আমাদের দৈনন্দিন অনেক কাজের ক্ষেত্রে এখন কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়। কম্পিউটারের মাধ্যমে খুব দ্রুততার সাথে সবকিছু গণনা করা যায়। কম্পিউটার আবিষ্কার করার পর থেকে গণনার কাজ খুবই সহজ হয়েছে এবং এর ব্যবহার দিন দিন অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষই কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়।
আপনারা যদি কম্পিউটার ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে প্রথমে কম্পিউটারের সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে বা কম্পিউটারের কি কি অংশ রয়েছে এই সকল বিষয়ে সম্পর্কে জানতে হবে। অন্যথায় আপনারা আপনাদের কম্পিউটার ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না।
কম্পিউটারের যন্ত্রাংশের দাম জেনে বিডিস্টল এর ওয়েব সাইট থেকে।
তাই আমরা আজকে এখানে কম্পিউটারের প্রধান অংশ কয়টি এ বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। এছাড়াও আমরা এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো যে কম্পিউটারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ কয়টি এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ এবং অংশগুলোর কাজ সম্পর্কে।
কম্পিউটার কি?
আমাদের দৈনন্দিন কাজকে সহজ ভাবে পরিচালনা করার জন্য অন্যতম একটি ডিভাইসের নাম হচ্ছে কম্পিউটার।Computer শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ computare থেকে। এর ইংরেজি অর্থ to computer যার বাংলা হল গণনার জন্য। কম্পিউটার এমন একটি ডিজিটাল ইলেকট্রনিক ডিভাইস যার মাধ্যমে বিভিন্ন এরিথমেটিক এবং লজিক্যাল অপারেশন স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে সম্পূর্ণ করার উদ্দেশ্যে প্রোগ্রাম করা যায়।
অর্থাৎ কম্পিউটার হলো এমন একটি যন্ত্র যা সাধারন বাইনারি হিসাব নিকাশের মাধ্যমে বিলিয়ন ট্রিলিয়ন হিসাব নিমিষেই সমাধান করে দিতে পারে। বর্তমানে কম্পিউটারের কাজ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকোনো কঠিন কাজ সহজে এবং কম সময়ে করতে কম্পিউটারের সাহায্য নেওয়া হয়। মানুষের দৈনন্দিন জীবন এখন কম্পিউটার নির্ভর। পুরো বিশ্বের খবরা-খবর ঘরের মধ্য বসে পেতে চাইলে কম্পিউটার একটি অন্যতম মাধ্যম।
কম্পিউটারের কিভাবে কাজ করে
বর্তমান সময়ে আমরা কম্পিউটারের কিবোর্ড, মাউস ব্যবহার করে কিছু তথ্য মনিটরের মাধ্যমে দেখতে পারি। আমরা যে কোন কাজের জন্য কম্পিউটারকে নির্দেশ দিয়ে থাকি। আমরা যে নির্দেশ গুলো দিয়ে থাকি সেই বিষয় গুলো মনিটরে স্ক্রিনে দেখায়।এই প্রক্রিয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ইনপুট প্রসেসিং, আউটপুট প্রেসেসিং। মনে করুন একটি কম্পিউটারকে নির্দেশ দেওয়া থেকে শুরু করে সেখানে সমাধান পাওয়া পর্যন্ত কাজ করে থাকে।
