উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের অনলাইন টিকিট –উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি একটি বিলাসবহুল ট্রেন। উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি নোয়াখালী থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে নোয়াখালী যাতায়াত করে থাকে। আপনি যদি উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে নোয়াখালী থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে নোয়াখালী ভ্রমণ করতে চান তাহলে আজকের পোস্টেটি আপনার জন্য।
আজ আপনারা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
আরও জানতে পারবেন উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি ও সিট সংখ্যা, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের খাবার,উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সুবিধা, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের কুলি চাজ, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের অনলাইন টিকিট করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি একটি আন্তঃনগর ট্রেন। অনেক আগের থেকেই চলাচল করছে ৭৭১ এবং ৭১২ নাম্বার ট্রেনটি 1986 সালে 17 ই জানুয়ারি উদ্বোধন করেন এবং তখন থেকেই এই ট্রেনটি সেবা দিয়ে যাচ্ছে সকল যাত্রীদের। তবে বর্তমানে রেলমন্ত্রী এই উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি কে আরো নতুন উদ্যমে এবং নতুন ভাবে নতুন রূপে সাজিয়ে তুলেছে, তাই এই ট্রেনটি আবারও পুনরায় উদ্বোধন করলেন জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম সুজন এমপি।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালের রোজ সোমবার শুভ উদ্বোধন করেন। এই উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি আকর্ষণীয় এবং নতুন উদ্যোমে উদ্বোধন করেন।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি নোয়াখালী টু ঢাকা ও ঢাকা টু নোয়াখালী যাতায়াত করে এবং যাত্রীদের সুন্দর ভ্রমনে সহযোগিতা করে। এই ট্রেনটি নোয়াখালী জেলার বেশ পরিচিত, কারণ উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রীদের সকল সুবিধা দিয়ে থাকে।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
ট্রেনে ভ্রমণ করা খুবই সহজ। আপনি যদি উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে জানতে হবে। উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপনি যদি উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের নির্দিষ্ট সময়সূচী না জানেন তাহলে আপনি ঠিক সময়মতো ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না। আপনার ট্রেন ভ্রমণ মিস হয়ে যাবে। তাই আপনার ট্রেনে ভ্রমণ যাতে মিস না হয় এবং সুন্দরভাবে নিজ গন্তব্যস্থলে খুব সহজে পৌঁছে যেতে পারেন তাই আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনার ভ্রমণকে খুব সুন্দর ও সহজ করে দেওয়ার জন্য উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী উল্লেখ করা হলো।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রতি সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ থাকে। উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি নোয়াখালী থেকে ঢাকা কমলাপুর রেল স্টেশনের দিকে যাত্রা শুরু করে সকাল ৬ টা সময় এবং ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশনে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি নোয়াখালী থেকে পৌঁছায় ১১ টা ৪৫ মিনিটে। অপরদিকে ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি নোয়াখালী দিকে যাত্রা শুরু করে ১৫ টা ২০ মিনিটে। নোয়াখালী রেল স্টেশনে এসে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি পৌঁছায় ২১ টা ২৫ মিনিটে।
নিচে একটি টেবিলে এর বিস্তারিত সময়সূচি পাবেন।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটির বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাতায়াতকারী যাত্রীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন স্টেশনে বিরতি দিয়ে থাকে। আপনি যদি উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন সম্পর্কে অবগত হতে হবে। উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে যারা যাতায়াত করে তাদের জন্য উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে হবে।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটির ঢাকা থেকে যাত্রা করার সময় ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া জংশন, কসবা, কুমিল্লা, লাকসাম জংশন, নাথেরপেটুয়া, সোনাইমুড়ী, বজরা, চৌমুহনী মাইজদী কোর্ট এটাতে বিরতি স্টেশনে বিরতি দিয়ে থাকে। উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে নোয়াখালী যাবার পথে আপনাকে নিম্নোক্ত স্টেশনে বিরতি দেওয়া হবে।
