এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

Rate this post

এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম-এম এম কিট হলো অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণকে বিনষ্ট করার ঔষধ। কোন মহিলা যদি সন্তান নিতে না চায় অথচ ভুলবশত অন্তঃসত্তা হয়ে যায় তাহলে সেই গর্ভধারণ নষ্ট করে নিয়মিত মাসিক হওয়ার জন্য এম এম কিট খেয়ে থাকেন। এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো একজন নারীর গর্ভধারণের ৯ সপ্তাহের মধ্যেও বা ৬৩ দিনে এটি খেতে হয়।অনাকাঙ্ক্ষিত বা ভুলবশত কোনো নারী গর্ভবতী হয়ে গেলে এম এম কিট খাওয়া হয় দ্রুত গর্ভপাত করানোর জন্য এবং নিয়মিত মাসিক হওয়ার জন্য।

এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে যদি আপনি খান তাহলে এটি খাওয়ার পর ২৪ ঘন্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রক্তপাত শুরু হবে।আপনি যদি নিশ্চিত হন আপনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেছেন এবং গর্ভপাত করাতে চাচ্ছেন তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন এবং এম এম কিট আপনার জন্য খাওয়া উচিত হবে কিনা এবং এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই কিট খাওয়া শুরু করবেন।

আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের সমস্যায় নারীরা ভোগে থাকেন। ভুলবশত অনেক সময় এই অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেগনেন্সির জন্য তাদেরকে পস্তাতে হয়।এমতবস্থায় বেশিরভাগ নারী গর্ভপাত করানো সিদ্ধান্তকে বেছে নেয়। তাই আজকের আর্টিকেলে বিশেষ করে যারা এই ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য আলোচনা করব এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।

এম এম কিট হলো জন্মনিয়ন্ত্রণ এমন জন্মনিয়ন্ত্রণ বরি যা প্রেগন্যান্ট হওয়ার পরে খাওয়া হয় গর্ভপাত এবং মাসিক নিয়মিত হওয়ার জন্য। তবে এটি খাওয়ার পূর্বে এম এম খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী।আশা করব আজকের আর্টিকেলের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন এবং এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে অজানা অনেক কথা জানতে পারবেন।

এম এম কিট কি

গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ পাওয়া যায় যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং কার্যকর ওষুধের নাম এম এম কিট।এম এম কিট নাম হয়তো অন্যের মুখে অনেকবার শুনেছেন কিন্তু এই ওষুধটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না এদের সংখ্যা বেশি।এম এম কিট ট্যাবলেট মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে যথা:-১)মিফে প্রিস্টোন ২০০ মি.গ্রা. একটি বড় ট্যাবলেট, ২)মেসোপ্রোস্টল ২০০ মাইক্রো.গ্রা. ৪টি ছোট ট্যাবলেট।

এম এম কিট নামক ওষুধটি জিসকা ফার্মাসিকিউটিক্যালস লিমিটেড এর দ্বারা উৎপাদিত হয়ে বাজারে এসেছে।এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম অনুসরণ না করলে গর্ভপাত না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ নষ্ট করার জন্য সঠিক নিয়ম মেনে এম এম কিট খেতে হবে এবং এর জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এটি সেবন করতে হবে।

এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম

ইচ্ছাকৃত গর্ভপাত ঘটাতে চাইলে এম এম কিট নামক ঔষধ খাওয়া হয়। সাধারণত এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম অনুসরণ না করলে গর্ভপাত হয় না। কোন মহিলা যদি গর্ভধারণের নয় সপ্তাহের মধ্য এই এম এম কিট তাহলে তার নিরাপদভাবে গর্ভপাত ঘটতে পারে।এইজন্য এমএম কিট সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন দেখে নেই এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়মগুলো কি কি:

👉এম এম কিট খেয়ে গর্ভপাতের আগে আপনাকে ডাক্তারের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে এবং নিশ্চিত হতে হবে আপনি গর্ভবতী কিনা।