এজন একটি কম্পিউটারে তথ্য নেওয়া থেকে শুরু করে সেই তথ্য ব্যবহার করে তার রেজাল্ট প্রকাশ করতে কম্পিউটারের অনেক গুলো যন্ত্রাশের উপার নির্ভর হতে হয়।আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানাবো কম্পিউটারের প্রধান অংশ কয়টি ও কি কি? এই তথ্য গুলো এক সাথে পেতে নিচের অংশ অনুসরণ করুন।
কম্পিউটারের প্রধান অংশগুলো
কম্পিউটার হল এক ধরণের মেশিন যা একটি অ্যালগরিদম যা গাণিতিক নির্দেশাবলী দিয়ে প্রোগ্রাম করা হয়, যা মানুষের চেয়ে অনেক দ্রুত গণনা করতে সক্ষম।এবং, যদি এই মেশিনে 4টি মৌলিক সাধারণ অংশ থাকে, তবে এটি কম্পিউটার বা মেশিন হিসাবে বিবেচিত হয়।
কম্পিউটারের এই ৪টি অংশ হল –
১. ইনপুট ইউনিট,
২. মেমোরি বা স্টোরেজ ইউনিট,
৩. প্রসেসিং ইউনিট এবং
৪. আউটপুট ইউনিট।
যেহেতু কম্পিউটারগুলি ইনপুট-প্রসেস-আউটপুট পদ্ধতি অনুসারে কাজ করে, তাই তারা প্রক্রিয়াটির প্রতিটি ধাপ সম্পূর্ণ করতে এক বা একাধিক ডিভাইস বা উপাদান ব্যবহার করে।অতএব, আমরা কম্পিউটার প্রক্রিয়াগুলির সাথে সাদৃশ্যে এই অংশগুলি বা উপাদানগুলি নিয়ে আলোচনা করব।
১. ইনপুট ইউনিট:
প্রথমত, আমরা যখন কম্পিউটারে কিছু তথ্য বা কমান্ড পাঠাই, সেই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ইনপুট প্রক্রিয়া।
আর কম্পিউটারে তথ্য দেওয়ার জন্য আমরা যে সমস্ত যন্ত্রাংশ বা ডিভাইস ব্যবহার করি, সেই ডিভাইসগুলো হল ইনপুট ইউনিট বা ইনপুট ডিভাইস।
বৈশিষ্ট্য:
- মূলত, ইনপুট ইউনিটের মাধ্যমে কম্পিউটার সিস্টেমে নির্দেশ, তথ্য বা সংকেত পাঠানো হয়।
- ইনপুট ডিভাইসগুলি কম্পিউটার সিস্টেমে পাঠ্য, ছবি, ভিডিও বা শব্দের মতো তথ্য পাঠাতে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: এই ইনপুট ইউনিটগুলির মধ্যে প্রধান হল কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, ডিজিটাল ক্যামেরা, জয়স্টিক, মাইক্রোফোন এবং অন্যান্য।
ইনপুট ডিভাইসের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন ভাগে কাজ করতে সক্ষম যেমন –
কীবোর্ড (Keyboard):
সবাই জানি, কোন কিছু লেখা কোন কিছু, কোনো কিছু সংখ্যা কোনো বিশেষ চিত্র ইত্যাদি লেখার জন্য কিন্তু আমরা কিবোর্ডে টাইপ করে থাকি।
মাউস (Mouse)
লেখার পাসওয়ার্ড যখন আমরা কম্পিউটারকে বিভিন্ন টার্গেট দিয়ে থাকি, যেমন কোন কিছুতে ক্লিক করা স্ক্রল ডাউন করা, এই সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজ করার জন্য আমরা কিন্তু মাউসের ব্যবহার করে থাকি।
টাচস্ক্রিন (Touchscreen)
বর্তমানে যে টেকনোলজি খুব উন্নত হচ্ছে তার কোন সন্দেহ নেই, । তার বড় একটি উদাহরণ টাচ স্কিন এর সাহায্যে আপনি লেখালেখির পাশাপাশি ক্লিক করা, স্ক্রল ডাউন, চিত্র আঁকা সবকিছু করতে পারবেন।
স্ক্যানার (Scanner)
আমরা যদি কোন কিছু ডকুমেন্টকে ভার্চুয়াল ভাবে কাউকে পাঠাতে চাই, তার জন্য কিন্তু আমরা স্ক্যানার ডিভাইসে ব্যবহার করে থাকি।
মাইক্রোফোন (Microphone)
ঠিক একই রকম ভাবে বিভিন্ন ভয়েস ইনপুট করার জন্য আমরা মাইক্রোফোন ইনপুট ডিভাইসের ব্যবহার করে থাকি।
উইবক্যাম (Webcam)