১।ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন,
২। নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন,
৩।আশুগঞ্জ,
৪। ব্রাহ্মণবাড়িয়া,
৫।আখাউড়া জংশন,
৬।কসবা,
৭।কুমিল্লা,
৮।লাকসাম জংশন,
৯।নাথেরপেটুয়া,
১০।সোনাইমুড়ী,
১১।বজরা,
১২।চৌমুহনী
১৩।মাইজদী কোর্ট
১৪।নোয়াখালী
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
আপনি যদি নোয়াখালী টু ঢাকা বা ঢাকা টু নোয়াখালী রুটে প্রতিনিয়ত ভ্রমন করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া সম্পর্কে জানতে হবে। অনেকে আছে তারা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া সম্পর্কে জানতে চায় তাই আমরা আপনাদের সামনে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের ঢাকা টু নোয়াখালী এবং নোয়াখালী টু ঢাকা রুটের ভাড়ার তালিকা আপনাদের সামনে উল্লেখ করলাম। যেহেতু উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের বিভিন্ন ধরনের আসন বিন্যাস করা রয়েছে তাই তার ভাড়া অর্থাৎ টিকিট মূল্য ভিন্ন রকম। চলুন দেখে আসি ভাড়ার তালিকা গুলো।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের বন্ধের দিন
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রতি সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ থাকে।
১।ঢাকা থেকে নোয়াখালী মঙ্গলবার বন্ধ থাকে।
২। নোয়াখালী থেকে ঢাকা বুধবার বন্ধ থাকে।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সুবিধা সমূহ
এই ট্রেনটি ভ্রমণ করার সময় আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। আপনি এই ট্রেনে ভ্রমণ করলে সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবেন এর পরেও আমরা আপনাদের সামনে কিছু সুবিধা গুলো উল্লেখ করলাম।
১।ট্রেনে ভ্রমণের সময় আপনি পাচ্ছেন সকল প্রকার খাদ্যের সুবিধা।
২।সুন্দর ও স্বাস্থ্যসম্মত আসন বিন্যাস।
৩।স্বাস্থ্যসম্মত ওয়াশরুম।
৪।ট্রেনটিতে মাইক দ্বারা এলাউন্স করে যাত্রীদের পরবর্তী স্টেশনের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
৫।উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে নিরাপদ ভ্রমণের জন্য পুলিশ মোতায়ন করা থাকে।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের মালামাল বহনের কুলির চার্জ
এই ট্রেনের স্টেশন থেকে প্রকৃতি কিংবা বগি থেকে স্টেশনের বাইরে মালামাল বহনের জন্য কুলের ব্যবস্থা রয়েছে এবং মালামালের বিবরণ অনুযায়ী চার্জ প্রযোজ্য আছে। তবে দরকষাকষির করেও চার্জের কমবেশি হতে পারে সুতরাং নিজে চার্জ গুলোর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো
১।অনধিক ২৮ কেজি (১টি ব্যাগ) ৩০/-
২।অনধিক ২৮ কেজি (২টি ব্যাগ) ৪০/-
৩।অনধিক ৩৭ কেজি (১টি ব্যাগ) ৪০/-
৪।অনধিক ৩৭ কেজি (২টি ব্যাগ) ৫০/-
৫।অনধিক ৫৬ কেজি (১টি ব্যাগ) ৬০/-
৬।অনধিক ৫৬ কেজি (২টি ব্যাগ) ৮০/-
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের খাবারের ব্যবস্থা
আমরা সকলে জানি ট্রেনের জানি দীর্ঘ সময় ধরে যেতে হয় বিধায় বিভিন্ন সময়ে খাবারের প্রয়োজন হয় বা খেতে হয়। এই আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে খাওয়ার ব্যবস্থা সুবিধা রয়েছে। সুতরাং ট্রেন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি খাবারের কেবিন রেখেছেন যেখানে যাত্রীগণ সহজে খেতে পারবেন। তবে যে সমস্ত খাওয়ার এই ট্রেনের কেবিনে পাওয়া যায় তা হল:
বার্গার, কেক, স্যান্ডউইচ, পেটিস, রোল, পারুটি, চা-কফি, কাটলেট, সিদ্ধ ডিম, চিকেন কাবাব, নানা ধরনের পানি ও মিনারেল ওয়াটার। সুতরাং এখান থেকে আপনি এছাড়াও আরও সুবিধা পাবেন দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি ও সিট সংখ্যা
আজ আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব এই ট্রেনের মোট বগি সংখ্যা এবং কি কি বগি রয়েছে।
১।এই ট্রেনটিতে মোট বগি রয়েছে ১৬টি।
২।একটি খাবার বগি রয়েছে।
৩।একটি পাওয়ার কার বগি রয়েছে।
৪।ট্রেনটিতে খাবারের বগির মধ্যে নামাজের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ রয়েছে।
৫।ট্রেনের মাঝামাঝি জায়গায় খাবারের বগিটি রয়েছে
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের অন্যান্য সুবিধাদি