👉আপনি যদি নিশ্চিত থাকেন আপনি গর্ভবতী এবং এই বিষয়ে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন যে আপনি গর্ভপাত করাতে চান তাহলে আপনার গর্ভধারণের ৯ সপ্তাহ অর্থাৎ ৬৩ দিনের মধ্যো এম এম কিট খেতে হবে।

👉একটি এম এম কিট প্যাকেটের মধ্যে ৫টি ট্যাবলেট পাওয়া যাবে একটি বড় ট্যাবলেট এবং ৪টি ট্যাবলেটই ছোট।

👉প্রথমে ৫টি ট্যাবলেটের মধ্যে থাকা বড় ট্যাবলেটটি খেতে হবে। এরপর ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলে চারটি ট্যাবলেট রয়েছে সেই ট্যাবলেটগুলো মুখের ভেতরে নিয়ে মুখের মধ্যে রেখে দিবেন। ট্যাবলেট মুখের মধ্যে গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।এতে আপনার ৩০ মিনিটের মত সময় লাগতে পারে।

👉ট্যাবলেট মুখে রাখা অবস্থায় থুথু পর্যন্ত যাবেনা। ট্যাবলেটটি যদি আধা ঘন্টার বেশি মুখের মধ্যে রেখে দেওয়ার পরেও গোলে না যায় তাহলে তা পানি দিয়ে খেয়ে।

👉এম এম কিট প্যাকেট এর বড় ট্যাবলেটটি ডাক্তারের সামনে বসেই খাওয়া উত্তম।

এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম অনুসরণ করলে ওষুধ খাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার গর্ভপাত হবে। গর্ভপাত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিন্ত হওয়ার জন্য ডাক্তারের নিকট গিয়ে চেক আপ করে নিবেন।

এম এম কিট খাওয়ার পর সাধারণত কতদিন রক্তপাত হয়

এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে খেলে অবশ্যই কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আপনার রক্তপাত হবে এবং গর্ভস্থ বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাবে।সাধারণত দেখা যায় ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই গর্ভপাত হয়ে যায়।আবার কারো কারো যে আগে বা পরে হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় এম এম টিক খাওয়ার সাতদিন পর্যন্ত সময় লেগে যায় হতে। এম এম কিট খাওয়ার পর তপাত হলে তা সাধারণত ১-২ সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে।

তবে এর চেয়ে বেশি দিন যদি স্থায়ী হয় তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে। মনে রাখবেন এম এম কিট খাওয়ার পর রক্তপাত পেটের নিচের অংশে ব্যথা অনুভব হতে পারে।তবে রক্তপাত হওয়ার সময় কেউ যদিঅনেক বেশি অস্বস্তি অনুভব করে কিংবা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

এম এম কিট খাওয়ার পর মাসিক না হলে করণীয়

সাধারণত এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানা থাকলে এবং তা মেনে কিট খেলে ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই রক্তপাত হবে। তবে যদি দেখেন এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে তারপরেও রক্তপাত হচ্ছে না তাহলে আপনার গর্ভপাত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে নিতে হবে।

এছাড়াও অন্যান্য পরামর্শ ওর জন্য চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে।এম এম কিট খেলে এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত হালকা কিংবা ভারী রক্তপাত ঘটবে। এটি নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।এম এম কিট খাওয়ার পর গর্ভপাত হওয়ার বেশ কিছুদিন পরে মাসিক হয়। অর্থাৎ কোন নারী যদি mm কিট খাওয়ার পর গর্ভপাত হয়ে যায় তাহলে তার নিয়মিত মাসিক হতে বেশি সময় লাগতে পারে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম অনুযায়ী খাওয়ার পর দুই এক দিনের মধ্যেই গর্ভপাত ঘটে এবং এটি শেষ হওয়ার পর   ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেও নিয়মিত মাসিক হয়ে যায়। যদি এই সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও মাসিক না হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে বিষয়টি শেয়ার করে সমাধান নিতে হবে।