যখন আমরা কোন কিছু ছবি ক্যাপচার করি, বা বিভিন্ন ভিডিও করে এক জায়গা থেকে অন্য কারো সঙ্গে কথা বলি তখন কি তোমাদের উইবক্যামইনপুটমেন্ট এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
২. মেমোরি বা স্টোরেজ ইউনিট:
স্টোরেজ ইউনিট কম্পিউটার সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।এই অংশে কম্পিউটার সমস্ত নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম, বিভিন্ন তথ্য এবং ফলাফল সংরক্ষণ করতে পারে।আমরা যেমন আমাদের মাথায় সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করি এবং প্রয়োজনে সেই তথ্যের উপর কাজ করি, তেমনি কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের স্টোরেজ ইউনিট ডেটা প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করে।এই ইউনিট ছাড়া কোনো কম্পিউটার চলতে পারে না।একটি স্টোরেজ ইউনিট ডেটা ফাইল সংরক্ষণ, পোর্ট এবং নিষ্কাশন করতে ব্যবহৃত হয়।
এই মেমোরি বা স্টোরেজ ইউনিট দুই ধরণের হয়-
প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইস এবং সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস।এই প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইসগুলির মধ্যে রয়েছে RAM (র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমরি) এবং রম (অনলি-পঠন মেমরি)।
RAM:
RAM হল অস্থায়ী মেমরি, যেটি যেকোন কম্পিউটার দ্বারা যেকোন সক্রিয় প্রোগ্রামের সাথে সম্পর্কিত তথ্য, ডেটা বা নির্দেশাবলী প্রক্রিয়া করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
RAM মূলত কম্পিউটারের একটি “short-term memory”।
ROM:
অন্যদিকে, রম হল কম্পিউটার মেমরির ধরন, যেখানে সংরক্ষিত ভবতথ্য কখনও মুছে ফেলা বা পরিবর্তন করা যায় না। আমরা শুধুমাত্র ROM এ থাকা তথ্যগুলো পড়তে বা ব্যবহার করতে পারি।এবং, এই মেমরিতে থাকা তথ্য শুধুমাত্র কম্পিউটার প্রস্তুতকারকের দ্বারা হার্ডওয়্যারে লোড করা হয় যখন কম্পিউটার তৈরি করা হয়।রম একটি কম্পিউটার চালু করার জন্য সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী ধারণ করে, যা একটি কম্পিউটার বুট করার সময় কোনো মানুষের সাহায্য ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহার করে।
এই ROM প্রধানত দুই ধরনের হয়।
এছাড়াও, অতিরিক্ত মেমরি কম্পিউটারের মধ্যে বাহ্যিকভাবে সংরক্ষণ করা যেতে পারে, যাকে আমরা টারশিয়ারি মেমরি বলি।
বৈশিষ্ট্য:
- আমরা স্টোরেজ ডিভাইস থেকে ডেটা সংরক্ষণ করতে পারি এবং প্রয়োজনে এটি প্রতিস্থাপন করতে পারি।
- স্টোরেজ ইউনিট পঠনযোগ্য, লিখনযোগ্য এবং পুনর্লিখনযোগ্য। অর্থাৎ, প্রয়োজন না হলে আমরা মুছে ফেলতে পারি বা সঞ্চিত তথ্য স্থানান্তর করতে পারি।
উদাহরণ:
সিডি, ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ,হার্ড ড্রাইভ ডিস্ক, ফ্লপি ডিস্কস, ও অন্যান্য।
হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ (Hard Disk Drive, HDD)