১।আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে নামাজের জন্য ব্যবস্থা আছে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে কর্তব্যরত গার্ডের কাছে।
২।প্রত্যেক বগিতে একজন করে গাইড থাকার ব্যবস্থা আছে। তবে তারা যাত্রীদের সেবা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ট্রেনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
আমাদের সঙ্গে গুগোল নিউজের যুক্ত থাকুন –ফলো গুগোল নিউজ
৩।যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে জানালার পাশে এ্যালুমিনিয়ামের শাটার। ট্রেনে ভ্রমণকালে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন – ট্রেনের দরজা-জানালায় না বসা, ট্রেনের ছাদে না ওঠা, ইঞ্জিনে না চড়া। ঘনবসতি বা বস্তি এলাকাতে ট্রেন চলার সময় জানালার শাটার লাগিয়ে দেয়া।
৪।এসি কেবিন ছাড়া শোভন বগিতে স্ট্যান্ডিং টিকেট কাটার সুবিধা রয়েছে। মোট বরাদ্দকৃত টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়া হয়। স্ট্যান্ডিং টিকিটের মূল্য সিটিং টিকেটের সমান এবং সাথে সাধারণ টিকেটের মতই পণ্য নেয়া যায়।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের মালামাল পরিবহন
১।একজন শীতাতপ শ্রেণীর যাত্রী ৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণীর যাত্রী ৩৭.৫ কেজি, শোভন শ্রেণীর যাত্রী ২৮ কেজি এবং সুলভ ২য় শ্রেণীর যাত্রী ২৩ কেজি মালামাল বিনা ভাড়ায় সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।
২।অতিরিক্ত মালামাল মাশুল পরিশোধ করে তা লাগেজ হিসেবে তার নিজ গন্তব্যে নিতে পারেন।
৩।বড় স্টেশনগুলোতে লাগেজ বুকিংয়ের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে।
৪।লাগেজ বহনের জন্য ট্রলির ব্যবস্থা আছে।
৫।অসুস্থ ব্যাক্তিদের বহনের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা আছে।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের যোগাযোগ ঠিকানা
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাতায়াতের ক্ষেত্রে আপনার যেকোন সমস্যায় এবং কি অনলাইনে টিকিট বুকিং দেওয়ার সময় উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের যোগাযোগ ঠিকানা সম্পর্কে জানতে হবে। উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের যোগাযোগ ঠিকানা জেনে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে টিকেট বুকিং করতে হবে। এছাড়াও আপনার যাতায়াতের ক্ষেত্রে যে কোন প্রয়োজনে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের যোগাযোগ ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারবেন।
১।ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন
ফোন নাম্বার :৯৩৩১৮২২, ৯৩৫৮৬৩৪
মোবাইল নাম্বার :০১৭১১৬৯১৬১২
২।বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ফোন নাম্বার :৮৯২৮২৩৯
ওয়েবসাইট :railway.gov.bd
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের অনলাইন টিকিট করার নিয়ম
আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশ সরকার অনলাইন ভিত্তিক যাবতীয় সেবা প্রদান করে। বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনলাইনে অগ্রিম টিকেট কেনাবেচার বৈধতা দিয়ে থাকে।
একজন টিকেট ক্রেতা অতি সহজেই বিডি রেলওয়ে অ্যাপ এবং অফিশিয়াল ওয়েবসাইট হতে শর্তসাপেক্ষে টিকেট ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন। গ্রাহকরা অতি সহজে বিকাশ, নগদ, রকেট, ব্যাংকের মাস্টার কার্ড হতে পেমেন্ট জমা দিতে পারবেন।
কীভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটতে হয়, সে সম্পর্কে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হল-
ধাপ ১ঃ
NID ভেরিফাই করুন
আপনার মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে গুগল ক্রোমা (Chrome) ব্রাউজার থেকে ভিজিট করুন এই ওয়েবসাইটে- Bangladesh Railway E-Ticketing Service অথবা ডাউনলোড করুন Rail Sheba App।
প্রথমেই আপনাকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে আপনার NID নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে ID ভেরিফিকেশন করতে হবে। শুরু করার জন্য Register ক্লিক করুন।
আপনার মোবাইল নম্বর, NID নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে Verify ক্লিক করুন। আপনার আইডি ভেরিফাই হলে, একটি Password সেট করুন। আপনার Email, Post Code ও ঠিকানা ইংরেজিতে লিখে Registration বাটনে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।
ধাপ ২:
মোবাইল ভেরিফাই করুন