এম এম কিট খাওয়ার পর করণীয়

এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম মেনে এই ওষুধটি খাওয়ার পর বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা হতে পারে। এম এম কিট প্যাকেটের বড় ট্যাবলেটটি খাওয়ার পর কোন অসুবিধা না হলেও সাধারণত বাকি ৪টি ট্যাবলেট মুখে দিয়ে রাখার সময় অনেকের বমি হতে পারে।তবে মনে রাখতে হবে বমি সাথে যদি ট্যাবলেট বের হয়ে যায় তাহলে কোনো কাজে লাগবে না।এম এম কিট প্যাকেটের বড় ট্যাবলেটটি খাওয়ার পর মাসিক শুরু হয়ে গেলেও এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম অনুযায়ী বাকি ৪টি ট্যাবলেট খেতে হবে।

তা না হলে গর্ভপাত সম্পূন্ন নাও হতে পারে। এম এম কিট খাওয়ার পর গর্ভপাত হয়েছে কিনা এবং প্রেগনেন্সি নেগেটিভ কিনা টেস্ট করে থাকেন কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় ইউরিন টেস্টে নেগেটিভ আসতে ২০-২৫ দিন সময় লেগে যায়। যার কারনে এম এম কিট খাওয়ার পর প্রেগনেন্সি টেস্ট নেগেটিভ জানার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাই উত্তম।

অনেকেই জানতে চান এম এম কিট খাওয়ার পর মাসিক ডেট পরিবর্তন হবে কিনা। এম এম কিট খাওয়ার পর মাসিকের সময় পরিবর্তন হতে পারে এমন কি ১০-১৫ দিন পিছিয়ে যেতে পারে। এম এম কিট খাওয়ার অনেকেরই অতিরিক্ত ব্লিডিং হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি স্বাভাবিক।এম এম কিট সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিন রক্তপাত হবে। তবে যদি অতিরিক্ত ব্লিডিং হয় এবং সাত থেকে ১০ দিনের বেশি এটি চলতে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এম এম কিট খাওয়ার কত দিন পর সুস্থ হয়

এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম মেনে খেলে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই সুস্থ হওয়া যায়। অর্থাৎ শরীরের স্বাভাবিক চক্র থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে। তবে ব্যক্তিভেদে এর কিছুটা ভিন্নতা হতে পারে।এম এম কিট খাওয়ার ফলে গর্ভপাত ঘটার পর শরীর থেকে অনেক পরিমাণে রক্ত বের হয়ে যায়। যার কারণে দেখা যায় অনেক মহিলাই দুর্বল হয়ে পড়ে।

এই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য এবং সুস্থ হওয়ার জন্য অবশ্যই গর্ভপাতের পরে পুষ্টিকর খাবার যেমন-শাক সবজি, ফলমূল,শস্য এবং  প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য গুলো খেতে হবে এতে করে শরীর দ্রুত সুস্থ হবে।এম এম কিট খাওয়ার পর গর্ভপাত ঘটলে অন্তত ৭ থেকে ১৫ দিন ভারী কোন জিনিস বহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

এম এম খাওয়ার পর পেটে ব্যথা হলে করণীয়

এম এম কিট সঠিক নিয়ম অনুযায়ী যদি তাহলে গর্ভপাত ঘটার আগে পেটে ব্যথা কিংবা বমি বমি ভাব, অতিরিক্ত ব্লিডিং হতে পারে।রক্তপাত হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এই ব্যথা থাকে রক্তপাত যদি গর্ভ হয়ে যায় তাহলে আস্তে আস্তে ব্যথা কমে যায়। তবে যদি কারো পেটে ব্যথা তীব্র থাকে এবং রক্তপাত হওয়ার পরেও না কমে, অথবা ব্লিডিং এর পরিমাণ অনেক বেশি হয় তাহলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এই ধরনের ব্যথা হলে করণীয় কি কিংবা কোন ঔষধ খেতে হবে তা একমাত্র চিকিৎসকেরাই ভালো বলতে পারবেন।

এম এম কিট খাওয়ার পর প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ আসে কেন