আমরা সবাই কিন্তু কম বেশি এই হার্ডডিস্ক পরিচিতি। অর্থাৎ যখন আমরা কোন কিছু তথ্য সঞ্চয় করতে চাই তখন কিন্তু হার্ডডিক্স এর বিভিন্ন সার্কিট বা ডিস্ক থাকে তার মধ্যে দীর্ঘ সময়ের জন্য আমাদের ডেটা গুলো সংযোগ থাকে। তবে হার্ডডিস্ক এর ডেটা গুলো লোড হতে অনেকটা সময় নেয়।যতকিছু আমরা অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি তার সবটাই কি কিন্তু আমাদের স্টোরেজ ডিভাইসের মধ্যে থাকে।
সলিড স্টেট ড্রাইভ (Solid State Drive, SSD):
এটিও হার্ডডিক্স এর মত সমান ভাবে কাজ করে, তবে এক্ষেত্রে এই স্টোরেজ ডিভাইসের মধ্যে বিভিন্ন সার্কিট থাকে যার সাহায্যে দ্রুত আমরা কাজ করতে পারি, এবং এটি হার্ডডিস্কের তুলনায় অনেক ছোট ও তুলনামূলক কম ভারী হয়ে থাকে।
আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজের যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ
৩. প্রসেসিং ইউনিট:
আমরা ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে যে তথ্য বা ডেটা প্রেরণ করি তা প্রক্রিয়া করার জন্য কম্পিউটারের একটি প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট প্রয়োজন।যেহেতু কম্পিউটারগুলি গাণিতিক এবং প্রতীকী ভাষায় কাজ করে এবং যখন আমরা তথ্য ইনপুট করি, তখন আমরা তা আমাদের নিজস্ব মানব ভাষায় ইনপুট করি, তাই কম্পিউটারকে আমাদের ভাষাকে গাণিতিক প্রতীকে রূপান্তর করতে হবে।অন্যথায়, যন্ত্র হিসাবে কম্পিউটার কখনই মানুষের ভাষায় প্রেরিত তথ্য সরাসরি প্রক্রিয়া করতে পারে না।এই কারণে, কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট প্রয়োজন।এই কাজের জন্য কম্পিউটারে একটি সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU) আছে।
CPU মূলত যেকোন ধরনের জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং কম্পিউটার মনিটরে কাঙ্খিত ফলাফল প্রদর্শনের জন্য জটিল ডেটা ব্যবহার করতে পারে এবং আমাদের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী কাজও করতে পারে।CPU হল ইনপুট এবং আউটপুট ইউনিটের মধ্যে ইন্টারফেস, যার কাজ হল ইনপুট ডিভাইস থেকে ডেটা গ্রহণ করা, এটি প্রক্রিয়া করা এবং ফলাফল আউটপুট ডিভাইসে পাঠানো।
এই সিপিইউ–এর তিনটি প্রধান অংশ থাকে, সেগুলো হল –
- মেমোরি ইউনিট,
- কম্যান্ড ইউনিট
- লজিকাল এন্ড এরিথমেটিক ইউনিট।
CPU এর মধ্যে সাধারণত তিনটি অংশ থাকে-
অ্যারিথমেটিক এন্ড লজিক ইউনিট (Arithmetic and Logic Unit, ALU):
এটি হলো কম্পিউটারের প্রসেসিং ইউনিটের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ অ্যারিথমেটিক এন্ড লজিক ইউনিট বা ALU। এর সাহায্যে সি পি ইউ বিভিন্ন সংখ্যাগ্নিতিক গণনা বা লজিক্যালি কোনো কাজ করতে পারে। বিভিন্ন অ্যারিথমেটিক অপারেশন (যেমন যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ) সহজেই করতে পারবে।
কন্ট্রোল ইউনিট (Control Unit)