এরপর আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটে একটি Verification Code পাঠানো হবে এবং Code টি দিয়ে Verify করতে চাওয়া হবে। আপনার মোবাইলে আসা Code টি ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যে সঠিকভাবে লিখে Continue বাটনে ক্লিক করুন। আপনার একাউন্টটি সম্পূর্ণভাবে চালু হয়ে যাবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে একাউন্টে Log In হবে। লগইন হওয়ার পর Disclaimer এর শর্ত মেনে I AGREE করুন।
ধাপ ৩:
ট্রেন সার্চ করুন প্রোফাইল আপডেট করা শেষে, ওয়েবসাইটের Home পেইজে ফিরে যান। আপনি কোন স্টেশন থেকে রওনা হবেন আর কোন স্টেশনে নামবেন সেই অনুসারে ট্রেন সার্চ করুন।
From – ঢাকা এবং TO- নোয়াখালী
Date of Journey থেকে আপনার ভ্রমণের তারিখ বাছাই করুন।
Choose Class – এখানে উপরের মত অপশনগুলো পূরণ করে হলুদ রংয়ের Find বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার বাছাই করা তারিখের সকল ট্রেনগুলো দেখানো হবে।
এখান থেকে ট্রেন ছাড়ার সময় অনুসারে আপনার পছন্দ মত ট্রেন থেকে টিকেট কাটার জন্য সিলেক্ট করুন।
ধাপ ৪:
ট্রেন ও সিট বাছাই করুন
আপনার যাত্রার সময় ও আসনের ধরণ অনুসারে পছন্দমত ট্রেন ও সিট বাছাই করুন। এজন্য আপনার পছন্দের ট্রেনের আসন খালি থাকা সাপেক্ষে (Seats Available থাকলে) View Seats বাটনে ক্লিক করে সিট বুকিং করুন। শিশুদের টিকেটের মূল্য পরের ধাপে সমন্বয় করা হবে। এরপর CONTINUE PURCHASE বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে যান।
ধাপ ৫:
যাত্রীর তথ্য দিন এ ধাপে যতগুলো সিট বুক করেছেন, তার যাত্রীদের নাম এবং শিশু বা বয়স্ক কিনা তা সিলেক্ট করতে হবে। ৩ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু থাকলে Passanger Type Child সিলেক্ট করুন। Child সিলেক্ট করলে তার ভাড়া স্বয়ংক্রীয়ভাবে সমন্বয় হবে বা কমে যাবে।
ধাপ ৬:
টিকিটের মূল্য পরিশোধ করুন
এখানে টিকিটের মোট ভাড়ার পরিমাণ, ভ্যাট, ব্যাংক চার্জ ও মোট খরচের পরিমাণ দেখানো হবে। টিকেটের মূল্য পরিশোধ করার জন্য Mobile Banking (bKash) অথবা Debit/Credit Card অপশন বাছাই করুন। এরপর Confirm Purchase বাটনে ক্লিক করে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
ধাপ ৭:
ট্রেনের টিকিট ডাউনলোড ও প্রিন্ট করুন সফলভাবে পেমেন্ট করার সাথে সাথেই Bangladesh Railway E Train Ticket System থেকে ই টিকিট ইস্যু করা হবে। টিকিটটি স্বয়ংক্রীয়ভাবে আপনার ব্রাউজার থেকে ডাউনলোড করা হয়ে যাবে। আপনার প্রোফাইলের Purchase History থেকেও টিকিট ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
তাছাড়া, টিকিটের একটি কপি আপনার ইমেইলেও পাঠানো হবে। ইমেইলের Inbox Folder এ না পাওয়া গেলে SPAM Folder চেক করতে পারেন। টিকিটটি A4 সাইজের কাগজে প্রিন্ট করে নিন।
কিভাবে ট্রেনের টিকিট চেক করবেন
নিজের প্রোফাইল থেকে টিকিট কিনলে সেটা অবশ্য চেক করার আর দরকার হবে না। তবে অন্য দ্বারা অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করালে, ভ্রমণের আগে অবশ্যই চেক করে নিবেন। ট্রেনের টিকিট চেক করার জন্য ই টিকিটিং সাইটে রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন নেই। সরাসরি ভিজিট করেই চেক করতে পারবেন।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট চেক করার জন্য ভিজিট করুন- eticket.railway.gov.bd । এরপর, উপরের ডান পাশ থেকে Verify Ticket মেন্যুতে ক্লিক করুন। ট্রেনের টিকেটে ব্যবহার করা মোবাইল নম্বর এবং টিকেটে উপরের অংশে লেখা, PNR Number টি লিখুন। এরপর Verify Ticket বাটনে ক্লিক করার পর টিকিট সঠিক থাকলে, Ticket Verified দেখাবে এবং ভ্রমণের রুট দেখাবে।
শেষকথা
আমরা চেষ্টা করেছি উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটির সকল তথ্য তুলে ধরার জন্য । আশাকরি ট্রেনের এই সকল তথ্য গুলো আপনাদের যাত্রাপথে কাজে লাগবে। আরও নতুন নতুন বিষয়ে জানতে আমাদের সাথে থাকবেন। আপনাদের যাত্রা সুন্দর ও নিরাপদ হোক।
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔
প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন টিকেট করার নিয়ম পিজি হাসপাতালে অনলাইন টিকিট বুকিং করার নিয়ম ইউনিক বাস অনলাইন টিকেট কাটার নিয়ম বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকিট কাটার নিয়ম জাতীয় জাদুঘর অনলাইন টিকেট করার নিয়ম
↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇
- ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇
➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন।
➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।