ।

কম্পিউটারে বাংলা যুক্তবর্ণ লেখার সহজ নিয়ম 

১।কম্পিউটারে যদি আপনার নিয়মিত বাংলা লেখার বা টাইপিং করার প্রয়োজন থাকে তাহলে কোন অক্ষর দিয়ে কোন যুক্তবর্ণটি গঠিত হবে তা মনে রাখা একান্ত প্রয়োজন।

২।কিন্তু যারা বাংলা টাইপিং এর ক্ষেত্রে নতুন তাদের প্রথম প্রথম এটি মনে নাও থাকতে পারে।যার কারনে কম্পিউটারে বাংলা যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম পিডিএফ ফাইল কম্পিউটারে বা ফোনে ডাউনলোড করে রাখতে পারেন।

৩।যখন আপনি বাংলা টাইপিং করতে যাবেন তখন pdf ফাইল থেকে দ্রুত দেখে নিতে পারেন যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম। এতে আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং শ্রম দুটোই লাঘব হবে।

ল্যাপটপে বাংলা টাইপিং করার নিয়ম কি আলাদা?

না,কম্পিউটার এবং ল্যাপটপে বাংলা টাইপিং করার নিয়ম একই। ল্যাপটপে বাংলা টাইপিং করতে তেমন কোনো বাড়তি নিয়ম নেই তবে ল্যাপটপে যেহেতু বিল্ড ইন কিবোর্ড দেওয়া থাকে সে ক্ষেত্রে অনেকে হয়তো সেটা দিয়ে লিখতে চাইবেন। কিন্তু ওয়ালটন ছাড়া অন্যান্য ল্যাপটপের কিবোর্ডে বাংলা লে-আউট দেওয়া থাকে না। যদিও দেওয়া থাকে ল্যাপটপের বিল্ট ইন কিবোর্ডে লিখে তৃপ্তি পাওয়া যায় না। তাই যারা ল্যাপটপে বাংলা টাইপিং করতে চান তারা একটি বাংলা লেগ আউট সম্বলিত এক্সটার্নাল কিবোর্ড কিনে নিবেন।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ও উওর

১।বাংলা লেখার পদ্ধতির নাম কি?

উত্তরঃPhonetic (ফনেটিক): Phonetic হলো উচ্চারণের সাথে সঙ্গতি রেখে বানার পদ্ধতি। যেমন- ‘আমি’ শব্দটি ইংরেজি অক্ষরে ‘Ami’ লিখতে হয়। এভাবেই phonetic পদ্ধতিতে বাংলা লিখতে হয়। Phonetic পদ্ধতিতে বাংলা টাইপ করার জন্য আলাদা ভাবে কীবোর্ড মুখস্থ করার প্রয়োজন নেই।

২।বাংলা টাইপ করার জন্য সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত ফন্টের নাম কি?

উত্তরঃএ অবস্থায় বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় লিখার বাংলা ফ্রন্ট হলো অভ্র। অভ্রতে লিখার অনেক সুবিধা। যারা বাংলা বিজয় এ এক্সপার্ট না তাদের জন্য অভ্র ফ্রন্ট বেশি সহজ।

৩।বিজয় কিবোর্ড এর জনক কে?

উত্তরঃ তার প্রতিষ্ঠানের বিজয় বাংলা কিবোর্ড ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় যা ইউনিকোড ভিত্তিক অভ্র কী-বোর্ড আসার পূর্ব পর্যন্ত বহুল ব্যবহৃত হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও সাধারণ বিষয়ের ওপর অনেকগুলো বইয়ের লেখক তিনি। তথ্যপ্রযুক্তি জগতে বাংলা ভাষা জনপ্রিয়করণে জব্বার একজন পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচিত হন।

৪।কম্পিউটারে বাংলা কীবোর্ড ইনস্টল করবেন কিভাবে?

উত্তরঃ উইন্ডোজ টাস্কবারের ডানদিকে সিস্টেম ট্রেতে অবস্থিত ল্যাঙ্গুয়েজ ইন্ডিকেটরে ক্লিক করুন বা নিচের মত ল্যাঙ্গুয়েজ বারে ক্লিক করুন এবং BN-Bengali (ভারত) নির্বাচন করুন। 3. প্রদর্শিত শর্টকাট মেনু থেকে বাংলা ইন্ডিক ইনপুট 2 নির্বাচন করুন। পিসি এখন বাংলায় টাইপ করা শুরু করার জন্য প্রস্তুত।

৫।প্রথম বাংলা কীবোর্ড লেআউট তৈরি হয় কত সালে?

উত্তরঃ মুনীর-অপটিমা টাইপরাইটারে ব্যবহৃত বাংলা লেআউট থেকে মুনীর কিবোর্ডের উৎপত্তি। ১৯৬৫ সালে মুনীর চৌধুরী এই কিবোর্ডটি উন্নয়ন করেন। তার এই কাজে তাকে সহায়তা করে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড। পরে জার্মানির একটি টাইপরাইটার কোম্পানির সাথে যৌথভাবে এই লেআউটটি টাইপরাইটারে ব্যবহৃত হয়, যা মুনীর-অপটিমা নামে পরিচিত ছিল।

৬।ইউনিকোড লেখার কীবোর্ড কোনটি?

উত্তরঃ বিজয় কিবোর্ড হল মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস এবং লিনাক্সের জন্য একটি গ্রাফিক্যাল লেআউট পরিবর্তক এবং ইউনিকোড ও এএনএসআই সমর্থিত বাংলা লেখার সফটওয়্যার। ইউনিকোড ভিত্তিক অভ্র কী-বোর্ড আসার পূর্বপর্যন্ত বিজয় কিবোর্ড বহুল ব্যবহৃত হতো।

৭।কি বোর্ডে মোট কতটি কি আছে?

উত্তরঃ কী-বোর্ডে ৮৪ থেকে ১০১টি বা কোন কোন কী-বোর্ডে ১০৪ টি কী আছে। ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কী-বোর্ডকে মোটামুটি ৫টি ভাগে ভাগ করা যায়।

শেষ কথা

আশা করি আজকের পোস্টটি থেকে আপনারা কম্পিউটারের বাংলা লেখার সফটওয়্যার সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার কম্পিউটারের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেমন বাংলা লেখার জন্য আমাদের প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার। বাংলা লেখার জন্য আমরা সাধারণত অভ্র ও বিজয় বাংলা কিবোর্ড সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে থাকি। যা সকলের কাছে অনেক পরিচিত। এই দুটি ব্যবহার করে খুব সহজে বাংলা লেখা যায়। তাই আজকের পোস্টে আমরা এই দুইটি সফটওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি এরকম সুন্দর সুন্দর পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-

↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇

  • ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন

↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇

➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন

➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

আসসালামু আলাইকুম, আমি একজন অনলাইন কনটেন্ট রাইটার। আমার লেখাগুলো পড়ে বিন্দুমাত্র আপনার কোন উপকারে আসলে অবশ্যই পোস্টটিতে কমেন্টস করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

Leave a Comment