cpu মধ্যে থাকা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল – কন্ট্রোল ইউনিট। এই কন্ট্রোল ইউনিট কন্ট্রোল (CU) প্রসেসিং ইউনিট (CPU) থেকে বিভিন্ন নির্দেশ নিয়ে তা কাজ করে। অর্থাৎ যখনই কোনো কিছু ইনপুট দিয়ে থাকি, সেগুলিকে বাইনারিতে বাইনারি অর্থাৎ কম্পিউটারের ভাষা তে কম্পিউটার কে বোঝানো।
রেজিস্টার (Register)
রেজিস্টার এর প্রধান কাজ হল কম্পিউটারে ইন্টারনাল থেকে বিভিন্ন কাজগুলিকে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়া, অর্থাৎ কম্পিউটারের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি যদি ক্যালকুলেটরে ফুলের যোগ-বিয়োগ গুন করতে চায়, তাহলে এই রেজিস্টার কম্পিউটারের ALU অংশে সেই কাজটিকে পাঠিয়ে দেবে।ও তার পাশাপাশি কম্পিউটারের প্রসেসিং ইউনিট যাতে খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে তার জন্য তাকে সিদ্ধান্ত দিতে হয় কোন সময় কোন কাজটি করলে দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
বৈশিষ্ট্য:
- সিপিইউ একই গতি এবং নির্ভুলতার সাথে এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে লক্ষ লক্ষ কাজ বা গণনা করতে পারে।
- প্রসেসিং ইউনিট 100% নির্ভুলতার সাথে গণনা করতে সক্ষম যদি না আমাদের দেওয়া তথ্যে কোনো ত্রুটি থাকে।
৪. আউটপুট ইউনিট:
আউটপুট ইউনিট হল এমন ডিভাইস যার মাধ্যমে আমরা কম্পিউটার প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল দেখতে, পড়তে বা শুনতে পারি।কম্পিউটার সবসময় মানুষের বোধগম্য ভাষায় এই ফলাফল পাঠায়।আউটপুট ডিভাইসগুলি অডিও, ভিজ্যুয়াল সফ্ট কপি এবং হার্ড কপি সহ অগণিত ফর্ম্যাটে ডেটা সরবরাহ করতে পারে।
বৈশিষ্ট্য:
- আউটপুট ইউনিট সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট থেকে আউটপুটকে একটি ফরম্যাটে বা মিডিয়ামে রূপান্তর করে যা আমরা বুঝি।
উদাহরণ:
প্রজেক্টর, প্রিন্টার,স্পিকার, মনিটর, হেডফোন, ও ইত্যাদি।
কম্পিউটার সিস্টেম থেকে আশা বিভিন্ন তথ্য দেখার জন্য যে সমস্ত ডিভাইসের আমরা ব্যবহার করে থাকি সেই সব ডিভাইসকে আউটপুট ডিভাই বলা হয়ে থাকে। এবং এই ডিভাইসের মধ্যে অনেকগুলি ভাগ রয়েছে যেমন –
মনিটর (Monitor)
এই আউটপুট টিএইচ ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন ভিডিওসহ চিত্র আমরা দেখতে পাই।
প্রিন্টার (Printer)
কোন কিছু ভার্চুয়াল কাগজ বা ডকুমেন্ট ফিজিক্যাল ভাবে হাতে দেখার জন্য ওরা প্রিন্টার ব্যবহার করে থাকি।
স্পিকার (Speaker)
স্পিকার সম্পর্কে তোমরা সবাই জানে, কোন কিছু শব্দ সম্পর্কিত শুনতে গেলে আমাদের স্পিকারের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ও উওর
1.কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি ?
Ans: কম্পিউটারের প্রধান চারটি অংশ। যথা—
(1) কেন্দ্রীয় সঞ্চালন একক (Central Processing Unit, CPU)
(2) প্রবেশ একক (Input Unit)
(3) প্রস্থান একক (Output unit) এবং
(4) বহুল সঞ্চয় একক (Mass Storage Unit)
2.Cpu এর বিভিন্ন অংশের নাম কি ?