এম এম কিট খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই এটি খাওয়ার সঠিক নিয়ম আপনাকে জানতে হবে। খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার প্রেগনেন্সি টেস্ট পজেটিভ আসার কথা নয়। যদি সঠিক নিয়মে এম এম কিট খাওয়া হয় তাহলে এটি খাওয়ার ১০ দিন পরে আপনি আল্ট্রাসনোগ্রাফি করলেই জানতে পারবেন। কিন্তু যদি আপনি প্রেগনেন্সি কিট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করেন তাহলে সপ্তাহ পর্যন্ত ফলাফল পজেটিভ আসবে। কাজেই এম এম কিট খাওয়ার পর আপনার মিসক্যারেজ হয়েছে কিনা তা দ্রুত জানতে হাসপাতলে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে সঠিক ফলাফল জানুন।

আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজে যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ

এম এম কিট কিভাবে খাবেন খাওয়ার সঠিক নিয়ম কোনটি এবং এম এম আপনার জন্য খাওয়া উপযোগী কিনা এ সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে আপনাকে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে।যারা ইচ্ছাকৃত গর্ভপাত করাতে চান তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তাররা বেশিরভাগ সময়ই এম এম কিট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকলেও সবার জন্য এই ওষুধটি যে উপযোগী হবে এটিও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনা। তাই গর্ভপাত করানোর আগে এবং পরে অবশ্যই শারীরিক জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

এম এম কিট খাওয়ার পর কি হয়?

এম এম কিট খাওয়ার পরে সাধারণত থেকে ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ব্লিডিং এর মাধ্যমে গর্ভপাত হয়ে যায়। তবে এই গর্ভপাত কিংবা ব্লিডিং শুরু হওয়ার আগে অনেকেরই মাথা ঘুরানো, বমি হওয়া, পেটে তীব্র ব্যথা হতে পারে। ব্লিডিং শুরু হওয়ার পর আস্তে আস্তে এগুলো কমে যায়। তবে যদি কারো ক্ষেত্রে না কমে সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সমাধান নিতে হবে।

এম এম কিট এর কাজ কি?

এম এম কিট এর কাজ হল গর্ভপাত করানো।কারো যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে গর্ভের বাচ্চা আসে কিংবা কেউ যদি মিসক্যারেজ করাতে চায় তাহলে এই এম এম কিট ওষুধের মাধ্যমে তারা গর্ভপাত করাতে পারে। এম এম কিট হলো বাচ্চা নষ্ট করার বরি। এটি খাওয়ার পর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্য ব্লিডিং শুরু হয়ে যায় এবং তার ৭ থেকে ১০ দিন দিন স্থায়ী থাকতে পারে ।

এম এম কিট খাওয়ার পরেও প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ আসে কেন?

এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম মেনে চললে অবশ্য প্রেগনেন্সি টেস্ট নেগেটিভ আসবে। তবে কেউ যদি প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট দিয়ে পরীক্ষা করেন তাহলে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ আসার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু যদি এম এম কিট খাওয়ার ১০ দিন পরে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন সেই ক্ষেত্রে সঠিক ফলাফল জানা যাবে।

শেষ কথা-

সন্তান আল্লাহতালার অশেষ নিয়ামত। তাই সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নেবেন আপনি মা হওয়ার জন্য প্রস্তুত কিনা। কিন্তু নিজের ভুলের কারণে আর গর্ভে থাকা নিষ্পাপ প্রাণটাকে মেরে ফেলবেন না। আমরা আজকের আর্টিকেলে যদিও এম এম কিট খাওয়ার  সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এটি মূলত গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য কাজ করে। আপনাদের জানার আগ্রহের ভিত্তিতেই আজকের আর্টিকেলে এটি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এটি খাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত অবশ্যই একজন ভালো গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।তবে নষ্ট করার একটু ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন টিকেট করার নিয়ম

পিজি হাসপাতালে অনলাইন টিকিট বুকিং করার নিয়ম

ইউনিক বাস অনলাইন টিকেট কাটার নিয়ম

বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকিট কাটার নিয়ম

জাতীয় জাদুঘর অনলাইন টিকেট করার নিয়ম

↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇

  • ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন

↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇

➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন

➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমি মো: সানাউল বারী পেশায় একজন ব্লগার এবং ইউটিউব ও ফেসবুক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।

Leave a Comment