Ans: CPU হল কম্পিউটারের মস্তিষ্ক। একে অনেক সময় মাইক্রোপ্রসেসর বলা হয়। CPU-এর প্রধান তিনটি অংশ –
(1) গাণিতিক যুক্তি একক (Arithmetic Logic Unit বা ALU),
(2) নিয়ন্ত্রণ একক (Control Unit বা CU) এবং
(3) মুখ্য স্মৃতিভাণ্ডার (Primary Storage Unit বা Memory) I
কম্পিউটারের প্রসেসিং অংশ থাকে সিস্টেম ইউনিটের ভিতরে। এর বিভিন্ন অংশগুলি হল –
(1) এস এম পি এস (SMPS বা Switched Mode Power Supply),
(2) হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ,
(3) মাদারবোর্ড,
(4) র্যাম (RAM),
(5) রম (ROM),
(6) অ্যাড অন কার্ডস (যেমন – গ্রাফিক্স কার্ড, মোডেম ইত্যাদি)।
3.কম্পিউটারের রম কি ?
Ans: Read Only Memory বা ROM কি-বোর্ড ও মনিটরের বহারযোগ্যতা ও কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করে। ROM পরীক্ষা করে যে তথ্য পায়, তা সমস্ত Port-এ পৌঁছে দেয় এবং অপারেটিং সিস্টেম লোড করতে শুরু করে।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও ROM-এ সঞ্চিত তথ্য মুছে যায় না। ROM-এর প্রধান কাজ — POST (Power On Self Test), RAM Test, BOOTING, অপারেটিং সিস্টেমকে কম্পিউটারের প্রধান মেমরিতে এনে প্রক্রিয়াকরণ শুরু করা।
4.কম্পিউটারে ram এর কাজ কি ?
Ans: Random Access Memory বা RAM-এ বৈদ্যুতিক চার্জের ভিত্তিতে তথ্য সঞ্চিত থাকে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে RAM-এ সঞ্চিত তথ্য মুছে যায়।
5.ইনপুট ইউনিট এর কাজ ?
Ans: ইনপুট ইউনিটের প্রধান কাজ হল –
(1) বাইরে থেকে কোনোতথ্য ও নির্দেশ গ্রহণ করা,
(2) সেই তথ্য ও নির্দেশকে বাইনারিফর্মে রূপান্তর করা এবং
(3) পরিবর্তিত তথ্য ও নির্দেশকে কম্পিউটারে প্রেরণ করা।
6.কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস গুলো কি কি ?
Ans: কয়েকটি ইনপুট ডিভাইস –
- কি-বোর্ড,
- পাঞ্জড কার্ড রিডার,
- পেপার টেপ রিডার,
- মাইক্রোফোন,
- লাইট এবং টার্মিনাল,
- ভয়েস ইনপুট সিস্টেম,
- ম্যাগনেটিক টেপ ড্রাইভ,
- ম্যাগনেটিক ডিস্ক ড্রাইভ,
- মাউস,
- জয় স্টিক
7.আউটপুট ডিভাইস এর কাজ কি ?
Ans:
আউটপুট ইউনিটের প্রধান কাজ হল –
- কম্পিউটারের আউটপুট নিজে গ্রহণ করা,
- যন্ত্রের ভাষায় তৈরি তথ্যাদিকে বোধগম্য ভাষায় পরিবর্তিত করা,
- পরিবর্তিত তথ্যাদিপ্রদর্শিত বা মুদ্রিত করা।
শেষ কথা
একটি মৌলিক কম্পিউটারের এই চারটি অংশ থাকতে হবে, অন্যথায় মেশিনটি চলতে পারে না।আশা করি আজকের পোস্টটি থেকে আপনারা কম্পিউটারের প্রধান চারটি অংশের সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য অংশগুলো জানা অত্যন্ত জরুরী। এ সম্পর্কে যদি আরো কোন জিজ্ঞাসা বা বিস্তারিত জানতে চান তবে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করবেন। আর আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔
প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-
প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল নাম্বার জেনে নিন-২০২৪ পূবালী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত
↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇
- ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇
➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন।
➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।